ভিডিও

বগুড়ায় আন্ত:জেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার, অস্ত্র-শস্ত্র উদ্ধার

প্রকাশিত: জুলাই ০৮, ২০২৪, ১০:৫৬ রাত
আপডেট: জুলাই ০৯, ২০২৪, ১২:৪৬ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার গাবতলী ও ধুনট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একরাতে একাধিক বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় আন্ত:জেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে অস্ত্র-শস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রোববার ও সোমবার বগুড়া গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ ও গাবতলী মডেল থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো সিরাজগঞ্জের তারাশ উপজেলার জৈন্তিপুর গ্রামের মৃত সেকেন্দার আলীর ছেলে আলম মিয়া ওরফে আদমী আলী (৪০), বগুড়ার গাবতলী উপজেলার ছোট ইটালী গ্রামের লুৎফর রহমান প্রামানিকের ছেলে রাব্বি হাসান (২২), একই উপজেলার নিজগ্রাম এলাকার ফজলু প্রামানিকের ছেলে শাহ আলম (৩২), শেরপুর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে মাসুদ রানা (৩০), একই উপজেলার মদনপুর পশ্চিমপাড়ার ছাকা উদ্দিনের ছেলে আবু সাঈদ (২৬), সাগরপুর গ্রামের মৃত শ্রীবেন্দ্র সরকারের ছেলে সনাতন সরকার (৪০) ও ধাওয়া পাড়ার মৃত মকবুল সরকারের ছেলে আব্দুল হামিদ (৪০)। এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি দেশিয় সচল অস্ত্র পাইপগান, দুই রাউন্ড কার্তুজ, ২টি চাপাতি, একটি ছুরি, একটি ছোরা, একটি গ্রিল কাটার যন্ত্র, ১ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, ১টি নাকফুল, ২টি বাটন মোবাইল ফোন. ১টি স্মার্ট ফোন ও নগদ ১০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সূত্র জানায়, গত ১ জুলাই বগুড়ার গাবতলী উপজেলার নাজু মিয়ার বাড়িতে রাত ৩টার দিকে বিভিন্ন ধরনের দেশিয় অস্ত্র নিয়ে ডাকাতি করতে যায় তারা। এসময় সেখান থেকে সোনার গহনা, মোবাইল ফোন ও টাকা লুট নিয়ে যায়। এরপর একইরাতে প্রতিবেশি আব্দুল বাছেদের হাঁসের খামারে গিয়ে টাকা ও সোনার গহনা লুট নিয়ে চলে যায়। ওইরাতে ধুনট উপজেলার বেড়েরবাড়ী গ্রামে মোস্তাফিজার রহমানের দোকানঘর থেকে স্কুটি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।

এক পর্যায়ে ব্যর্থ হয়ে মোস্তাফিজার রহমানের চোখে আঘাত করে পালিয়ে যায়। এঘটনায় ওইদিন রাতেই গাবতলী থানায় মামলা করা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে গত শনিবার রাতে গাবতলীর নশিপুর এলাকা থেকে শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আদালতে রিমান্ড আবেদন করা হলে তাদের দুইদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। জিজ্ঞাসাবাদে শাহ আলমের দেয়া তথ্যে বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী এসব তথ্য জানান। পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবত দেশের বিভিন্ন জেলায় সংঘবদ্ধভাবে দোকানপাট ও বাড়িঘরে ডাকাতি করে আসছিল।

আসামি আদম আলীর বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে ডাকাতি, চুরি, অস্ত্র, মাদকসহ ৮টি, রাব্বির বিরুদ্ধে ১টি চুরি,শাহ আলমের বিরুদ্ধে ১টি ডাকাতি এবং আবু সাঈদের বিরুদ্ধে ১টি মাদক মামলা রয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS