নেত্রকোণা প্রতিনিধি: নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় (২০) এক তরুণীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ধর্ষণে অন্তঃসত্ত¡া হয়ে পড়লে জোরপূর্বক ওই তরুণীকে পাশের জেলা কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গর্ভপাত করানো হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী নিজে বাদী হয়ে তরিক মিয়ার বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযুক্ত শেখ শাম্মী ওয়াহিদ তরিক (৩০) কেন্দুয়ার মোজাফফরপুর ইউনিয়নের তরফপাড়া গ্রামের শেখ ওয়াহিদের ছেলে।

অভিযোগের সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী তরুণীর বাড়িতে যাওয়া-আসা ছিল তরিক মিয়ার। একপর্যায়ে তরিক তরুণীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ১৫ এপ্রিল রাতে তরুণীকে ধর্ষণ করে তরিক। এরপর থেকে প্রায়ই শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হতেন। এরমধ্যে তরুণী অন্তঃসত্ত¡া হয়ে পড়লে তাকে পার্শ্ববর্তী তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গর্ভপাত করায় তরিক। কিছুদিন পর পরিবার ওই তরুণীকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেয়। পরে তরিক ওই তরুণী স্বামীকে প্রেমের সম্পর্কের কথা বললে তাদের তালাক হয়ে যায়।

এদিকে বাবার বাড়িতে থেকে বার বার তরিক মিয়াকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে তরুণী। তরিক তাতে কর্ণপাত না করায় মেয়েটি ২১ জুন বিয়ের দাবিতে তরিকের বাড়িতে অবস্থান নেয়। এ সময় তরিক মিয়ার পরিবারের সদস্যরা তাকে মারধর করে এবং তার সাথে থাকা মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরদিন সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইফুল আলম ভ‚ইয়া ছোটন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন। ২৩ জুন গ্রামে সালিশ বসলে বিষয়টি অর্থের বিনিময়ে সমাধান করার চেষ্টা করা হলে মেয়েটি তাতে অসম্মতি প্রকাশ করেন এবং থানায় অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে তরিক মিয়ার ফোন করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

ইউপি সদস্য সাইফুল আলম ভ‚ইয়া ছোটন বলেন, বিষয়টি সালিশে মীমাংসার কথা বলে আমি মেয়েটিকে ছেলের বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছিলাম। পরে গ্রামে সালিশও হয়েছে। কিন্তু ছেলেটির স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। আর মেয়েটিও তাকেই বিয়ে করতে চায়। তাই বিষয়টি মীমাংসা করা সম্ভব হয়নি।

কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক পিপিএম ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।