ভিডিও

বগুড়ার ধুনট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই চিকিৎসক প্রেষণে ঢাকায়, স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২৪, ১০:০২ রাত
আপডেট: আগস্ট ১৫, ২০২৪, ০২:২৯ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই চিকিৎসক প্রেষণে ঢাকায় অবস্থান করায় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এলাকার মানুষ। তারা হলেন-জুনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু) ডা. ভিকারুনেছা ও জুনিয়র কনসালটেন্ট (হৃদরোগ) ডা. রাহাতুল কাদির।

এখানে চিকিৎসক সংকটের মাঝেও এভাবে দীর্ঘদিন ধরে প্রেষণে থাকায় ব্যাহত হচ্ছে গ্রামাঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, এসব চিকিৎসকের প্রেষণ বাতিলের জন্য বারবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বলা হলেও কোনো কাজ হয়নি।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার প্রায় চার লাখ মানুষের জন্য চিকিৎসাসেবার ভরসা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকসহ হাজারও সমস্যা ও সংকট রয়েছে। এখানে চিকিৎসকের পদ রয়েছে ২১ জন। এরমধ্যে শূন্য রয়েছে ১১ জন। অথচ প্রতিদিন গড়ে কর্মরত থাকেন ৪-৫ জন। এ অবস্থায় ৮ এপ্রিল জুনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু) ডা. ভিকারুনেছা এখানে যোগদান করেন। এরপর থেকে এক দিনের জন্যও আসেননি তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি ঢাকার কুর্মিটোলা ৫শ’ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রয়েছেন। এছাড়া ১৬ জানুয়ারি জুনিয়র কনসালটেন্ট (হৃদরোগ) ডা. রাহাতুল কাদির এখানে যোগদান করে প্রেষণে আছেন ঢাকা শের-ই-বাংলা নগর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে।

স্থানীয়রা জানান, তারা নিয়োগ পেয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। মফস্বলের জনগণের স্বাস্থ্যসেবার জন্য এখানে পদায়ন করা হয়েছে। অথচ তারা প্রেষণে ঢাকায় চলে গেছেন, এটা অনৈতিক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও এ ক্ষেত্রে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এই চিকিৎসকেরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বেতন-ভাতা নিচ্ছেন। কিন্তু তারা প্রেষণে অন্যত্র কাজ করায় সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না। চিকিৎসকদের প্রেষণ বাতিল করে নিজ নিজ পদায়নকৃত জায়গায় ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলেও কোনো ফল পাচ্ছেন না।

ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দিবাকর বসাক জানান, প্রেষণে চিকিৎসকেরা শহরমুখি হওয়ায় উপজেলা ও গ্রাম পর্যায়ে মানুষ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, এটা সত্য। বিষয়টি নিয়ে তারাও সমস্যায় আছেন। প্রেষণ বাতিলের জন্য তিনি একাধিকবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS