ভিডিও

একই বিদ্যালয়ের ১৯ ছাত্রীর বাল্যবিয়ে

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ০১, ২০২৪, ০৪:০৮ দুপুর
আপডেট: সেপ্টেম্বর ০১, ২০২৪, ০৫:৩৩ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : কোটা আন্দোলনে স্কুল বন্ধ থাকাসহ গত দুই মাসে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার পৌর চাঁচকৈড় শাহীদা কাশেম পৌর বালিকা বিদ্যালয়ের ১৯ জন ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নেগার সুলতানা। দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অন্য শিক্ষকরাও।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে স্কুল বন্ধ থাকায় অপ্রাপ্ত বয়সী অনেক ছাত্রীর বিয়ে হয়ে গেছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক, স্থানীয় পৌরসভা, মহিলা বিষয়ক কার্যালয়, উপজেলা প্রশাসন, এমনকি পাড়া-প্রতিবেশীরাও এসব বিয়ের খোঁজ আগে পাননি। স্কুল খোলার পর ছাত্রীদের অনুপস্থিতির কারণ সন্ধানে তালিকা করা হয়। সরেজমিনে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাদের খোঁজ নিতে গেলে বিয়ের বিষয় জানাজানি হয়।

এদিকে অপ্রাপ্ত বয়সে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে বাল্যবিয়ে দেওয়ার কারণ হিসেবে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে অভিভাবকরা বলছেন, এলাকায় বখাটেদের উৎপাত, উত্ত্যক্ত করা, অপহরণ চেষ্টা এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিজেদের পছন্দের ছেলেদের সাথে পালিয়ে যাওয়ার আতঙ্কে তারা মেয়েকে বয়স পূর্ণ না হতেই বিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।স্থানীয় সচেতন মহল দায়ী করছেন, জন্মসনদে কম্পিউটার দ্বারা বয়স বাড়িয়ে কিছু অসৎ কাজি দিয়ে কাবিননামা করা হচ্ছে এসকল বিয়েতে। আর এই সনদ অভিভাবকরা বড় প্রমাণ হিসেবে কাজে লাগিয়ে অল্প বয়সেই মেয়েদের বিয়ে দিচ্ছেন।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক নেগার সুলতানা বলেন, ‘বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৫০ জন। তার মধ্যে গত দুই মাসেই ১৯ জনের বিয়ে হয়ে গেছে। এর আগেও অনেক শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়েছে। এ বিষয়ে গত ১৯ আগস্ট উপজেলা প্রশাসনের আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে তিনি সকলকে অবগত করেছেন। বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে ৭ম শ্রেণিতে ৪, অষ্টম শ্রেণিতে ২, নবম শ্রেণিতে ৬, দশম শ্রেণিতে ৭ জন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা আক্তার বলেন, শাহিদা কাশেম পৌর বালিকা বিদ্যালয়ে জনসচেতনতামূলক একটি অভিভাবক সমাবেশ এ সপ্তাহেই করা হবে। বাল্যবিয়ে বন্ধে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে সকল কার্যক্রম গ্রহণ করা প্রয়োজন তা চলমান রয়েছে।

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS