ভিডিও

ডায়েরির পাতায় ‘দুজনের মৃত্যুর’ কথা, মরদেহ মিলল  স্ত্রীর

প্রকাশিত: জুলাই ০৬, ২০২৪, ০৮:৩৩ রাত
আপডেট: জুলাই ০৬, ২০২৪, ০৮:৩৩ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

আশুলিয়া (ঢাকা)প্রতিনিধি: ‘আমরা দুইজন ইচ্ছায় মরছি এইখানে কারো দোষ নাই’, ডায়েরিতে এ কথা লিখে নিজের প্রাণ প্রদীপ নিভিয়েছেন জাহানারা খাতুন জান্নাতি (২২) নামে আশুলিয়ার এক পোশাক শ্রমিক। তার স্বামী হাবিবুর রহমান অনিক (২৭)।

হয়ত তাকে সঙ্গে করেই পৃথিবীর মায়া থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিতে চাইছিলেন জান্নাতি। কিন্তু হয়নি। অনিক পলাতক।

শনিবার বিকেল ৫টার দিকে আশুলিয়ার পূর্ব নরসিংহপুর এলাকার একটি বাসা থেকে জান্নাতির মরদেহ পেয়েছে পুলিশ। তিনি দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার উত্তর ভোলানাথপুর গ্রামের মো. জামাল উদ্দীনের মেয়ে।

পলাতক অনিকের বাবার নাম মো. আব্দুল কুদ্দুস; গ্রামের বাড়ি পাবনার ফরিদপুর উপজেলার দিঘুলিয়া দক্ষিণপাড়া এলাকায়। অনিক-জান্নাতি দুজনই পূর্ব নরসিংহপুর এলাকা ভাড়া বাসায় থেকে শারমিন গ্রæপের একটি পোশাক কারখানায় অপারেটর ও হেলপার পদে চাকরি করতেন।

ওই বাড়ির মালিকপক্ষ জানায়, জান্নাতি কারখানায় কাজে যোগ না দেওয়ায় তার অফিস থেকে তিন নারী খোঁজ করতে আসেন। তিনি ভেবেছিলেন জান্নাতি যেহেতু কাজে যাননি, তাই বাসাতেই আছেন। পরে তিনি তার ঘরে যান, দরজা খুলে দেখেন জান্নাতির নিথর দেহ পড়ে আছে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করে পুলিশকে জানান। সদস্যরা সেখানে গিয়ে নিহতের দেহ উদ্ধার করে। তার পাশ থেকে একটি ডায়েরি পাওয়া গেছে।

পুলিশ জানায়, দুপুরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে এক পোশাক কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার স্বামী অনিক পলাতক। মরদেহের পাশ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। যাতে লেখা ছিল, ‘আমরা দুইজন ইচ্ছায় মরছি এইখানে কারো দোষ নাই। আমরা নিজের ইচ্ছায় মরছি। আমি আমার বউকে মারছি। বউ আমাকে মারছে। এইখানে বাড়ির কারো দোষ নাই। ’

ধারণা করা হচ্ছে, স্বামী-স্ত্রী দুজনই নিজেদের প্রাণ শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। স্বামী কোথায়, বা তার কী হয়েছে সেটি তদন্তের মাধ্যমে জানা যাবে। জান্নাতির মৃত্যু কীভাবে হয়েছে সেটি ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবজালুল হক বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বিষপানে কিংবা শ্বাসরোধে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS