ভিডিও

আকাশে দিনভর রৌদ্র-মেঘের খেলা, আর্দ্রতার অধিক্যে দুঃসহ জনজীবন

প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২৪, ০৮:১৭ রাত
আপডেট: জুলাই ৩০, ২০২৪, ১১:২৩ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : তাপমাত্রার ওঠানামার মধ্যে দিয়ে শ্রাবন পার করছে তার ১৫তম দিন। তারপরও ঝুম বৃষ্টির দেখা নেই। মধ্য শ্রাবণেও দেশের ১৫ জেলায় বইছে মৃদু তাপপ্রবাহ। মেঘ ও রোদের খেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাত হলেও গরম থেকে রেহাই মিলছে না। মাথার ওপরের সূর্য যেন ঠিকরে পরছে। শরীর ঘামছে দরদর করে। আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে আভাস দিয়েছে দুই একদিনের মধ্যেই তাপমাত্রা কমে জনজীবনে স্বস্তি নেমে আসবে।

তবে আশার কথা হলো নতুন করে তাপপ্রবাহ শুরু হলেও তা গত এপ্রিল মাসের মত অতি তীব্র হওয়ার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা গত শনিবারের চেয়ে আজ সোমবার (২৯ জুলাই) তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও গরমের মাত্রা খুব একটা কমেনি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে জনজীবনে আকাশ থেকে যেন নামছে আগুনের তীব্র শিশা । চোখ-মুখ পুড়ে যাচ্ছে। এক মুহূর্ত রোদে দাঁড়ানো যাচ্ছিল না। মনে হচ্ছিল যেন ফোসকা পড়ছে গায়ে। ঘরেও থাকা যাচ্ছে না, শরীর ঘামে চিটচিট করছে।

অস্বস্তি হচ্ছে দিনে রাতে। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও গরম কমার কোন সুখবর নেই। তবে বাতাসে আর্দ্রতা বা জলীয় বাষ্প বেড়ে যাওয়ায় গরমে অস্বস্তিকর অনুভূতি আরও বেড়ে গেছে। এই গরম থেকে পরিত্রাণ পেতে মানুষ ঝুম বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করছে। আবহাওয়ার এমন রুদ্ররূপে মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে।

আকাশে মাঝে মাঝে মেঘের দেখা দিলেও পরমুহূর্তে আবারও রক্তচক্ষু বের করছে সুর্য। এই আবহাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটেখাওয়া মানুষ, শিশু, বৃদ্ধরা। তেতে ওঠা বিছানায় তারা থাকতে পারছে না। বাইরেও বের হতে পারছে না। শিশু ও কিশোররা দিনে ৩ থেকে ৪ বার করে গোসল করেও রক্ষা পাচ্ছে না। হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়া, বসন্ত, জ¦রসর্দি ও হৃদরোগে আক্রান্তের রোগী বেড়েছে।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে এবং তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা আছে। তবে তীর্যক রোদে গরমের মাত্রাকে ভয়াবহ করে তুলেছে বাতাসে আর্দ্রতার আধিক্য। এ অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পারে  ভারি বৃষ্টিপাত।

তিনি জানান, সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি ধরনের ভারি, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে ভারি এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে তাকে বলা হয়ে থাকে অতিভারি বৃষ্টিপাত।

বগুড়া আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, আজ সোমবার (২৯ জুলাই) বগুড়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। গতকাল রোববার ছিল ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাস্পের পরিমাণ ছিল সকাল ৬ টায় ৮৭ শতাংশ ও সন্ধ্যা ৬ টায় ছিল ৬৭ শতাংশ। আর আর্দ্রতা বেশি থাকায় মানুষের গরমের মাত্রা বেশি মনে হচ্ছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS