ভিডিও

দলিল লেখকদের আন্দোলনে, বগুড়া সদর রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল হচ্ছেনা

কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার

প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৪, ০৮:৩০ রাত
আপডেট: জুলাই ৩১, ২০২৪, ১২:০৪ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়া সদরের দলিল লেখকরা গত ২২দিন ধরে দলিল লেখকরা দলিল লেখা থেকে বিরত থাকায় সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বগুড়া সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহকারি তানজিল আল সরকারে বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে গত ৮ জুলাই থেকে দলিল লেখা বন্ধ রাখে বগুড়া সদরের দলিল লেখকেরা।

দলিল লেখকেরা তাকে অপসারণের দাবিতে জেলা রেজিস্ট্রার মো. রফিকুল ইসলামের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগ করে বগুড়া সদর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মোকছেদুর রহমান জানান, দলিল রেজিস্ট্রি করতে গেলে  তানজিল আল সরকার মহরারদের সাথে অসাদাচরণ করেন। নানা ছুতোয় ফিরিয়ে দিয়ে তিনি ক্রেতা বিক্রেতাদের হয়রানী করেন।

তার স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে জেলা রেজিস্ট্রারের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। অফিস সহকারি তানজিল আল সরকার জানান, জমি ক্রেতা বিক্রেতাদের হয়রানী করার কোন সুযোগ নাই। অনেক দলিল লেখক জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে দলিল লিখে রেজিস্ট্রির জন্য দেয়। শ্রেণি পরিবর্তন করা অপরাধ।

এছাড়াও অনেক জমি বিক্রেতার ডিসিআর থাকেনা, খাজনা পরিশোধ থাকেনা। এগুলো না থাকলে জমি রেজিস্ট্রি করা যায়না। দলিল লেখকদের যদি এসব বিষয়ে বলা হয় তখন তারা  হয়রানির অভিযোগ করেন। তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সত্য নয়।

এদিকে দলিল লেখকদের বিরুদ্ধে দলিলের কপি বা জাবেদা নকল নিতে গেলে আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এর খরচ ১২ থেকে ১৩শ টাকার বেশি লাগে না।

আবার জমি রেজিস্ট্রি করতে গেলে সমিতির নামে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা চাঁদা নেওয়া হয়। সমিতির চাঁদা পরিশোধের  সীল স্বাক্ষর ছাড়া জমি রেজিস্ট্রি করা যায়না। এছাড়াও নানা অভিযোগ করা হয়েছে সমিতির বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে বগুড়া সদর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মোকছেদুর রহমান রোজী আরও জানান, দলিলের নকল নিতে তারা যে টাকা নেন তা খরচ হয়ে যায়। সার্চ দিয়ে দলিল বের করা সহ অনেক পরিশ্রম করা হয় সেজন্য অতিরিক্ত কিছু টাকা নেওয়া হয়। আর দলিল করতে সমিতির ফি বা চাঁদা নেওয়া হয়না।

বগুড়া জেলা রেজিস্টার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, তানজিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে দলিল লেখকেরা, বিষয়টি সমাধানের জন্য তাদেরকে নিয়ে বসা হয়েছিলো। তিনি আশ^স্ত করে বলেন, দুই এক দিনের মধ্যে বিষয়টির সুরাহা হবে। তিনি বলেন, বগুড়া সদরের দলিল লেখকেরা দলিল না লিখলেও দলিল রেজিস্ট্রি বন্ধ নাই।

প্রতিদিন দলিল রেজিস্ট্রি হচ্ছে। তবে সংখ্যায় কিছুটা কমে গেছে। তিনি বলেন, যারা জমি দলিল করতে চান তাদের জানা প্রয়োজন জমি রেজিস্ট্রি বন্ধ নাই। চলমান আছে। যে কোন উপজেলার দলিল লেখকেরা দলিল লিখে জমা দিলে রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, কেউ ইচ্ছে করলেই শাজাহানপুর, গাবতলী বা অন্য কোন উপজেলার দলিল লেখক বা কোন আইনজীবী দলিল লিখে জমা দিলে রেজিস্ট্রি হবে। বগুড়া সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের কার্যক্রম বন্ধ নাই। চলমান রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক অবগত হয়েছেন। তিনি আজ মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সদর সাব রেজিস্ট্রারকে ডেকে নির্দেশনা দিয়েছেন। দুই একদিনের মধ্যে সব সমাধান হয়ে যাবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS