ভিডিও

বগুড়ার ২টি ছাড়া ৬টি পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম শুরু

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২৪, ১০:৩৫ রাত
আপডেট: আগস্ট ১৮, ২০২৪, ১০:৩৫ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়া শহরের ২টি পুলিশ ফাঁড়ি ছাড়া ৬টি ফাঁড়ির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার কারণে বগুড়া সদর ফাঁড়ি ও ফুলবাড়ি ফাঁড়ির কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি। এই দুটি ফাঁড়ি ভবনের সংস্কার কাজ চলছে। সংস্কার কাজ শেষ হলে এই দুটি ফাঁড়ির কার্যক্রমও শুরু হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) মো: স্নিগ্ধ আখতার বলেন, শহরের ৮টি পুলিশ ফাঁড়ির মধ্যে উপ-শহর ফাঁড়ি, স্টেডিয়াম ফাঁড়ি, নারুলী ফাঁড়ি, বনানী ফাঁড়ি, মেডিকেল ফাঁড়ি ও কৈগাড়ী ফাঁড়ির কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়েছে। তবে আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার কারণে আজ রোববার (১৮ আগস্ট) পর্যন্ত সদর পুলিশ ফাঁড়ি ও ফুলবাড়ি ফাঁড়ির কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এই দুটি ফাঁড়ির ভবন সংস্কারের পর পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করা হবে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, বগুড়ার ১২টি থানার অভ্যন্তরীণ সেবামূলক কাজ চলছে। থানায় মামলা ও জিডি গ্রহন করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সেইসাথে থানার বাইরে পুলিশের সেবামূলক কাজও শুরু করা হয়েছে। সেনা সহায়তায় দিনে ও রাতে টহলও চলছে পুলিশের।

বগুড়া সদর থানার ওসি মো: সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, ইতোমধ্যে বগুড়া সদর থানার কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করা হয়েছে পুলিশ সুপারের কার্যালয় সংলগ্ন ডিবি কার্যালয়ে। ভুক্তভোগীরা থানায় এসে জিডি ও মামলা করছেন। মামলার তদন্তে পুলিশ  থানার বাইরেও ঘটনাস্থলেও যাচ্ছে। আইন শৃংখলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর সহায়তায় টহলও চলছে বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য, ভাঙ্চুর ও অগ্নিসংযোগের কারণে শহরের কবি নজরুল ইসলাম সড়কে সদর থানায় কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে ডিবি কার্যালয়ে সদর থানার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং নিরাপত্তা জনিত কারণে গত ৫ আগষ্ট   জেলার ১২টি থানা, ফাঁড়ি ও তদন্ত কেন্দ্র থেকে পুলিশ সদস্যদের প্রত্যহার করে নেয়া হয়েছিল। তবে ৫ দিন বন্ধ থাকার সদর থানা সহ ১২টি থানার কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করা হয়েছে।

জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গত ৫ আগষ্ট বিক্ষুব্ধ জনতা বগুড়ার সদর থানাসহ বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। এ অবস্থায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল জেলার সকল থানা ও ফাঁড়ির কার্যক্রম। আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয় সদর থানা, সদর ফাঁড়ি ও উপ-শহর ফাঁড়ি ও দুপচাঁচিয়া থানা ভবনও।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS