ভিডিও

বগুড়ায় বিডিআর কল্যাণ পরিষদের মানববন্ধন

পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত এবং চাকরিচ্যুতদের পূনর্বহালের দাবি

প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২৪, ১০:৪৭ রাত
আপডেট: আগস্ট ২২, ২০২৪, ১২:৪১ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর পিলখানায় ৫৭ জন সেনা অফিসারদের হত্যাযজ্ঞের সুষ্ঠু তদন্ত, বিচার ও নির্দোষ বিডিআরদের চাকরিতে পুণর্বহালের দাবিতে আজ বুধবার (২১ আগস্ট) মানববন্ধন করেছে বিডিআর কল্যাণ পরিষদ, বগুড়ার ও নওগাঁর সদস্যরা।

আজ বুধবার (২১ আগস্ট) বেলা ১১ টায় বগুড়া শহরের সাতমাথায় আয়োজিত মানববন্ধন চলাকালে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধান সমন্বয়ক মো. জিয়াউল হক জিয়া, নওগাঁ জেলার মোস্তাফিজার রহমান, দেলোয়ার হোসেন, এনামুল হক, মোস্তাফিজুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, উজ্জ্বল হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ রাইফেলসর্‘ সেনা অফিসার দ্বারা সু-পরিচালিত একটি সু-শৃঙ্খল শক্তিশালী সীমান্তরক্ষী বাহিনী। যার প্রমান পাদুকা, বেলুনিয়া ও বড়াইবাড়ী সীমান্তে প্রতিপক্ষ ভারত সীমান্তরক্ষি (বিএসএফ) বিডিআর ক্যাম্পে হামলা করলে বিডিআর এর সাথে যুদ্ধে পরাস্ত হয়ে পশ্চাদপসরণ করতে বাধ্য হয়। যাতে করে আন্তর্জাতিকভাবে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) নিকৃষ্ট ও ঘণিত হয়ে পড়ে।

এর জের ধরে তথাকথিত একটি মহল প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে খুশি করার জন্য  বিডিআর এ নিয়োগকৃত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অত্যন্ত চৌকশ, মেধাবী ও নিষ্ঠাবান সেনা অফিসারদেরকে হত্যার মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করার এবং বিডিআর‘র শক্তি মনোবল স্ব-মূলে ধ্বংস করার জন্য প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে তৎকালীন সরকার পরিকল্পিতভাবে প্রত্যক্ষ মদদে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানার ৫৭ জন সেনাকর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

পরবর্তীতে বিডিআর বিদ্রোহের নামে মিথ্যাভাবে জড়িত করে জেল জরিমানা এবং কল্পনাপ্রসূত তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার দয়ভার নির্দোষ বিডিআরদের উপর চাপিয়ে দিয়ে তথাকথিত বিদ্রোহের নামে আমাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও চাকরিচ্যুত করেন, যাহা বাংলাদেশ রাইফেলস্ এ্যাক্ট ১৯৭২ এর পরিপন্থী।

বক্তারা বলেন, নৃশংস হত্যাকান্ডের সাথে বিডিআর সদস্যরা জড়িত নয়, যা বিভিন্ন পত্র, পত্রিকা, প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে এবং সম্প্রতি হত্যার শিকার শহিদ সেনা পরিবারের সদস্যদের সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে আসছে।

বক্তারা বলেন, পিলখানায় কোন বিদ্রোহ হয় নাই সেদিন হয়েছিল তৎকালীন সরকারের পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। বক্তারা হত্যাকান্ডের পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবি জানান।

সেই সাথে বন্দি বিডিআরদের মুক্তিসহ নির্দোষ বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহালের আবেদন জানান এবং ৭৬ তম রিক্রুটিং ব্যাচকে পুনরায় মৌলিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পুন:নিয়োগের দাবি জানান তারা।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS