ভিডিও

মতবিনিময় সভায় আলু ও ডিমের মূল্য বৃদ্ধিতে উদ্বেগ

দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে আরও কঠোর ব্যবস্থা : ডিসি বগুড়া

প্রকাশিত: জুলাই ০৯, ২০২৪, ১০:৪৯ রাত
আপডেট: জুলাই ০৯, ২০২৪, ১০:৪৯ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে জেলা পর্যায়ের অংশীজনের সাথে মত বিনিময় সভায় বগুড়ায় আলু এবং ডিমের দাম বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সর্বোচ্চ ৩৫ টাকার আলু ৬০ টাকা এবং ১১ টাকার ডিম ১৩ টাকা কিভাবে বিক্রি করা হচ্ছে এ নিয়েও বিস্তর আলোচনা করা হয়েছে।

মতবিনিময় সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম সাফ জানিয়ে দিয়েছেন,দ্রব্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনে কঠোর থেকে কঠোরতর হবে প্রশাসন। তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্যেশে বলেন, এমন কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি যাতে না হয় যে বিশেষ ক্ষমতা আইনে পদক্ষেপ নিতে হয়।

আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মেজবাউল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা আই সিটি) আরাফাত হোসেন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. হুমায়ন কবির,  অতিরিক্ত কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এখলাস হোসেন সরকার, মৎস্য কর্মকর্তা মশিউর রহমান, রাজাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতা আব্দুল হান্নান, পরিমল প্রসাদ রাজ প্রমুখ। অন্যান্যের মধ্যে পৌরসভার স্বাস্থ্যপরিদর্শক শাহআলী উপস্থিত ছিলেন।

মত বিনিময় সভায় আলুর বাম্পার ফলনের কথা উল্লেখ করে জানান হয়, এই উৎপাদনের পরও কেন আলুর দাম বেশি। খুচরা পর্যায়ে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আবার কোল্ড স্টোরেজে আলুর দাম ৪৭ টাকা কেজি। যা কৃষি বিপনন আইন অনুযায়ী মাত্রাতিরিক্ত দাম। মত বিনিময় সভায় আলুর উৎপাদন নিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়ার দেওয়া পরিসংখ্যান নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

এত আলু উৎপাদন হলো অথচ কোল্ড স্টোরে আলু কম মজুদ হলো কেন। আলুর মজুদ, উৎপাদন নিয়ে স্বচ্ছ পরিসংখ্যান দেওয়ার জন্য আহবান জানান হয়। মত বিনিময় সভায় জানান হয় গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত বগুড়ার কোল্ড স্টোরেজে আলুর মজুদ ছিলো ২ লাখ ৯৪ হাজার ৫শ মেট্রিক টন। এত আলু থাকার পরও কেন দাম বাড়লো এই প্রশ্ন ছিলো বক্তাদের মাঝে।

আলোচনা সভায় ডিমের বাজার নিয়েও কথা বলেন বক্তারা।  ১০ টাকা ৪০ পয়সার ডিম কেমন করে ১৩ টাকায় বিক্রি হয়। এ নিয়েও বেশ আলোচনা হয়েছে। মত বিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, বাজার স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজের আড়ৎ, কোল্ড স্টোর গুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

স্পোশালাইডস কোল্ড স্টোরেজ ছাড়া কোথাও ডিম পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অধিক লাভের আশায় অবৈধভাবে মজুদ গড়ে তোলা যাবে না। তিনি বগুড়ার ২৬ জন ডিমের ডিলারকে সিন্ডিকেট না করার আহবান জানান।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS