ভিডিও

বগুড়ার ধুনটে সংস্কার অভাবে খানাখন্দকে ভরা পাকা সড়কে মরণফাঁদ, চরম দূর্ভোগ

প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২৪, ০৭:০১ বিকাল
আপডেট: জুলাই ২৭, ২০২৪, ০৭:০১ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : ধুনট উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের শ্যামগাঁতী গ্রামীন পাকা সড়কের এক কিলোমিটার অংশ মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ভগ্নদশায় কোথাও কোথাও চেনার উপায় নেই যে, এটি মাটির রাস্তা না, পিচঢালা সড়ক। সড়ক দিয়ে হেঁটে চলার কোনো উপায় নেই। সড়কটির এই দশা প্রায় চার বছর ধরে।
সরেজমিন দেখা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে প্রায় ১৫বছর আগে সড়কটি পাকা করা হয়।

পরবর্তীতে এ সড়কটি সংস্কার করা হয়নি। সড়কের অনেক জায়গায় খোয়া, বালু ও পিচের চিহ্নমাত্র নেই। বেরিয়ে পড়েছে মাটি। সড়কের ইটের টুকরোগুলো উঁচু-নিচু হয়ে আছে স্থানে স্থানে। সড়কজুড়ে পিচ ওঠা গর্ত। মাঝেমধ্যেই উল্টে যায় গাড়ি। পাকা সড়ক এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বেহাল এই সড়কে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয় রোগীদের। অন্তঃসত্ত্বাদের নিয়ে অসহায় অবস্থায় পড়তে হয় পরিবারের সদস্যদের। কারণ, জরুরি মুহূর্তে কোনো অ্যাম্বুলেন্স বা সিএনজি যাতায়াত করানো যায় না।

ভাঙাচোরা সড়কে রাতের বেলায় প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনাও ঘটছে। সড়কগুলো ভাঙা থাকায় বয়স্ক ব্যক্তি, নারী, শিশু ও রোগীদের পথ চলতে সমস্যা হয়। এ সড়ক দিয়ে বিভিন্ন হাটের ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য আনা নেওয়া করে থাকে। কিন্তু সড়কের বেহাল দশার কারণে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি যানবাহন চালকদেরও ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

অটোভ্যান চালক রিপন, জাহাঙ্গীর, সবুর, হানিফ, পলাশ ও তারেক জানান, এ সড়কে অটোভ্যান চালাতে দুর্ভোগে পড়তে হয়। কেননা এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্ত আছে। সড়কে খানাখন্দের কারণে প্রায়ই অটোরিকশার বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যায়। এতে আয়ের একটি বড় অংশ চলে যায় অটোরিকশার রক্ষণাবেক্ষণ খাতে। তা ছাড়া খানাখন্দের কারণে যাত্রীদেরও সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়।

স্থানীয় বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, রাস্তার পাশ দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হেটে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করেই একটি সিএনজি এসে আমার পাশ দিয়ে চলে যাওয়ার সময় খানাখন্দে জমে থাকা ময়লা পানি ছিটকে আমার কাপড়চোপড় নোংরা হয়ে গেছে। যদি সড়কটি ভাঙাচোরা না থাকত, তাহলে পথচারীদের এমন দুর্ভোগ সহ্য করতে হতো না।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ধুনট উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল সাজ রিজন বলেন, বেহাল সড়ক মেরামতের জন্য প্রাক্কলন তৈরি করে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে মেরামত কাজ শুরু করা হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS