ভিডিও

চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্ত্রী ও সহযোগীসহ কুখ্যাত স্বর্ণচোর গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২৪, ০৮:২৩ রাত
আপডেট: জুলাই ১৩, ২০২৪, ০৮:২৩ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জের কুখ্যাত স্বর্ণচোর ও অন্তত: ১৭টি চলমান মামলার আসামি আরিফুল ইসলাম ভটা (২৫), তার স্ত্রী সহযোগীও অন্তত: ৬টি চলমান মামলার আসামি শারমিন আক্তার (২৩) এবং অপর ৩ সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযানে উদ্ধার হয়েছে চুরিকৃত ১টি স্বর্ণের চেইন, ২টি আংটি, ১টি মোটরসাইকেল, ২৭ গ্রাম হেরোইন, ১টি খালি ফেনসিডিলের বোতল ও মাদকসেবন উপকরণ। ভটা চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের পিটিআই বস্তির মো. দুলালের ছেলে। 

শুক্রবার রাত ১১টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের ফুলকুঁড়ি এলাকায় ভটার ভাড়াবাড়ি থেকে স্ত্রীকে জব্দকৃত মাদক ও মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্যে রাতব্যাপী অভিযানে তাদের সহযোগী জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর গ্রামের সমসের আলীর দুইছেলে ইব্রাহিম খলিল (৩০) ও ইউসুফ আলী (২৫) এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মহারাজপুর লালাপাড়া গ্রামের চন্ডি কর্মকারের ছেলে স্বর্ণকার দীপক কর্মকারকে (৪১) স্বর্ণসহ গ্রেপ্তার করা হয়। ভটার বিরুদ্ধে চুরি ছাড়াও সস্ত্রীক মাদক ব্যবসা ও সেবনেরও অভিযোগ করেছে পুলিশ। দীপককে গ্রেপ্তারকালে জব্দ হয় চেইন ও আংটি।

শনিবার বেলা ২টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় প্রেস ব্রিফিং-এ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, ভটা মূলত: ভেন্টিলেটর দিয়ে ঘরে প্রবেশে পারদর্শী। তার মূল উদ্দেশ্য থাকে স্বর্ণ, টাকা, মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান সামগ্রী চুরি করা। এ কাজে তার স্ত্রী তাকে সাহায্য করে। সে সস্ত্রীক মাদকাসক্ত হওয়ায় নেশার টাকা যোগাতেই এ কাজ করে। তাদের সহযোগী ইব্রাহিম ও ইউসুফ দম্পতিকে স্বর্ণসহ চোরাই মালামাল বিক্রিতে সাহায্য করে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, গত ৭ জুলাই জেলা শহরের পাঠানপাড়া মহল্লায় ভেন্টিলেটর ভেঙে একটি দোতলা বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে চেইন, আংটি, টাকা এবং মোবাইল ফোন লুটের মামলার আসামি গ্রেপ্তার অভিযানে প্রথমে সস্ত্রীক ভটা গ্রেপ্তার হয়। এসময় মাদক উদ্ধারের ঘটনায় সস্ত্রীক তার বিরুদ্ধে গতকাল শনিবার সদর থানায় নতুন আরেকটি মামলা হয়েছে। সস্ত্রীক ভটা, তার সহযোগী ও তাদের বিভিন্ন থানায় সংগঠিত অপকর্মের ব্যাপারে বিস্তারিত তদন্ত ও জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। গতকাল বিকেলে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহিদী হাসান, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নুরুল কাদির সৈকত, সদর থানা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ রেজেয়ান চৌধুরী প্রমুখ।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS