ভিডিও

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে সোনাহাট সেতুর পাটাতন ভেঙে ভারি যান চলাচল বন্ধ

প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৪, ১০:১৬ রাত
আপডেট: জুলাই ৩০, ২০২৪, ১০:১৬ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

কুড়িগ্রাম জেলা ও ভূরুঙ্গামারী প্রতিনিধি : প্রায় দেড়শ’ বছরের পুরনো মেয়াদোত্তীর্ণ সোনাহাট সেতুর পাটাতন ভেঙে যাওয়ায় ভারি যানবাহন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। সেতুটি দীর্ঘদিনের পুরানো ও মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও এতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে আসছে হালকা ও ভারি যানবাহনসহ কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় সোনাহাট স্থলবন্দরসহ দু’টি উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ।

সোনাহাট স্থলবন্দর এবং ভুটানের সাথে অর্থনৈতিক অঞ্চলের কার্যক্রম ব্যাহত না হয় সেজন্য ঝুঁকিপূর্ণ রেলসেতুর পাশে দুধকুমার নদের দক্ষিণে ২০১৮সালে ২৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৪৫ মিটার দৈর্ঘ্যের সোনাহাট সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ওই সেতুর নির্মাণ কাজের মেয়াদ শেষ হলেও কয়েক দফা মেয়াদ এবং বরাদ্দ বৃদ্ধি করেও আজও কাজ শেষ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তাই সেতুটির কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি স্থানীয়দের।

আজ মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে সোনাহাট স্থলবন্দর থেকে বালু বোঝাই একটি ট্রাক সোনাহাট সেতুর পূর্ব প্রান্তে ওঠে। এসময় সেতুর স্টিলের অংশে পাটাতন ভেঙে ট্রাকটি আটকিয়ে যায়। এতে করে সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম দিকে শত শত ট্রাকসহ ভারি ও হালকা যানবাহন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। সেতুর দুই পাড়ে যানবাহনের লম্বা সারি দেখা যায়।

এতে যানজটের সৃষ্টি হয়। সেতু দিয়ে পারাপার হতে না পেরে অনেকেই নৌকা দিয়ে পারাপার হয়। আটকে যাওয়া ট্রাকটি উদ্ধার করে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর হালকা যানবাহন চলাচল শুরু করে। সোনাহাট স্থলবন্দরের আমদানি ও রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রতি মাসে সড়ক বিভাগ সেতুটি মেরামত করে থাকে। আর এই সেতু দিয়ে যদি পণ্যবাহী গাড়ি না চলে, তাহলে  স্থলবন্দরের আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

এতে সরকার রাজস্ব হারাবে। কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, সেতুর পাটাতন ভেঙে গিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়। দ্রুত মেরামতের কাজ চলছে। খুব তাড়াতাড়ি সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

স্থানীয় এমদাদুল হক বলেন, এই রেলসেতু দিয়ে ভারি গাড়ি চলাচলের সময় সেতুটি কাঁপতে থাকে। এছাড়া সরু রেলসেতু দিয়ে যখন একটি ট্রাক যায় তখন অন্য কোনো যানবাহন যাওয়ার জায়গা থাকে না। এতে সেতুর দুই প্রান্তে প্রতিনিয়ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

জানা যায়, সেতুটির বিভিন্ন স্থানে পাটাতন ভেঙে গেছে এবং ট্যাঙ্ক জাম (লোহার পাতি) খুলে গেছে। তবুও জীবন জীবিকার তাগিদে দীর্ঘদিন ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে মানুষজন। ব্রিটিশ শাসন আমলে ১৮৮৭ সালে লালমনিরহাট থেকে ভারতের গৌহাটি পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন করা হয়। তারই অংশ হিসেবে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দুধকুমার নদের ওপর নির্মিত হয় ১২শ’ ফুট দীর্ঘ একটি সোনাহাট রেলসেতু।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS