ভিডিও

নাটোরের গুরুদাসপুরে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২৪, ০৬:২৩ বিকাল
আপডেট: আগস্ট ১৪, ২০২৪, ০৬:২৩ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোরের গুরুদাসপুরে চোর সন্দেহে উজির আলী (৩৫) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা’ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বীরবাজার এলাকার সড়কের পাশে নিহত ব্যক্তির মরদেহটি পাওয়া যায়।

নিহত উজির আলী পার্শ্ববর্তী সিংড়া উপজেলার চামারি ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামের  মো. খোরশেদ মাদারের ছেলে। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ পৌঁছেছে। নাজিরপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের ইজি বাইক চালক আব্দুল মালেকের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি পেশায় একজন ইজি বাইক চালক। গত সোমবার ইজিবাইক চালানোর পর নিজ বাড়ির একটি ঘরে ইজিবাইকটি চার্জ দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।

রাত আনুমানিক তিনটার দিকে ইজিবাইক রাখা ঘর থেকে চিৎকারের আওয়াজ শুনে পরিবার ও প্রতিবেশিদের নিয়ে সেখানে যান। তখন উজির আলী গাড়িত্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে গিয়েছিলো। তৎক্ষণাৎ স্থানীয় উত্তেজিত জনতা তাকে উদ্ধার করে একটি গাছের সাথে বেঁধে মারপিট শুরু করে। মারপিটে গুরুতর আহত হওয়ায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানেই উজির আলীর মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তার মরদেহ নিয়ে বীরবাজার এলাকার একটি রাস্তার পাশে রেখে তার পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। নিহত উজির আলীর কাছ থেকে স্থানীয় জনতা চুরির সরঞ্জাম একটি প্লাস, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করা যন্ত্র, বিছুটি পাতার গুড়া, টর্স লাইট ও একটি ঘড়ি উদ্ধার করেছে।’

নিহত উজির আলী স্ত্রী রতনা বেগম জানান,‘অনেক আগে তার স্বামী চুরি করতো। পরিবারের সদস্যরা বোঝানোর পরে দীর্ঘদিন চুরি করা থেকে বিরত ছিলো। সোমবার রাতে বাড়ি থেকে দশ হাজার টাকা নিয়ে বের হয়েছিলেন তার স্বামী। কোথায় যাবে তা বলে যাননি। সকালে খবর পান তার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

তার ঘরে ছোট একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। বৃদ্ধ বাবা-মা রয়েছে। সকলের দায়িত্ব ছিলো তার স্বামীর ওপর। স্বামীর রোজগার দিয়েই সংসার চলতো। যদি চুরি করেও থাকে, তাহলে দেশে আইন আছে। তারা কেন তার স্বামীকে পুলিশের হাতে তুলে না দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেললো। তিনি তার স্বামী হত্যার বিচার চান।’

নিহত উজির আলীর বাবা খোরশেদ মাদার জানান,‘তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সে কৃষি কাজ করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতো। তিনি ছেলে হত্যার বিচার দাবি করেন।’ এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ উজ্জল হোসেন বলেন,‘ মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদনের জন্য নাটোর মর্গে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS