ভিডিও

শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে কর্মস্থল ত্যাগ করলেন বগুড়া পলিটেকনিকের অধ্যক্ষ

প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২৪, ০৮:০১ রাত
আপডেট: আগস্ট ১৩, ২০২৪, ১২:৫৮ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু সাইম জাহানের বিরুদ্ধে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দূর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। গতকাল রোববার বিকেল ৫টার মধ্যে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। অবশেষে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে তিনি কর্মস্থল ত্যাগ করেন।

আজ সোমবার (১২ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক খরোশেদ রেজা বলেন, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বেচ্ছাচারিতা, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে শিক্ষার্থীদের নম্বর কাটাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এছাড়া তার বিরুদ্ধে দুইটি ফৌজদারি মামলা গোপন রেখে চাকরিতে যোগদান, শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে কথা বলতে গেলে তাদের নাম লিখে রেখে অকথ্য ভাষায় গালিও দিতেন তিনি।  প্রতিষ্ঠানের বর্তমান পরিস্থিতি ও শিক্ষার মান উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করেছেন এই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু সাইম জাহান। খোরশেদ রেজা আরও বলেন, দীর্ঘ আড়াই বছর যাবৎ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছেন তিনি।

এ কারণে শিক্ষার্থীরা তার অপসারণ দাবি করে রোববার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেন। পরে বিকেল ৫টার পর তিনি কর্মস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য হন বলে তিনি জানান। এদিকে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু সাইম জাহান কর্মস্থল ত্যাগ করায় কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করে আজ সোমবার (১২ আগস্ট) ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক কর্মচারীদের সর্বসম্মতিক্রমে ওই ইন্সটিটিউটের মেকানিক্যাল বিভাগের চিফ ইন্সট্রাক্টর শফিউল আল আজিজকে অধ্যক্ষের রুটিন দায়িত্ব (আর্থিক লেনেদেন ব্যতিত) দেওয়া হয়েছে।

এই বিষয়ে শফিউল আল আজিজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু সাইম জাহান শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে রোববার বিকেলে প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করেন। আজ  (সোমবার) উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাকে অধ্যক্ষের রুটিন দায়িত্ব পালনের জন্য বলেছেন।

এদিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু সাইম জাহানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি কারো কারো ব্যক্তিগত রোষানলের শিকার। যাদের ব্যক্তিগত রোষানলের শিকার তারাই ছাত্রদের তার বিরুদ্ধে উস্কে দিয়েছেন।

এর আগেও তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনা হয়েছিল। তদন্ত করে কোন অভিযোগ প্রমাণ হয়নি। তার নামে করা মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে দুটো মামলা হয়েছে এর দু’টিই মিথ্যা অভিযোগে করা। এর মধ্যে একটি মামলা খারিজ হয়েছে এবং অপরটি বিচারাধীন রয়েছে। তবে ছাত্রদের আন্দোলনের পর তিনি ঊর্ধ্বতন কর্র্তপক্ষের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে মৌখিকভাবে চারদিনের ছুটি নিয়েছেন বলে জানান।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS