ভিডিও

কুড়িগ্রামে চরম খাদ্য সংকটে গবাদিপশু বন্যাক্রান্ত ৫৮ হাজার পশু ও হাঁস-মুরগি

প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২৪, ১০:৩০ রাত
আপডেট: জুলাই ১৫, ২০২৪, ১০:৩০ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামে বন্যার পানি নেমে যাওয়া শুরু হলেও চলতি বন্যায় গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যা আক্রান্ত হয়েছে ৫৮ হাজার ২৯৮টি গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি। পানিবন্দি হয়েছে দুই লক্ষাধিক মানুষ। ফলে বন্যার্ত মানুষ নিজের নানা কষ্টের পাশাপাশি গো-খাদ্য সংকটে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

গত ১৩ দিন ধরে জেলার ৯ উপজেলায় ৫৫টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভায় এ অবস্থা বিরাজ করছে। এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোনাক্কা আলী। টানা ১৩ দিনব্যাপী বন্যায় সরকারিভাবে বন্যা কবলিতদের সংখ্যা ১ লাখ ৪৩ হাজার ১৩৭জন।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোনাক্কা আলী জানান, চলতি বন্যায় জেলায় গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি পানিবন্দি হয়েছে ৫৮ হাজার ২৯৮টি। এর মধ্যে গরু ১০ হাজার ৮১৫টি, মহিষ ৪৫৭, ছাগল ৪ হাজার ৯২৭, ভেড়া ১ হাজার ৮১৬, হাঁস ৫ হাজার ৫০৩টি ও মুরগি ৪৪ হাজার ৫৮০টি। প্লাবিত চারণভূমির পরিমাণ ৪৯২ একর, ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে ১১৬ মে. টন।

বন্যার সময় গবাদিপশুর বিভিন্ন রোগব্যাধি হয়। এজন্য আমরা ২০টি মেডিকেল টিম গঠন করেছি। গরুর ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে ৫ হাজার ৫৫০টি, হাঁস-মুরগির ১০ হাজার ৫২০টি, এছাড়া ২ হাজার ৫২০টি গবাদিপশুর বিভিন্ন চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গবাদিপশুর খাদ্যের ব্যাপারে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেবো।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর বলেন-বন্যার পানি একটু কমতে শুরু করেছে। কিন্তু গো-খাদ্য নিয়ে বানভাসীরা খুব সংকটে আছে। বন্যা শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত আমার ইউনিয়নে কোন প্রকার গো-খাদ্য সরবরাহ করা হয়নি।

বন্যার্ত ভুক্তভোগীরা বলেন, সরকারি ও বেসরকারিভাবে বানভাসীদের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হলেও গবাদিপশুর জন্য কেউ খাদ্য সহায়তা করছেন না। অনেক পরিবারের একমাত্র সম্বল গবাদিপশু। তারা বন্যার কারণে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, হাঁস ও মুরগি নিয়ে বিপাকে আছে। তাদের ঘরে যে গো-খাদ্য মজুদ ছিল তা শেষ হয়েছে বা প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে।

ফলে গবাদিপশুর খাদ্য নিয়ে বিপাকে সবাই। চলতি বন্যায় জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ৬টি উপজেলার ৫৫টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়। এসব ইউনিয়নের অধিকাংশ নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘরে পানি উঠেছে। বন্য আশ্রয়কেন্দ্র, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ও পাকা রাস্তায় রাস্তায় ও চরে উঁচু স্থানে গরু, ছাগল বেঁধে রেখেছে। অনেক বানভাসি পরিবারও সেখানে আশ্রয় নিয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS