ভিডিও

মহাদেবপুরে দোকানে যত্রতত্র ফায়ার লাইসেন্সবিহীন এলপি গ্যাসের ব্যবসা

প্রকাশিত: জুলাই ০৩, ২০২৪, ০৫:৫৭ বিকাল
আপডেট: জুলাই ০৩, ২০২৪, ০৫:৫৭ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

এম.সাখাওয়াত হোসেন, মহাদেবপুর (নওগাঁ) : নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় যত্রতত্র বিভিন্ন দোকানে অবাধে চলছে ফায়ার লাইসেন্সবিহীন এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের খুচরা ব্যবসা। যেকোন ধরনের বিপদজয় রক্ষার নেই কোন অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র। ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ, মাছের খাবারের দোকান, সার-বিষ, মুদি ও রড-সিমেন্ট দোকান, এমনকি পানের দোকানেও প্রকাশ্যে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে।

মাঠ পর্যায়ে এই সব দোকানিদের ফায়ার লাইসেন্স তো দূরের কথা, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রও তাদের নেই। মহাদেবপুর উপজেলা সদরসহ ১০টি ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি বাজারেই বর্তমানে গ্যাস সিলিন্ডার কম-বেশি বিক্রি করা হচ্ছে। ১০টির কম সিলিন্ডার দোকানে থাকলে লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে না এমন আইনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে মহাদেবপুরের অধিকাংশ এলপি গ্যাস ব্যবসায়ী লাইসেন্স না নিয়েই অবৈধভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা সদরের বিভিন্ন দোকানে, মাতাজিহাট, চকগরীবাজার, চৌমাসিয়া (নওহাটা) মোড়, ছাতুনতলী বাজার, মহিষবাথান, কুঞ্জবন বাজার, বাগডোব বাজার, চান্দাশ বাজার, খাজুর বাজার, জিগাতল, পাহাড়পুর বাজার, পাটাকাটা বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার দোকানে বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের মধ্যে আইনগত বাধ্যবাধকতা বিষয়ে ধারণা নেই।

সংশ্লিষ্টদের তদারকির অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা জেনেও তারা সরকার অনুমোদিত লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা ছাড়াই ব্যবসা করছে। বিভিন্ন কোম্পানির ডিলারদের বিক্রয়ের প্ররোচিত হয়ে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ীরা আইন অনুসরণ থেকে দূরে থাকছে। এই সব দোকানগুলোতে বিভিন্ন ব্যান্ডের ১৫ থেকে ২০ পিস পর্যন্ত গ্যাস সিলিন্ডার দোকানে মজুদ করে ব্যবসা করছে।

মহাদেবপুর উপজেলা সদরের মেসার্স সরদার ট্রেডার্স স্বত্ত্বাধিকারী মো. আব্দুল বারী সরদার জানান, আমার জানা মতে উপজেলায় গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ী হিসেবে বিষ্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স একমাত্র আমার রয়েছে। সেই মূলে আমরা খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়ীদের কাছে গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করি।

এ বিষয়ে মহাদেবপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার মো. আশরাফুর রহমান জানান, উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে ছোট-খাটো দোকানে গ্যাস বিক্রি হলেও মাঠ পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের বৈধ কোন লাইসেন্স আছে বলে আমার জানা নেই।

অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপন আইন-২০০৩ এর ৪ ধারা মোতাবেক সরকার ঘোষিত ফায়ার সার্ভিসের কোন জ্বালানি নিয়ে কেউ ব্যবসা করলে (মজুদ প্রসেসিং প্রক্রিয়াকরণ এ্যাক্ট:) তাকে উক্ত বিধান অনুযায়ী ফায়ার লাইসেন্স করতে হবে। অন্যথায় উক্ত আইনের ১৭ ও ১৮ ধারা মোতাবেক ৩ বৎসরে কারাদন্ড, অর্থদন্ড ও উক্ত প্রতিষ্ঠানের বা স্থানের মালামাল সরকার বরাবর বাজেয়াপ্ত করা হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS