ভিডিও

সিরাজগঞ্জে রোপা আমন ধান চাষাবাদে ব্যস্ত কৃষক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২৪, ০৬:১৬ বিকাল
আপডেট: আগস্ট ১৪, ২০২৪, ০৬:১৬ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় শুরু হয়েছে আগাম জাতের রোপা আমন ধানের চাষাবাদ। মাঠে মাঠে একাজে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক ও শ্রমিকরা। প্রতিবছর সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় আগাম জাতের রোপা আমন ধানের চাষাবাদ হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গত কয়েকদিনে বৃষ্টির পর কৃষকরা কোমর বেঁধে ধান চাষাবাদে মাঠে নেমেছেন।

একদিকে চলছে মেশিনের সাহায্য হালচাষ। অন্যদিকে বীজতলা থেকে চারা তুলে ধান লাগানো। এমন চিত্র জেলার প্রায় সব উপজেলাতেই। জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে চলছে ধানের চারা ক্রয়-বিক্রয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলায় চলতি মৌসুমে ৭৫ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

আগাম জাতের এ ধান কাটার পর সে সময় বাজারে চালের সংকট ও দাম নিয়ন্ত্রণে বড় ভূমিকা রাখে। ধানকাটার পর কৃষকরা আবার একই জমিতে সরিষার আবাদ করতে পারেন। এ চাষাবাদে কৃষকরা প্রতিবছর লাভবান হয়। জেলার সলঙ্গা হাটে গিয়ে দেখা যায়, নানা জাতে রোপা আমন ধানের চারা বিক্রির হাট বসেছে। হাটে স্বর্ণা ৫, কাটারি, গুটি স্বর্ণা, রণজিৎ ৪৯ ধানের চারা বেশি বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন চলছে হাট। এখানে ১শ’ আটি ধানের চারা ৩শ' টাকা দরে ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে।

এ হাটে ধানের চারা ক্রয় করতে আসা সলঙ্গার অলিদহ গ্রামের কৃষক কোরবান আলী জানান, এবার তিনি তিন বিঘা জমিতে রোপা আমন ধান লাগাচ্ছেন। তাই হাটে এসেছেন ধানের চারা ক্রয় করতে। তবে দাম একটু বেশি দেখা যাচ্ছে। এ কৃষক উল্লেখ করেন ভাদ্র-আশ্বিন মাসে ধান লাগিয়ে অগ্রহায়ণ মাসে কেটে ঘরে তোলা যায়। এরপর আবার সরিষার আবাদ করেন। এতে তিনি প্রতিবছর মোটামুটি ভাল টাকা আয় করে থাকেন।

সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সুত্রধর জানান, জেলা জুড়ে এবার ব্যাপকভাবে রোপা আমন ধানের চাষাবাদ হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৬৫ ভাগ ধান লাগানো শেষ হয়েছে। ১১০ দিনের মধ্যে এ ধানকেটে একই জমিতে আবার বারি জাতের সরিষা লাগায় কৃষকরা। সরিষা তোলার পর আবার ইরি বোরো লাগায়। এভাবে একটি জমি থেকে কৃষকরা তিন ফসল ঘরে তুলতে পারে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS