ভিডিও

ঠাকুরগাঁওয়ে বহুমুখি ব্যবহারে পাটখড়ির কদর বেড়েছে

প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২৪, ০৬:১৬ বিকাল
আপডেট: আগস্ট ১৯, ২০২৪, ০৬:১৬ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : পাটখড়ি একসময় অবহেলার পণ্য হলেও বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির আশীর্বাদে বহু ক্ষেত্রে পাটখড়ির ব্যবহার বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় জ্বালানি, চারকল, পার্টিকেল বোর্ড মিল ও হস্তশিল্প তৈরিতে।

জেলার কৃষকেরা পাটের পাশাপাশি পাটখড়ি বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন। এছাড়াও বেশিরভাগ বাড়িতে জ্বালানি হিসেবে বেশ নাম ডাক রয়েছে পাটখড়ির। অনেকেই পাটখড়ি শহরে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন।

সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সারি সারি পাটখড়ির আঁটি বেঁধে রোদে শুকাতে দিয়েছেন কৃষকেরা। শুকিয়ে গেলে কৃষকদের বাড়ি থেকেই কিনে নিয়ে যায় ব্যবসায়ীরা। তারা পাটখড়ি কৃষকদের কাছ থেকে মোটামুটি দামে কিনে ভ্যানে করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে থাকেন। এতে করে বাড়তি আয় করছেন অনেকেই।

বাড়িঘরে, সবজি ক্ষেতের বেড়া, মাচা, পান বরজ, বিভিন্ন হস্তশিল্প পণ্য তৈরির কাজে পাটখড়ির আলাদা ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় আগে থেকেই। কিন্তু বর্তমানে পার্টিকেল বোর্ড তৈরি এবং চারকলগুলোতে ব্যাপক হারে ব্যবহার হচ্ছে পাটখড়ি।

অন্যদিকে জ্বালানি হিসেবে পাটখড়ি পুড়িয়ে তার ছাই ব্যবহার হচ্ছে ফসলি জমিতে। সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের পল্লীবিদ্যুৎ বাজার এলাকার কৃষক মো. আফজাল হোসেন জানান, ৫০ শতক জমির পাট থেকে যে পাটখড়ি পেয়েছি তা শুকিয়ে পরিস্কার করে বিক্রি করতে পারলে ৮-১০ হাজার টাকা বাড়তি আয় করা যায়। পাটখড়ি সরাসরি চারকল বা বোর্ড ফ্যাক্টরিতে দিতে পারলে আরও বেশি দামে বিক্রি করা যায়।    
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. রাসেল ইসলাম জানান, জেলায় এ বছর ৭ হাজার ৭৫৫ হেক্টর জমিতে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৯৮ হাজার ৪১৫ বেল।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, জেলার সব উপজেলাতে কম বেশি পাটের আবাদ হয়েছে। জেলায় পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ অঞ্চলের পাট রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন মিল-কারখানায় বিক্রি হয়। পাশাপাশি পাটখড়িও ইতিমধ্যে রপ্তানি হতে দেখা যায়। এতে কৃষকরা বাড়তি মুনাফা অর্জন করতে পারছেন।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS