ভিডিও

বগুড়ায় শিশুসহ আত্মগোপনে থাকা ৭ জনের অবস্থান শনাক্ত

অচিরেই ফিরছে বাড়ি

প্রকাশিত: জুলাই ০৮, ২০২৪, ০৬:৪৭ বিকাল
আপডেট: জুলাই ০৮, ২০২৪, ০৬:৪৭ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়া শহরের নারুলি এলাকা থেকে একই পরিবারের পাঁচ শিশুসহ ৭ জন নিখোঁজ রহস্য উন্মোচিত হওয়ার পথে। এনজিও থেকে নেয়া ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে ফাতেমা তার পরিবারের ৭ সদস্যকে নিয়ে আত্মগোপন করেছে। তবে তাদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়েছে। অচিরেই তারা বগুড়ায় ফিরবে বলে নারুলি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর তারিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।

নিখোঁজ পরিবারের সদস্যরা হলো, লালমনিরহাটের খোচাবাড়ি এলাকার ফাতেমা বেগম (৪৮)তার ছেলে বিক্রম আলী (১৩) ছোট মেয়ে রুনা খাতুন (১৫) বড় মেয়ে রুমি বেগম (৩২) তার নাতি বৃষ্টি খাতুন (১৪)  যমজ নাতি হাসান (৬) ও হোসেন (৬)।

এ ব্যাপারে, নিখোঁজ ফাতেমার স্বামী আব্দুর রহমান সদর থানায় দায়ের করা জিডিতে উল্লেখ করেন,  তিনি শহরের নারুলী এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন। তার স্ত্রী ফাতেমা নারুলি পুলিশ ফাঁড়িতে গৃহ পরিচারিকা হিসেবে কাজ করে। গত ৩ জুন সকাল ৯ টার দিকে  ফাতেমা ও তার পরিবারের  ৭ সদস্য  বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়।

গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাটের খোচাবাড়ি এলাকায় যাওয়ার কথা বলে তারা নিখোঁজ হয়। পরে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে তারা গ্রামের বাড়িতে যায়নি।  গত ৬ জুন রাতে আব্দুর রহমান  তারা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় থানায় জিডি করেন।

এ ব্যাপারে নারুলী ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর তারিকুল ইসলাম বলেন, ফাতেমা বেগম নারুলি ফাঁড়িতে গৃহ পরিচারিকা হিসেবে কাজ করে। মাস তিনেক আগে ফাতেমা  ফাঁড়িতে গৃহ পরিচারিকা হিসেবে কাজ নেয়। ফাতেমা স্বামী ও পরিবারের সাথে বগুড়া শহরের নারুলিতে জাপান মিয়ার বাড়িভাড়া নিয়ে  বসবাস করে আসছিল।

ফাতেমার মায়ের বাড়ি লালমনিরহাটের খোঁচাবাড়ি এলাকায়। নিখোঁজ হওয়ার আগে ফাতেমা তাকে বলেছিল মায়ের বাড়িতে সে কিছু জমি পেয়েছে। তা বুঝে নিতে তাকে সেখানে যেতে হবে। এজন্য তার কয়েক দিনের ছুটির দরকার। গত ২ জুন ফাতেমা তার কাছে ছুটি নেয়। এরপর তিন জুন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ফাতেমা নিখোঁজ হয়। তবে ফাতেমা তার গ্রামের বাড়িতে যায়নি।

ইন্সপেক্টর তারিকুল স্থানীয়দের বরাত দিয়ে আরো জানান, ফাতেমা একাধিক এনজিও থেকে বেশ কিছু টাকা ঋণ নেয়। ঋণ পরিশোধের জন্য ফাতেমাকে চাপ দিচ্ছিল এনজিও কর্মকর্তারা। যথাসময়ে ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে ফাতেমা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আত্মগোপন করেছে।

তিনি বলেন, অচিরেই তারা বগুড়ায় ফিরবে। মোবাইল ফোন ট্রাকিং এর মাধ্যমে তাদের অবস্থান শনাক্ত করে যোগাযোগ করা হয়েছে। দু’একদিনের মধ্যে ফাতেমা তার পরিবারের ৭ সদস্যকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসবে বলে জানিয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS