ভিডিও

ভূরুঙ্গামারীর সোনাহাট স্থলবন্দরে দশ বছরেও ইমিগ্রেশন চালু হয়নি

প্রকাশিত: জুলাই ০২, ২০২৪, ০৮:০৯ রাত
আপডেট: জুলাই ০২, ২০২৪, ০৮:০৯ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় সোনাহাট স্থলবন্দরে দীর্ঘ ১০ বছরেও ইমিগ্রেশন চালু না থাকায় আমদানি-রপ্তানি ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটছে না। ফলে একদিকে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব আয়।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে দেশের ১৮তম স্থলবন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করে সোনহাট স্থলবন্দর। শুরু থেকেই স্থলবন্দরটি রাজস্ব আয়ের বিপুল সম্ভাবনাময় একটি বন্দর হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এই বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ করা হলেও ব্যবসায়ীদের চাহিদা থাকা সত্বেও দীর্ঘ ১০ বছরেও ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হয়নি।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ইমিগ্রেশন চালুর বিষয়ে বার বার আশ্বাস দিলেও আজও চালু হয়নি ইমিগ্রেশন। তাই শীর্ঘই এই বন্দরে ইমিগ্রেশন চালুর দাবি জানিয়েছেন বন্দর কর্মকর্তাসহ স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। জানা যায়, ভারতের আসাম, মেঘালয়সহ সেভেন সিষ্টার খ্যাত রাজ্যগুলোর সাথে ভারত ও বাংলাদেশের পণ্য আমদানি ও রপ্তানির জন্য ২০১৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর সোনাহাট স্থলবন্দর চালু করা হয়।

ওই সময়ে সোনাহাট স্থলবন্দরটি চালু হলেও ২০১৬ সালে ১৪ দশমিক ৬৮ একর জমির ওপর বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করা হয়। বর্তমানে এই বন্দরে ৬শ’ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ওয়্যারহাউজ, ৯৬ হাজার বর্গফুটের পার্কিং ইয়ার্ড, ৯৫ হাজার বর্গফুটের ওপেন স্টকইয়ার্ড, শ্রমিকদের জন্য দুটি বিশ্রামাগার, একটি প্রশাসনিক ভবন ও দ্বিতল ডরমেটরি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।

দেশের ১৮তম এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ১০টি পণ্য আমদানি এবং বাংলাদেশ থেকে বৈধ সব পণ্য রপ্তানি করতে বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। ভারত থেকে আমদানি পণ্যগুলো হচ্ছে : পাথর, কয়লা, তাজা ফল, ভূট্টা,  গম,  চাল,  ডাল,  আদা, পেঁয়াজ এবং রসুন।

তবে বন্দর চালুর দীর্ঘ সময় পার হলেও এ পর্যন্ত শুধু কয়লা ও পাথর আমদানি করা হচ্ছে। এছাড়া হাতেগোনা কয়েকটি পণ্য রপ্তানি করা হয়। এতেই বছরে প্রায় ১২ কোটি টাকা আয় হচ্ছে। বন্দর ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ইমিগ্রেশন চালু না থাকায় ভারতের সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ব্যহত হচ্ছে। পাশাপাশি যোগাযোগের ক্ষেত্রে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এছাড়া মাঝেমধ্যেই আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকে। এতে প্রায় ৩ হাজার শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সোনাহাট স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শুধু ইমিগ্রেশন না থাকায় ৪৫০ কিলোমিটার পথ ঘুরে ব্যবসায়ীদের সাথে দেখা করতে হয়। ফলে অনেক সময়েই জরুরি ব্যবসায়িক আলাপ সম্ভব হয় না। ইমিগ্রেশন চালু হলে ভারতের সেভেন সিস্টারখ্যাত রাজ্যগুলোসহ ভুটানের সাথে উত্তরাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের সুবিধা হবে।

বন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সরকার রাকীব আহমেদ জুয়েল বলেন, ইমিগ্রেশন চালু হলে উভয় দেশের মানুষের উপকার হবে, সম্পর্ক উন্নত হবে। এছাড়া ব্যবসার পরিধি বাড়ার পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব বাড়বে।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ বলেন, সোনাহাট স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চালুর বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই ইমিগ্রেশন চালুর প্রস্তুতি চলছে। এখন দুই দেশের মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত হলেই শীঘ্রই ইমিগ্রেশন চালু করা হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS