ভিডিও

বগুড়ায় রথযাত্রায় নিহত ও আহতদের পরিবারের মাঝে জেলা প্রশাসনের আর্থিক সহায়তা প্রদান

প্রকাশিত: জুলাই ০৯, ২০২৪, ০৯:৩৩ রাত
আপডেট: জুলাই ০৯, ২০২৪, ০৯:৩৩ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ায় রথযাত্রায় বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে আকস্মিক বিদ্যুতায়িত হয়ে নিহত ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বগুড়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সহায়তা আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মেজবাউল আলম, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ শফিউল আজম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফিরোজা পারভীন, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া, বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন, পূজা উদযাপন পরিষদ বগুড়া জেলার সভাপতি সাগর কুমার রায়, সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু রায় নির্মল, রাজাবাজার ব্যবসায়ী নেতা পরিমল প্রসাদ রাজসহ নিহত ও আহতদের পরিবারবর্গের সদস্যবৃন্দ।

এ সময় জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, রথাযাত্রায় বগুড়ায় যে দুর্ঘটনা হয়েছে এটা অনাকাঙ্খিত। যারা মারা গেছেন তাদের আমরা কোনভাবেই ফিরিয়ে আনতে পারবো না। তবে এ সময় আমরা তাৎক্ষনিক গিয়ে নিহত ও আহতদের পাশে থেকে সহায়তা করবো বলে কথা দিয়েছিলাম। সেই সহায়তার অংশ হিসেবে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহায়তায় এই অর্থ প্রদান করা হলো।

এছাড়া নিহত ও আহতদের মধ্যে যদি অস্বচ্ছল পরিবার  থাকে বা যে পরিবারের উপার্জনকারীই অসুস্থ তারা যদি আমাদের সাথে যোগাযোগ করে তবে তাদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। এ সময় জেলা প্রশাসক আরও বলেন, কী কারণে বা কেন দুর্ঘটনা ঘটেছে এজন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটির রিপোর্ট এলে জানা যাবে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ।

রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তীতে এই রকম উৎসব করার আগে কী কী সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন সেই বিষয়ে সুপারিশ করা হবে। তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের ধর্মীয় নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আপনারা এই রকম উৎসবের প্রায় এক সপ্তাহ আগে আমাদের জানাবেন। তখন আমরা সবকিছু দেখেশুনে আপনাদের অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত দেব।

কোন রকম দুর্ঘটনা যেন না ঘটে। আগামি ১৫ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য উল্টো রথযাত্রার আগেই একটি পরিকল্পনা সভা করারও আহবান জানান তিনি। আগামিতে এমন চূড়া এবং চূড়ায় ধাতব পদার্থের পরিবর্তে যেন অন্য কোন উপকরণ ব্যবহার করা হয় সে বিষয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতাদের খেয়াল রাখার নির্দেশনা দেন।

ওই দুর্ঘটনায় নিহত নরেশ মহন্ত, অলক কুমার দাস, অতশী, জলি রাণী সাহা এবং রঞ্জিতার পরিবারকে ২৫ হাজার করে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। এছাড়া আহত ২৭ জনের পরিবারকে ৫ হাজার করে মোট ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS