ভিডিও

বগুড়ার সোনাতলায় হাটে-বাজারে প্রচুর আমন চারার আমদানি হলেও দাম বেশি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২৪, ১১:০৫ রাত
আপডেট: আগস্ট ২৩, ২০২৪, ১১:০৫ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সোনাতলায় চলতি আমন মৌসুমে হাটে-বাজারে প্রচুর আমন ধানের চারার আমদানি লক্ষ্য করা গেছে। তবে জাত ভেদে প্রতি পণ ৩০০-৩৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। তুলনামূলক হারে ধানের চারার দাম বেশি হওয়ায় চারা সংগ্রহে হিমশিম খাচ্ছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি-সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ৪৮০ হেক্টর জমিতে বীজতলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ হেক্টর বেশি জমিতে আমন ধানের বীজ বপন করা হয়েছে। ওই উপজেলায় মোট ৪৯০ হেক্টর জমিতে বীজতলা করা হয়েছে। কৃষক আমন ধানের হাইব্রিড, উফসিসহ বিভিন্ন জাতের ধানের চারা রোপন করেছে।

আজ শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বীজতলা থেকে চারা তুলে হাটে-বাজারে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। উপজেলার হাট করমজা, কাচারি বাজার, পাকুল্লা, বালুয়াহাট, সৈয়দ আহমেদ কলেজ হাট, সোনাতলা পুরাতন বন্দর হাটে প্রতি পণ আমন ধানের চারা জাতভেদে ৩০০-৩৫০ টাকা দরে বেচা-বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিটি হাটে-বাজারে ধানের চারার প্রচুর আমদানি লক্ষ্য করা গেলেও দাম ছিল কৃষকের নাগালের বাইরে। তবে উঁচু এলাকাগুলোতে আমন ধানের বীজতলার সংখ্যা বেশি হলেও ধানের চারার দাম সকল এলাকায় একই রকম দেখা গেছে।

এ বিষয়ে খাবুলিয়া এলাকার আজিজার রহমান বলেন, এবার তিনি ৮ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এজন্য তাকে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার টাকার চারা কিনতে হয়েছে।

কামারপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও সাবেক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ গোলাম সোবহানী বুলবুল বলেন, এবার তিনি প্রায় ২ একর জমিতে বিভিন্ন জাতের ধানের চারা উৎপাদন করেছেন, যা থেকে তিনি নিজের প্রায় ৩৫ বিঘা জমি রোপন করার পরেও প্রায় ৪০-৪৫ হাজার টাকার চারা বিক্রি করেছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সোহরাব হোসেন বলেন, চলতি বছর বগুড়ার সোনাতলায় ৪৮০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও বপন করা হয়েছে ৪৯০ হেক্টর জমিতে। আমন ধান রোপনের লক্ষ্যমাত্রা ৯ হাজার ৬শ’ ৫০ হেক্টর। যা গতবছর ছিল ৯ হাজার ৬শ’ ২০ হেক্টর।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS