ভিডিও

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বাজার মনিটরিং করলো শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২৪, ১০:৪৩ রাত
আপডেট: আগস্ট ১২, ২০২৪, ১০:৪৩ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি : দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান উর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ বেশ অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। চাল থেকে শুরু করে প্রতিটি পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। বাজারে যথাযথ তদারকি না করার ফলে পণ্যের দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে।

বিশেষ করে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে একের পর এক কারফিউ জারি এবং ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে ক্রেতারা এ সমস্যায় পড়েছেন। তাই এবার নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বিভিন্ন বাজারে শিক্ষার্থীরাই মনিটরিং শুরু করেছে। আজ সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা এ কার্যক্রম পরিচালনা করে।

এ সময় শিক্ষার্থীদের সাথে কয়েকজন শিক্ষকও এ কাজে মাঠে নামে। শিক্ষার্থীদের এ কার্যক্রমকে সাধারণ মানুষ স্বাগত জানিয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলছে, তারা প্রতিটি বাজারে টিম গঠন করে মনিটরিং চালাচ্ছে, যাতে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম না বাড়াতে পারে।

আজ সোমবার (১২ আগস্ট) সকালে তমালতলা বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা কাঁচাবাজার, মাছ বাজার, মাংসের বাজারে মূল্যতালিকা দেখছেন। তালিকা অনুযায়ী ঠিক দামে বিক্রি হচ্ছে কিনা তাও দেখেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা বাজারের সব বিক্রেতাকে বলে আসেন তারা যেন কোনো ধরনের চাঁদাবাজি না করেন, নিজেরাও যেন কাউকে চাঁদা না দেন।

এসময় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির জন্য পাইকারি বাজারের সিন্ডিকেটকে দায়ী করেন বিক্রেতারা। এছাড়া চিনি স্টক করে রাখা, মাছ ও মুরগির ওজনে কারচুপি, বাজারে চাঁদাবাজি এবং রাস্তার ওপর দোকানপাট, সিএনজিচালিত অটোস্ট্যান্ড পর্যবেক্ষণ করা হয়।

ব্যবসায়ীরা বলেন, শিক্ষার্থীরা আজ বাজারে এসে আমাদের দোকান ঘুরে ঘুরে মনিটরিং করেছে। কেউ যদি অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি করে, তবে তাকে বয়কটের কথা জানিয়েছেন তারা। এছাড়া কেউ যদি কোথাও চাঁদাবাজি করতে আসে, তাদের (শিক্ষার্থীদের) সাথে যোগাযোগ করতেও বলা হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে।

শিক্ষার্থীরা জানান, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা কাঁচাবাজার, মাছ বাজার, আড়ৎ, পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন পণ্যের মূল্য পর্যবেক্ষণ করছি। সাধারণ মানুষের সবচেয়ে বড় ভোগান্তির জায়গা হলো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম।

এ কারণেই আমরা উপজেলার সবকটি বাজারে মনিটরিং চালাচ্ছি। মূল্য নির্ধারণ এবং সিন্ডিকেট মোকাবিলায় তারা সদা তৎপর। ব্যবসায়ী, ক্রেতা, বিক্রেতারা এই বিষয়ে তাদের সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS