ভিডিও

সিরাজগঞ্জে এখনও পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ, ৮ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২৪, ১২:৪৪ দুপুর
আপডেট: জুলাই ১৩, ২০২৪, ১০:৫৮ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

মফস্বল ডেস্ক : সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি কমে জেলার বন্যার পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে। তবে, এখনও ৫টি উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। দীর্ঘ সময় পানিবন্দি থাকা এলাকাগুলোতে দেখা দিচ্ছে পানিবাহিত নানা রোগের প্রকোপ।

এদিকে বন্যার পানিতে ডুবে এখন পর্যন্ত জেলায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন-শাহজাদপুর উপজেলার দ্বারিয়াপুর মহল্লা আব্দুল হামিদের ছেলে মারুফ হোসেন (১৮), একই মহল্লার শাহ আলমের ছেলে সজল হোসেন (১৮), তৌহিদের ছেলে তন্ময় শেখ (২০), চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ইটাইল গ্রামের বায়েজিদের ছেলে কাউছার (৩), একই উপজেলার খাষপুকুরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম কোদালিয়া গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে মাহিম হোসেন (৫) ও সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার সাহেদ নগর ব্যাপারী পাড়ার আলী হোসেনের ছেলে রোমান হোসেন (১৪)। নিহত দুইজনের নাম-পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৭ জুলাই থেকে সিরাজগঞ্জে বন্যার পানি কমতে শুরু করলে অন্যত্র আশ্রয় নেওয়া বন্যাকবলিত মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেন। কিন্তু ১০ জুলাই ফের যমুনা নদীর পানি বাড়ায় বিপাকে পড়েন এসব এলাকার মানুষ। তবে, দুদিন পর যমুনার পানি আবার কমতে শুরু করেছে। একইসঙ্গে কমছে অভ্যন্তরীণ হুরা সাগর, কাটাখালী, ফুলজোড়, ইছামতী নদীর পানি।

শনিবার (১৩ জুলাই) সকালে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রঞ্জিত কুমার সরকার বলেন, গত ১২ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর শহর রক্ষা বাঁধের হার্ড পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে, কাজিপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখনও নদ-নদীর তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের প্রায় এক লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। যমুনার পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমির ফসল।

সিরাজগঞ্জ ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান জানান, জেলার ২৩ হাজার ৮শ’ পরিবারের এক লাখ ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ইতোমধ্যেই বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে ১৩৩ টন চাল, ৫ লাখ টাকা ও ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় চলতি বন্যায় এখন পর্যন্ত নৌকা ডুবে চারজন ও পানিতে ডুবে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS