ভিডিও

বিদ্যুতের দুই কর্মীকে মারধর, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: জুলাই ০৬, ২০২৪, ০৯:১৫ রাত
আপডেট: জুলাই ০৬, ২০২৪, ০৯:১৫ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের বকশীগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দুই কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগে বাট্টাজোড় ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান জুয়েল তালুকদারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শনিবার বকশীগঞ্জ থানায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এক কর্মচারী বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বকশীগঞ্জ থানার ওসি আবদুল আহাদ খান।

জানা যায়, বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোড় ইউনিয়ন পরিষদের ১৪ মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। মোট বকেয়া বিল ২১ হাজার ৮১১ টাকা। একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমানের নিজ বাড়ির বকেয়া বিদ্যুৎ বিল রয়েছে ১৩ মাসের। নিজ বাড়ির মোট বকেয়া বিল ২৪ হাজার ৫২৫ টাকা। বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় ৫ জুলাই লাইন শ্রমিক মোস্তাফিজুর রহমান ও লাইন ক্রু ইলিয়াস আহমেদ ইউনিয়ন পরিষদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার খবর পেয়ে চেয়ারম্যান মোখলছেুর রহমান মোবাইলে ডিজিএম এর সঙ্গে কথা বলে বকেয়া বিল দ্রæত পরিশোধ করার প্রতিশ্রæতি দেন।

পরে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম এর নির্দেশে পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেন লাইন শ্রমিক মোস্তাফিজুর ও লাইন ক্রু ইলিয়াস। সংযোগ দিয়ে চলে আসার পথে লাইন শ্রমিক মোস্তাফিজুর ও লাইন ক্রু ইলিয়াসকে মারধর করেন চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান জুয়েল তালুকদার। এই ঘটনায় ৬ জুলাই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লাইন শ্রমিক মোস্তাফিজুর বাদী হয়ে চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান জানান, তার বাড়িতে বা ইউনিয়ন পরিষদে বিদ্যুৎ বিভাগের কোন লোকজন মারধর করা হয়নি। তারা মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মামলা দায়ের করেছেন। বকেয়া বিল পরিশোধ করার পরেও আমার ইউনিয়ন পরিষদ ও বাসার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

বকশীগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম জয় প্রকাশ নন্দী জানান, বিল বকেয়ার বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে বিভিন্ন সময়ে বকেয়া পরিশোধের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তিনি কোন কর্ণপাত করেননি। উল্টো বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন বকেয়া আদায়ের জন্য গেলে তিনি তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় দুই শ্রমিককে মারধোর করেছেন। এ কারণে আইনের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। ঘটনার বিচার হবে আদালতে।

বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল আহাদ খান জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরই ঘটনার তদন্ত করা হয়েছে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS