ভিডিও

বন্যায় রংপুরে ৩১৭ হেক্টর ফসল ও ৪ কোটি টাকার মাছের ক্ষতি

প্রকাশিত: জুলাই ০১, ২০২৪, ১০:৫৫ রাত
আপডেট: জুলাই ০২, ২০২৪, ১২:৩৬ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

রংপুর জেলা প্রতিনিধি : সম্প্রতি হয়ে যাওয়া বন্যায় রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় ৩১৭ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট, ৩৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্তসহ চার কোটি টাকার বেশি মাছ  ভেসে গেছে। রংপুর কৃষি, মৎস্য ও শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি হয়ে যাওয়া বন্যায় রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় ২ হাজার ৩১৫ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়েছিল।

নিমজ্জিত ফসলের মধ্যে পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩১৭ হেক্টর জমির ফসল। যেসব ফসল ক্ষতি হয়েছে সেগুলো হচ্ছে, রোপা আমনের বীজতলা, শাকসবজি, চিনাবাদাম, আউস, পাট, মরিচ ও সামান্য পরিমান তিল রয়েছে।  ফসলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কুড়িগ্রাম জেলায়। এদিকে বন্যায় রংপুর অঞ্চলে ১২১ হেক্টর জমির ৬০৫টি পুকুরের ২০৫ মেট্রিক টন  মাছ ভেসে গেছে।

যার বাজার মূল্য ৪ কোটি ১০ লাখ টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষিদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বন্যায় এই অঞ্চলের ৩৭টি  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিতে নিমজ্জিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি নদী গর্ভে চলে গেছে।

সম্প্রতি বন্যায় তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমার ও যমুনা নদী পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যেসব বিদ্যালয়ের জমি নদী গর্ভে চলে গেছে সেই সব বিদ্যালয়ের অবকাঠামো সরিয়ে নেয়া হলেও ওইসব অবকাঠামো পুনরায় কোথায় স্থাপন করা হবে এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ওবায়দুর রহমান বলেন, এবারের বন্যায় ফসলের তেমন একটা ক্ষতি হয়নি। পাঁচ জেলায় ৩১৭ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতি হয়েছে। রংপুর মৎস্য অধিদপ্তররের সহকারি পরিচালক মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, বন্যায় অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে রংপুরে মাছের ক্ষতি কম হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে মৎস্য চাষিদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর রংপুর বিভাগের উপ পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মুজাহিদুল ইসলাম জানান, বন্যায় নদীভাঙনের শিকার কিছু বিদ্যালয়ের স্থাপনা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। অনেক বিদ্যালয় ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। মোট ৩৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতি হয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS