ভিডিও

চিরকুটে ঋণগ্রস্ত পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারী অপমানিত হওয়ার চেয়ে আত্মহত্যাই ভালো

প্রকাশিত: জুলাই ০৮, ২০২৪, ১০:০৩ রাত
আপডেট: জুলাই ০৮, ২০২৪, ১০:০৩ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

চাঁদপুর প্রতিনিধি: চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ ঋণের টাকা দিতে না পেরে পল্লী বিদ্যুতের এক কর্মচারী আত্মহত্যা করেছেন। উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের কড়ৈতলী স্বর্ণকার বাড়িতে সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। তাঁর লিখে যাওয়া একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ওই ব্যক্তির নাম মৃনাল (৬০)। তিনি চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতায় ফরিদগঞ্জ জোনাল অফিসের নিবন্ধিত ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

মৃনালের ছেলে কলেজপড়ুয়া তমাল বলেন, ‘আমার বাবা পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান ছিলেন। তিনি ইলেকট্রিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করার পাশাপাশি আমার দুই বোনকে বিয়ে দিয়েছেন। আমি ইন্টারে পরীক্ষার্থী। আমার বাবা বেসরকারি ঋণদান সংস্থা এনজিও আশা, ব্র্যাক, বার্ড, কোডেক, ঠেঙা মারা, টিএমএস, ও প্রত্যাশী এনজিও থেকে ঋণ গ্রহণ করেন। সবগুলো এনজিও ও বিভিন্ন জন থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা ঋণগ্রস্ত ছিলেন তিনি।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল রাতে খাবার খেয়ে বাসায় ঘুমিয়ে পড়েন বাবা। ভোররাতে ঘর থেকে বের হয়ে তিনি আর ঘরে ফিরে আসেননি। পরে আমার চাচাতো ভাই সজিবসহ অনেক খোঁজাখুঁজি করে বাড়ির পাশের কামরাঙা গাছে ফাঁস দেওয়াবস্থায় দেখতে পাই। আমাদের ঘরে বাবার পানের বাটাতে বাবার নিজের হাতে লেখা চিরকুটটি দেখতে পাই।’

মৃনাল চিরকুটে লেখেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য আমিই দায়ী, আমি আমার স্ত্রী ও ছেলে মেয়েদের খুবই ভালোবাসি, তাদের ছেড়ে এক রাত্রেও কোথায়ও থাকি নাই। সমিতির টাকা জোগাড় করতে না পেরে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নিলাম। কারণ ঋণের টাকা দিতে না পারলে যে অপমানিত হব, তার চেয়ে মৃত্যুই ভালো।’ চিঠিতে ছেলে মেয়েদের উপদেশ দেন তাদের মাকে সম্মান করতে, যতœ করতে।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে মৃনালের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার পরিবারের কাছ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS