ভিডিও

রংপুরে দুস্কৃতকারীদের সহিংসতায় রসিকের ক্ষতি সোয়া ৩ কোটি টাকা

প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২৪, ০৭:৫৫ বিকাল
আপডেট: জুলাই ২৮, ২০২৪, ০৭:৫৫ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

রংপুর জেলা প্রতিনিধি : কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে দুষ্কৃতকারীদের সহিংস তাণ্ডবে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রায় তিন কোটি বিশ লাখ টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। আন্দোলন ঘিরে সংঘাত ও প্রাণহানির ঘটনায় জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি কোনো নিরাপরাধ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য আইন প্রয়োগকারী সকল সংস্থাকে অনুরোধ জানিয়েছেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।

আজ রোববার (২৮ জুলাই) সকালে নগর ভবনের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান। 
এসময় সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমা, সচিব জয়শ্রী রানী রায়, নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আনিচুজ্জামান, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত দুষ্কৃতকারীরা রংপুর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন জায়গায় স্থাপিত মূল্যবান সম্পদ ধ্বংস করে। ভাঙচুর, ক্ষতিগ্রস্ত ও লুটপাটকৃত মালামালের মধ্যে রংপুর সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে স্থাপিত ক্যামেরাসমূহের মধ্যে ৬৪টি সিসি ক্যামেরা, নগরজুড়ে আনুমানিক ৩০ কিলোমিটার ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল, তিনটি এলইডি টিভি, নগর ভবনের প্রধান প্রবেশ ফটকে স্থাপিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ দুপাশে স্থাপিত চারটি সিসি ক্যামেরা, নিরাপত্তা প্রহরীর কক্ষ ও প্রশাসনিক ভবনের জানালার থাই গ্লাস, প্রধান ফটকের দুইপাশে অবস্থিত গার্ডেন লাইটসমূহ, ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয় রয়েছে।

এছাড়াও নগর ভবনের সামনে থেকে লালবাগ রেল ক্রসিং পর্যন্ত রাস্তার মাঝখানে, কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালের ফুট ওভারব্রিজের নিচের দুই পাশে অবস্থিত ডিভাইডার প্রটেকশন গ্রিল এবং শাপলা চত্তরের গোল চত্তরের গ্রিলসমূহ, জাহাজ কোম্পানি মোড় ও লালকুঠি মোড়ে স্থাপিত ডিজিটাল ট্রাফিক সিগন্যাল, কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালের দুইটি এলইডি সাইনসহ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন সম্পদের ক্ষতিসাধন করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে ক্ষয়ক্ষতির আনুমানিক পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা।

দুষ্কৃতকারীদের হাতে থাকা লোহার রড, এসএস পাইপসহ দেশিয় অস্ত্র ও ইট পাটকেল দ্বারা ভাংচুর আরম্ভ করলে নিরাপত্তা কর্মীরা তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় তাদের মারমুখী আচরণে নিরাপত্তাকর্মীরা পিছু হটলে তারা সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে স্থাপিত স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। এসব ঘটনায় মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় একটি মামলা হয়েছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে যে সংঘাত ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, তা নিন্দনীয় দাবি করে মেয়র বলেন, সহিংসতার ঘটনায় জড়িত দায়ি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নিরাপরাধ সাধারণ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য আইন প্রয়োগকারী সকল সংস্থাকে অনুরোধ করেন তিনি।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS