ভিডিও

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে টানা বৃষ্টিপাতে আমন চাষে ব্যস্ত কৃষক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২৪, ০৮:০৩ রাত
আপডেট: আগস্ট ১৫, ২০২৪, ০২:৩০ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দীর্ঘ খরার কাটিয়ে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে জমিতে পানি জমায় আমন চাষে নেমেছে কৃষকরা। স্থানীয় হাটবাজারগুলোতে তাই বেড়েছে আমন চারা বেচাবিক্রি। বৃষ্টিপাতে অনেকটা স্বস্তিতে সেচ দিয়ে আগাম আমন চারা লাগানো কৃষকরাও। বৃষ্টি নির্ভর আমন আবাদে ব্যয় সাশ্রয়ে লাভবান হবেন বলে আশাবাদী চাষিরা।

উপজেলায় ১৫ জুলাই থেকে জমিতে রোপা আমন ধান রোপণ মৌসুম শুরু হলে সেচ দিয়ে কিছু কিছু জমিতে লাগানো হলেও পর্যাপ্ত পানি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন কৃষকরা। স্থানীয় কৃষকরা জানান, মৌসুম শুরু হলেও দীর্ঘ খরায় পানির অভাবে জমিতে আমন ধানের চারা লাগাতে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছিল। তবে গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি নামায় উপজেলার সর্বত্র রোপা আমন ধান চাষ শুরু হয়েছে।

জমিতে হাল দেওয়া আগাছা পরিস্কার ও ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক ও শ্রমিকরা। তবে আবহাওয়ার বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে আমন চারা রোপণের শেষ সময় ১৫ সেপ্টেম্বরের আগেই আমন চাষ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার রোপা আমন ধান চাষের জন্য ৮ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা চারা লাগনো হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জেলায় এবার ১ লাখ ৩৩ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। যার মধ্যে হাইব্রিড ৫ হাজার ৭৪০ হেক্টর, উপশী ১ লাখ ২১ হাজার ৮০৮ হেক্টর ও স্থানীয় জাত ৫ হাজার ৪৭২ হেক্টর।

এ পর্যন্ত প্রায় ৮২ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে আমন চারা রোপণ সম্পন্ন হয়েছে। আর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ৩১  হাজার ৭শ’ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে গত সোমবার পর্যন্ত ২৮ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে ধানের চারা রোপণ সম্পন্ন করা হয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মেহেদী হাসান বলেন, রোপা আমন চাষে কৃষকদের প্রযুক্তিগত পরামর্শ ও সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। সেই সাথে কৃষকদের স্বল্প জীবনকালের ধান লাগানোর জন্য চাষিদের উৎসাহিত করছেন। কৃষকরা যাতে নিবিঘ্নে আমন আবাদ করতে পারে সেজন্য সব ব্যবস্থায় নেওয়া হয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS