ভিডিও

সীতাকুণ্ডে এইচএসসির ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণ

প্রথম পত্রের পরীক্ষা দিতে এসে পরীক্ষার্থীরা পেলেন দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন 

প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৪, ০৭:৩০ বিকাল
আপডেট: জুলাই ১২, ২০২৪, ০৬:৪০ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণের ঘটনা ঘটে ফলে দুই ঘণ্টা বিলম্বে পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রুটিন অনুযায়ী পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্রের পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাদের হাতে ধরিয়ে দিলো পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন। এমনটাই ঘটেছে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের ভাটিয়ারী ইউনিয়নের বিজয় সরণি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্রের প্রশ্ন হাতে পাওয়ার কথা ছিল শিক্ষার্থীদের। তবে প্রশ্ন হাতে পেয়েই সবার কপালে হাত। হলরুমে বসে প্রশ্ন পান পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্রের। পরে শিক্ষার্থীদের হৈচৈ দেখে ‘ভুল’ প্রশ্নটি নিয়ে নেওয়া হয়। এর প্রায় দুই ঘণ্টা পর সঠিক পত্রের প্রশ্ন হাতে পান পরীক্ষার্থীরা।

এদিকে, ভুল প্রশ্ন বিতরণের ফলে সকাল ১০টার পরীক্ষা শুরু হয়েছে দুপুর ১২টার দিকে। তবে কার ভুলে এমনটা হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, পরীক্ষার শুরুতে ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়। প্রশ্ন হাতে পেয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হৈচৈ শুরু হয়। এরপর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্রটি পুনরায় সংগ্রহ করে পরীক্ষা স্থগিত করে দেওয়া হয়। তবে ২ ঘণ্টা পর প্রথম পত্রের প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে পুনরায় পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি ও সীতাকুন্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে একটি। এরমধ্যে ইউএনও কার্যালয় থেকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আলাউদ্দিনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। কমিটির অপর দুজন সদস্যরা হলেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুস্তাফা আলম সরকার ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাবিবুল্লাহ। তবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যদের নাম জানা যায়নি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুস্তাফা আলম সরকার বলেন, পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করার দায়িত্ব থাকে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র সচিবের। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ট্রেজারি থেকে প্রত্যেক কেন্দ্র সচিবকে বা তাদের প্রতিনিধিকে প্রশ্নপত্র বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

ইউএনও রফিকুল ইসলাম বলেন, কার ভুলে এই ঘটনা ঘটেছে তদন্ত করে দেখা হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS