ভিডিও

বগুড়া দুপচাঁচিয়ায় বীর নিবাস প্রকল্পের নির্মাণ কাজের ঠিকাদার নির্বাচন অনিশ্চিত

প্রকল্প ব্যয় প্রায় ৩ কোটি টাকা 

প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২৪, ১১:১১ রাত
আপডেট: আগস্ট ২১, ২০২৪, ১১:১১ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়া দুপচাঁচিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তরের তত্বাবধায়নে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৬জন অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্য আবাসন নির্মাণ (বীর নিবাস) প্রকল্পের কাজের ঠিকাদার নির্বাচনে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিন ঠিকাদারদের জামানতের পে-অর্ডারের লাখ লাখ টাকা আটকে থাকায় তারাও বিড়ম্বনায় পড়েছেন।

মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের দুপচাঁচিয়া উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে ১৬জন অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধার আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের কাজের জন্য ২ কোটি ৯৩ লাখ ৩৮ হাজার ৪৮ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়। গত ১০ জুলাই বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার জান্নাত আরা তিথি স্বাক্ষরিত তিনটি প্যাকেজে ১৬টি বীর নিবাস নির্মাণের জন্য স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় দরপত্র প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত দরপত্রে বৈধ ঠিকাদারদের কাছে ২৯ জুলাই সোমবার দরপত্র বিক্রয়ের শেষ দিন ও ৩০ জুলাই মঙ্গলবার দরপত্র দাখিলের নির্ধারিত তারিখ ছিলো। নির্ধারিত তারিখে তিনটি প্যাকেজে মোট ২৫০জন ঠিকাদার অংশগ্রহণ করে। এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট রোববার উপজেলা পরিষদের সব দপ্তরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

অগ্নিসংযোগে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের সকল আসবাবপত্রসহ কাগজপত্র আগুনে ভস্মিভূত হয়ে যায়। এতে অংগ্রহণকারী ঠিকাদারদের সিডিউলসহ সিডিউলের সাথে দাখিলকৃত জামানতের পে-অর্ডার পুড়ে যায়। ফলে দরপত্রে অংশগ্রহণকারী ঠিকাদারদের মধ্যে থেকে লটারীর মাধ্যমে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য ঠিকাদার নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

এতে ওই প্রকল্পের নির্মাণ কাজেও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী ঠিকাদারদের জামানতের পে-অর্ডার পুড়ে যাওয়ায় তারাও বিড়ম্বনায় পড়েছেন। তাদের লাখ লাখ টাকার জামানতের পে-অর্ডার উত্তোলণের জন্য অফিসে যোগাযোগ করে কোন সদুত্তর না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন।

আজ বুধবার (২১ আগস্ট) এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল বাছেদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তিনটি প্যাকেজে ১৬জন মুক্তিযোদ্ধা বীর নিবাস প্রকল্পের বিষয়ে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন। অংশগ্রহণকারী ঠিকাদারদের জামানতের পে-অর্ডার পুড়ে যাওয়ার বিষয়টি ব্যাংকে অবগত করে ডুপ্লিকেট পে-অর্ডার ঠিকাদারের নামে ইস্যু করার জন্য ব্যাংকের ব্যবস্থাপকের কাছে চিঠি প্রদানের প্রক্রিয়া চলছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS