ভিডিও

বগুড়ায় শেষের পথে রোপা আমন চাষাবাদ

মৌসুমের শুরুতে কাক্সিক্ষত বৃষ্টি না হলেও ভাল ফলনের আশা

প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২৪, ০৮:০৭ রাত
আপডেট: আগস্ট ১২, ২০২৪, ০৮:০৭ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : আর দু’এক দিন পরেই শ্রাবণে শেষ হবে বর্ষাকাল। বর্ষা শেষের সাথে সাথে বগুড়ায় শেষের পথে আমান চাষাবাদও। জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত বগুড়ায় ৮৪ শতাংশ জমির আমন রোপণ কার্যক্রম শেষ হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, চলতি মৌসুমে আষাঢ় মাসের শুরুতে কাঙ্খিত বৃষ্টির কমতি থাকলেও সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে বগুড়ার মাঠের বেশিরভাগ জমিতেই আমন ধানের চারা মাথা তুলেছে। যদিও ইরি-বোরো কাটার পরপরই যে বৃষ্টি হয় তা ছিল প্রত্যাশিত। সেই বৃষ্টির পানিতেই কৃষকরা বীজতলা তৈরি করে আমন চাষের প্রস্তুতি শুরু করেন।

তবে মাঝের কিছু সময় সারা দেশে বয়ে যাওয়া তাবদাহে সময়মত আমন চাষাবাদ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়। ওই বৈরি আবহাওয়ায় আমন ধান চাষাবাদে কিছুটা বিলম্ব হলেও শঙ্কা কাটিয়ে শেষের পথে আমান ধান রোপণের কাজ। বগুড়া সদরের শ্যামবাড়িয়া এলাকা কৃষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, এই এলাকার আমন ধান রোপণের মতো কোন জমিই আর ফাঁকা নেই। কিছু জমি ফাঁকা থাকলেও দু’এক দিনের মধ্যেই তা শেষ হয়ে যাবে।

কালশিমাটি এলাকার কৃষক আতাউর রহমান বলেন, আমনের বীজতলায় বীজ বপণের পর তাবদাহে ও বর্ষার শুরুতে বৃষ্টি না থাকায় সময়মত আমন ধান রোপণ নিয়ে কিছুটা শঙ্কা তৈরি হয়। তবে বর্তমান অনুকূল আবহাওয়া সময় নষ্ট না করে অত্র এলাকার সবাই ধান রোপণ প্রায় শেষ করে ফেলেছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়া সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ায় চলতি রোপা আমন মৌসুমে এক লাখ ৮৩ হাজার ৫২০ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৯৮ হাজার ৩১৬ মেট্রিকটন। হেক্টর প্রতি উৎপাদন ধরা হয়েছে ৩ দশমিক ২৬ মেট্রিকটন।

এই কার্যালয়ের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুর রহমান জানান, বগুড়ায় এখন পর্যন্ত এক লাখ ৫৩ হাজার ৯৬৩ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণ করা হয়েছে, যা মোট চাষাবাদের ৮৪ শতাংশ। এরমধ্যে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) চাষাবাদ হয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৫৫৫ হেক্টর, হাইব্রিড ৮ হাজার ২৫০ হেক্টর এবং স্থানীয় জাত চাষ হয়েছে ১৫৮ হেক্টর।

এই কর্মকর্তা বলছেন, বগুড়াতে অনুকূল আবহাওয়ায় প্রত্যাশিতভাবেই আমন চাষাবাদ কার্যক্রম চলছে। কোন কিছুর সংকট না থাকায় আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করতে পারে এবং ভাল ফলনও হবে বলে মনে করছে জেলার কৃষি বিভাগ।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS