ভিডিও

মুহূর্তেই স্বামী হারিয়ে চিরদিনের মত হারিয়ে গেল শর্মিলার উচ্ছ্বাস

প্রকাশিত: জুলাই ০৮, ২০২৪, ১১:২১ রাত
আপডেট: জুলাই ০৮, ২০২৪, ১১:২১ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : আনন্দ যেন মুহূর্তেই বিষাদে রূপ নিল শর্মিলা রায়ের। গতকাল রোববার বিকেলে যার জীবন ছিল উল্লাস ও আনন্দময় গোধূলী নামার আগেই তার জীবনে নেমে আসে বীভিষিকাময় অন্ধকার। বগুড়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যে পাঁচজন মারা গেছেন তাদের মধ্যে ছিলেন শর্মিলার স্বামী অলক কুমার দাস।

রথযাত্রা উপলক্ষে গতকাল রোববার বিকেলে ফেসবুক লাইভে এসে ককশীটের তৈরি ফুল সাদৃশ্য প্লাকার্ডের উৎসবের ‘উ’ অক্ষর হাতে সবাইকে উৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে সনাতন ধর্মাবলম্বী নারীদের রথযাত্রায় অংশ নিতে আহবান জানান। এর কিছুক্ষণ পরেই শর্মিলার জীবনে নেমে আসে সে ভয়াবহ বিভীষিকা।

পরিবারের একমাত্র রোজগেরে স্বামীকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ শর্মিলা কারো সঙ্গে কথা বলার ক্ষমতাটুকু পর্যন্ত হারিয়ে ফেলেছেন। শে^ত শঙ্খের শাঁখা হাতে প্লাকার্ড দোলানো সিঁদুর রাঙা সিমন্তের উচ্ছআসমাখা হাসি যেন শাখা-সিঁদুরের মত চিরদিনের মত হারিয়ে গেছে।

গতকাল রোববার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বগুড়ায় ইস্কন মন্দির থেকে রথযাত্রা বের হওয়ার পর শহরের সেউজগাড়ি আমতলা মোড় এলাকায় রথাযাত্রাবাহী গাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট অলক কুমার দাস মারা যান। পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব অলক কুমার বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার আটমূল ইউনিয়নের কুলুপাড়া গ্রামের মৃত নরেন্দ্র নাথ দাসের ছেলে। সোমবার দুপুর ১২টায় শিবগঞ্জ উপজেলার চিকাদহ বানাইল শ্মশানে তার সৎকার সম্পন্ন হয়।

 
অলকের এক নিকট আত্মীয় জানান, তার এক পুত্র সন্তান এবং এক কন্যা সন্তান রয়েছে। ছেলে অর্ণব বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ছে। মেয়ে আরাধ্যার বয়স মাত্র দেড় বছর। অলকের বাবা মা কেউ নেই। চার ভাইয়ের মধ্যে অলক সবার ছোট। তার অন্য তিন ভাই দেশের বাইরে থাকেন।

অলকও সৌদি আরবে ছিলেন। দুই বছর আগে তিনি দেশে এসে বগুড়ায় অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং এর ব্যবসা করতেন। শহরের সেউজগাড়ি এলাকায় ইসকন মন্দিরের পাশেই বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন এবং ইস্কনের সেবক হিসেবে কাজ করতেন।

অলকের স্ত্রী শর্মিলা গৃহিনী। বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার গন্ডগ্রামে শর্মিলার বাবার বাড়ি। শর্মিলার ছেলে অর্নবের এক সহপাঠীর মা যিনি শর্মিলার খুবই কাছের, তিনি জানান, শর্মিলা খুবই হাসিখুশি এক মেয়ে ছিলো। স্বামীকে হারিয়ে সে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছে। তার পুরো জীবনটাই এলোমেলো হয়ে গেল।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS