ভিডিও

শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে ৩ উপজেলায় বাঁধ ভেঙে ৬০ গ্রাম প্লাবিত

প্রকাশিত: জুলাই ০২, ২০২৪, ০৯:২৬ রাত
আপডেট: জুলাই ০৩, ২০২৪, ১২:১৮ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

শেরপুর  প্রতিনিধি: গত কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে শেরপুরের ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মঙ্গলবার ভোরে রামেরকুড়া, খৈলকুড়া, ঝিনাইগাতী, চতল, বনগাওসহ কয়েক স্থানে বাঁধ ভেঙে কমপক্ষে ১৫-২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

ঢলের পানি উপজেলা শহরের প্রধান বাজারসহ বিভিন্ন অফিস ও বাড়ি-ঘরে প্রবেশ করেছে। এতে বিপাকে পরেছে সাধারণ মানুষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদীর খালভাঙ্গা এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেখানেও ১৫-২০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি। অপরদিকে শ্রীবরদী উপজেলার সোমেশ্বরী নদীতেও ব্যাপকভাবে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে অত্যন্ত ২০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ঝিনাইগাতী শহরসহ ভাটি এলাকার কমপক্ষে তিন উপজেলায় ৫০-৬০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পরেছে। সেই সঙ্গে পানিতে ডুবে গেছে অনেক মৎস্য খামার, পুকুর, বিভিন্ন সবজি ক্ষেত ও বীজতলা।

স্থানীয়রা জানান, মহারশি নদীর ঝিনাইগাতী  ব্রিজপাড় থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকা অবৈধভাবে দখল করে বসতি স্থাপন করা নদীর নাব্যতা কমে গেছে। এছাড়া নদীটি খনন না করায় নাব্যতা ফিরিয়ে না আনায় প্রতিবছর সদর বাজারসহ পুরো এলাকা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এলাকার সচেতন মহলের দাবি নদীর বুকে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে দেওয়াসহ স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা জুরুরি।

এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল কবীর রাসেল, সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) অনিন্দিতা রানী ভৌমিক, উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহাদৎ হোসেন, ধানশাইল ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামসহ অন্যান্যরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করছেন।

ইউএনও মো. আশরাফুল কবীর রাসেল জানান, মহারশি নদীতে বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসনের কাছে সবধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। স্ব-স্ব ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পানিবন্দি মানুষের মাঝে শুকনো খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS