ভিডিও

২৫০ শয্যার

জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে শুধুমাত্র এনেস্থেসিয়ার ডাক্তারের অভাবে চালু করা যাচ্ছে না আইসিইউ

প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২৪, ০৭:৩৩ বিকাল
আপডেট: আগস্ট ১৯, ২০২৪, ০৭:৩৩ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি : ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে দু’বছর আগে ১০ শয্যার আইসিইউ সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা হলেও শুধুমাত্র এনেস্থেসিয়ার ডাক্তারের অভাবে তা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে হৃদরোগীসহ মুমূর্ষু রোগীদের চরমদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আইসিইউ চালু না থাকায় হৃদরোগী ও মুমূর্ষু রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তর করতে হয়। ফলে সময়মত চিকিৎসা না পাওয়ায় অনেক রোগীর পথিমধ্যেই মৃত্যু ঘটে।

২০২২ সালে করোনা আক্রান্তদের জন্য ১০ শয্যার আইসিইউটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত যন্ত্রপাতি ও স্থানীয়দের আর্থিক সহায়তায় এই হাসপাতালের চতুর্থ তলায় স্থাপন করা হয়। কিন্তু সম্পূর্ণ সচল আইসইউটি শুধুমাত্র এনেস্থেসিয়া ডাক্তারের অভাবে চালু করা সম্ভব হয়নি।

করোনার সময় রোগীদের রক্ষার জন্য আইসিইউ জরুরি হয়ে পড়ে। তখন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চেষ্টায় ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে আইসিইউ চালুর জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পাঁচটি ভেন্টিলেটর, সেন্ট্রাল অক্সিজেন, এজিডি মেশিন প্রেরণ করে, যার দাম প্রায় ৭০ লাখ টাকা। এছাড়াও ১০টি বেড, ১০টি কার্ডিয়াক মনিটর, ১০টি সিরিঞ্জপাম্প ও বাইপাপ সিপাপ কেনোলা মেশিন জেলা পরিষদ ও স্থানীয় এনজিও এবং ব্যক্তিবর্গের আর্থিক সহায়তায় কেনা হয়, যার দাম প্রায় ৫৫ লাখ টাকা।

এছাড়া আইসিইউ চালু করতে ইতিমধ্যে ১৬ জন নার্সকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থকে ২৮ দিনের প্রশিক্ষণ করেও নিয়ে আসা হয়। জয়পুরহাট ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপালে শুধুমাত্র একজন এনেস্থেসিয়া ডাক্তার রয়েছে। কিন্তু আইসিইউতে ২৪ ঘন্টা রোগীর সেবা দিতে বা চালু রাখতে ছয়জন এনেস্থেসিয়া ডাক্তার প্রয়োজন।

আর শুধু এই ছয়জন এনেস্থেসিয়া ডাক্তারের অভাবে তা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। আর এর জন্য হৃদরোগী ও মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসা না দিতে পারায় তাদের বগুড়াসহ বিভিন্ন হাসপাতালে রেফার্ড করতে হচ্ছে। আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় অনেক রোগী বাইরে চিকিৎসার জন্য যেতে পারেন না। ফলে চিকিৎসার আভাবে তাদের মৃত্যুবরণ করতে হয়।

জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে কিডনি রোগী বাবার ডায়ালাইসিস করতে আসা মানিক দাস বলেন, আমার বাবার ডায়ালাইসিস চলছে। ডায়ালাইসিস চলার সময় রোগীর শ্বাসকষ্ট বা মুমূর্ষু অবস্থার সৃষ্টি হয় তখন প্রয়োজন হয় আইসিইউ।

এখানে আইসিইউ চালু না থাকায় বগুড়াতে নিতে হয়। তখন বিপাকে পড়তে হয়। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সরদার রাশেদ মোবারক বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ছয়জন এনেস্থেসিয়া ডাক্তারের জন্য যোগাযোগ করা হয়েছে। ডাক্তার পাওয়া গেলে দ্রুতই আইসিইউ চালু করা হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS