ভিডিও

‘সিন্ডিকেট’ দানবের বিস্তার ঠেকাও

আতাউর রহমান মিটন

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৪, ০৭:১১ বিকাল
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৪, ০৭:১১ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

যাত্রা শুরু করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ। বিগত একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ ছিল ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত আর দ্বাদশ অধিবেশনের প্রথম অধিবেশন বসে ৩০ জানুয়ারি। বর্তমান সংসদে আওয়ামী লীগের সদস্য রয়েছেন ২২৩ জন। স্বতন্ত্র সদস্য ৬২ জন, যার মধ্যে ৫৮ জনই আবার ক্ষমতাসীন দলের সাথে জড়িত।

মাত্র ১১ জন সংসদ সদস্য নিয়ে বিরোধী দলের আসনে বসেছে জাতীয় পার্টি। এর বাইরে ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ এবং কল্যাণ পার্টি থেকে একজন করে সদস্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন।

কেমন হলো এই সংসদ? এই সংসদ কি জনগণের আকাক্সক্ষা, বিশেষ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমাতে সক্ষম হবে? সাধারণ মানুষের ধারণা গোষ্ঠী স্বার্থের কারণেই এই সংসদ সম্ভবতঃ দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। তাদের এই ধারণার কারণ হলো, নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামা অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ২৯৯ জন সম্মানিত সদস্যদের মধ্যে ২০০ জনের পেশা ব্যবসা, যা বিগত সংসদের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি।

বিগত সংসদে ব্যবসায়ীর সংখ্যা ছিল ১৮৫ জন। সংবাদপত্রে প্রকাশিত সুত্র অনুযায়ী, বর্তমান সংসদের ৮২ দশমিক ৩৩ শতাংশ সদস্য কোটিপতি। এদের মধ্যে ১৯৩ জন রয়েছেন যাদের সম্পদের পরিমাণ পাঁচ কোটি টাকার বেশি। নিন্দুকেরা বলেন, হলফনামায় দেয়া তথ্যের বাইরে বেনামে বা আত্মীয়-স্বজনদের নামে থাকা সম্পদের পরিমাণ হিসেব করলে তাদের সম্পদের পরিমাণ ঢেড় ঢেড় বেশি।

সুতরাং পেশায় ব্যবসায়ী আধিক্যের এই সংসদ কিভাবে ব্যবসায়ীদের স্বার্থের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিবে? বরং তাদের লক্ষ্য হবে, বর্তমান সম্পদের পাহাড়কে কিভাবে আরও উঁচু করে তোলা যায় সেই চেষ্টা করা। এটা আমরা সবাই জানি যে, সংসদ সদস্য হয়েছেন কিন্তু সম্পদের পরিমাণ বাড়েনি এমন দৃষ্টান্ত নাই বললেই চলে। ফলে যা হবে তা তথৈবচ।

নির্বাচনের পরপরই মাত্র কয়েকদিন মন্ত্রিসভা গঠনের দোদুল্যমান সময়ে চালের বাজার নিয়ে যে চালবাজি হয়েছে সে সম্পর্কে খোদ খাদ্য মন্ত্রী বগুড়ায় বলেছেন, “চাল ব্যবসায়ীরা শিয়ালের চেয়েও ধূর্ত”। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার খুবই সাহসের সঙ্গে সত্য কথাটা বললেও এই ধূর্ত ব্যবসায়ীদের হাত থেকে চালের বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পেরেছেন কি? সমস্যা তো কেবল চালে নয়।

কোন জিনিসটার দাম কম? পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীদের সংযমের সাধনা কোথায় ‘উবে’ গেছে সেটা তো বাজারে গেলেই টের পাওয়া যাচ্ছে। শীতের ভরা মৌসুমেও কি সব্জির দাম সহনীয়? তেল নিয়ে তেলেসমতি কি চলছে না? খাদ্যপণ্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্যের মূল্যই তো এখন উর্ধ্বমুখী। এর গতি যেন লাগাম ছাড়া!

কোথাও একটা বড় ধরনের গলদ তো আছেই। অনেকেই বলেন, দুর্নীতি রন্ধ্রে রন্ধ্রে। দুর্নীতি আছে বলেই সম্ভবতঃ বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ক্ষমতায় যাওয়ার আগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বা জনভোগান্তি বন্ধে নেতৃবৃন্দের কণ্ঠস্বর যতটা কঠিন থাকে এবং ক্ষমতায় যাওয়ার পরে কিন্তু তাতে পরিবর্তন দেখা যায়।

সরকারি দলের অন্যতম প্রভাবশালী মন্ত্রী ও দলের সাধারণ সম্পাদক মাননীয় ওবায়দুল কাদের এমপি যখন গণমাধ্যমের সামনে বলেন, ‘আমি তো এ কথা বলিনি আগামীকালই দ্রব্যমূল্য কমে যাবে। আমি বলেছি নিয়ন্ত্রণের সর্বোচ্চ চেষ্টা আমরা করে যাচ্ছি। এর অর্থ কি আগামীকাল কমে যাবে?’ - তখন আমাদের আর ভরসা থাকে কোথায়!

আমজনতা দেশ চালায় না। তাই হয়তো তাদের পক্ষে বোঝা সম্ভব হয় না যে ‘কত ধানে কত চাল’। তাই আমজনতার পক্ষে সমালোচনা করাটাই সহজ। কিন্তু এটাও তো ঠিক যে, তথাকথিত ‘সিন্ডিকেট’ নামধারী গোষ্ঠী ক্ষমতাসীনদের আশীর্বাদপুষ্ট বলেই সরকার তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।

প্রশ্ন উঠেছে ‘সিন্ডিকেট কি সরকারের চেয়েও শক্তিশালী?’ ক্ষমতার উচ্চস্তরে কোথাও না কোথাও তাদের সম্পর্ক তো আছেই, তাই না? অনেকেই বলেন, এটা পারস্পরিক লেনা-দেনার ব্যাপার। ঢালাওভাবে প্রশাসনের সকলকে দায়ী করা হয়তো চলে না, কারণ ভাল-মন্দ সবখানেই আছে।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার তথা কঠোর অবস্থান থাকা অপরিহার্য। দরকার সঠিক তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা। সরকারের হাতে সত্যিকারের মজুদ নিয়ে কোন বিভ্রান্তি থাকাটা কাম্য নয়। বর্তমান বাজারকেন্দ্রিক অর্থনৈতিক বাস্তবতায় বাজার নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা যেহেতু মজুদদারদের হাতে তাই সবার আগে তাদের ব্যাপারে সরকারকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।

চাহিদা ও সরবরাহের ভারসাম্যের যে তত্ব অর্থনীতিতে দেয়া হয় সেটা মাথায় রেখে সরবরাহ অবাধ করার ব্যাপারে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে। বাজারে যখন ওএমএস এর চাল সরবরাহ বেড়ে যায় কিংবা যখন আমদানী উন্মুক্ত করে দেয়া হয় তখন পণ্যের সরবরাহ বেড়ে যায় বিধায় মূল্য কমতে বাধ্য হয়। এটা সত্য যে, আমাদের অনেক পণ্যই এখনও আমদানী নির্ভর।

সেক্ষেত্রে কেবলমাত্র একটি বা দুটি দেশের উপর নির্ভরশীল না থেকে বরং নতুন নতুন দেশ থেকে আমদানী করার উপায় খোঁজা দরকার। আমরা জানি, ‘চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী’। তাই ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নিজে থেকে ভোক্তার প্রতি অনুগ্রহ দেখাবে, মানুষের পকেট কাটার চেষ্টা করবে না, এটা আশা করে লাভ নেই।

সম্প্রতি পেঁয়াজের ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি, সরকারের আহ্বানে কাজ হয়নি কিন্তু যখন পেঁয়াজ আমদানীর অনুমতি দেয়া হলো তখনই, রাতারাতি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে গেল। সুতরাং এটা স্পষ্ট যে, সরকারের হাতেই নাটাই এখনও রয়েছে। সরকার এখন কিভাবে এই নাটাই কার স্বার্থে ব্যবহার করবে সেটা সরকারের বিষয়।

চলমান মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যের লাগামহীনতা আমজনতা হয়তো সহ্য করতে করতে একসময় অসহ্য হয়ে উঠবে কিন্তু সেটা কোন বিপ্লব সৃষ্টি করবে কিনা আমি জানি না। করোনাকালে শুরু হওয়া দুর্যোগ থেকে দেশের মানুষ এখনও মুক্তি পায়নি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এর পাশাপাশি যুদ্ধের দামামা গোটা বিশ্বকেই অস্থির করে রেখেছে। মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করে তোলার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র চলছে। আরেকবার যাতে জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধি করা যায় সেটা নিয়ে একটা বৈশ্বিক ষড়যন্ত্র বিস্তৃত হচ্ছে।

চারিদিকে ছড়িয়ে পড়া এই আগুন কবে আমাদেরকে পোড়াবে তা ভেবে শঙ্কিত হই। সরকার আমাদের রক্ষক, শত সমালোচনা সত্ত্বেও তাই সরকারের কাছেই আমরা সুরক্ষা দাবী করি। আমরা চাই, সরকার অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে সাধারণ মানুষের খাদ্যপণ্য ও বেঁচে থাকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস যেমন জ্বালানী তেল, গ্যাস ও বিদ্যুৎ এর মূল্য বৃদ্ধি করবে না।

অন্ততঃ এই সময় তো নয়ই। নতুন রাজনৈতিক সরকারের জন্য সেটা নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। শ্রীলঙ্কাতে আমরা এমন সঙ্কট দেখেছি, যা থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া দরকার। আমরা বাংলাদেশের জনগণ বারংবার বিভিন্নভাবে নীতি নির্ধারকদের দৃষ্টি আর্কষণ করবার চেষ্টা করছি। আমরা তাদের বোঝাতে চেষ্টা করছি যে, আপনারা দয়া করে দলের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা দুর্বৃত্তদের লাগাম টেনে ধরুন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে তা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে না দেখে দেশের সামগ্রিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের একটি ক্ষুদ্র বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখে অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা নিন। বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ বিদ্যাপীঠ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত ‘গণধর্ষণ’ এর ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন।

গণমাধ্যম বলছে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি সিন্ডিকেট দোর্দন্ড প্রতাপে টিকে আছে। সবাই সবকিছু জানেন। কারা এই সিন্ডিকেটসমূহের নিয়ন্ত্রণ করছে, কাদের প্রশ্রয় বা মদদে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন অপতৎপরতা বিরাজ করছে সেটা গণমাধ্যমে পরিষ্কার করে উল্লেখ করা সত্ত্বেও প্রশাসনের উচ্চ মহল অদ্ভুত নীরবতা বজায় রাখছে কেন? ‘সর্ষের ভেতরেই ভুত’- এই কথাটা অস্বীকার করবে কে? আমরা কি তাহলে এভাবেই চলতে দেবো সব?

প্রসঙ্গক্রমে বলা দরকার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যা ঘটেছে, বিশেষ করে সেখানে মাদকের যে ভয়াবহ বিস্তার ঘটেছে সেটা কেবল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একক চিত্র নয়। সারাদেশের প্রায় সকল উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোই এখন যেন মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে।

এটা হতে দিচ্ছে কারা? প্রশাসন কেন এদের প্রশ্রয় দিচ্ছে? আমরা কী তাহলে আমাদের জাতিসত্বাকেই ধ্বংস করার খেলায় মেতেছি? শিক্ষা ধ্বংস হচ্ছে বলে সারাদেশে একটা অস্বস্তি, একটা অসন্তোষ বিরাজমান। এটা কি চলতে দেয়া যায়? এই অচলায়তন আমাদের নিদারুণভাবে কষ্ট দেয়! সারাদেশে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।

শুধুমাত্র চাল, আলু আর পেঁয়াজ নয়, সিন্ডিকেট করে ধ্বংস করা হচ্ছে আমাদের শিক্ষাঙ্গন। সিন্ডিকেট করে ধ্বংস করা হচ্ছে আমাদের পরিবেশ। শোনা যায়, সিন্ডিকেট অনেক শক্তিশালী এবং এদের হাত অনেক লম্বা কিন্তু আমরা এটাও বিশ্বাস করতে চাই, কোন দেশপ্রেমিক সরকারের চেয়ে সিন্ডিকেট শক্তিশালী হতে পারে না। সিন্ডিকেট নামক গোষ্ঠীর কালো হাতের থাবা থেকে আমাদের দেশ ও জাতিকে রক্ষার জন্য সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকারই যথেষ্ঠ।

আমার সন্তানের নিরাপদ ভবিষ্যত নষ্ট করছে যে শকুনের দল আমি তাদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাই। মুখের খাবারের দাম বাড়িয়ে সাধারণের খাদ্য নিরাপত্তাকে যারা হুমকির মধ্যে ঠেলে দেয়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

রাজনৈতিক পরিচয় যদি এদের রক্ষাকবচ হয়, তাহলে দলের শীর্ষস্থানীয়দের আশু কর্তব্য হলো তাদের এই কবচ কেড়ে নেয়া। দানব ও মানব এক সাথে অবস্থান করতে পারে না। সমাজে দানবের শক্তি বেড়ে গেলে শেষ হয়ে যাবে মানব সত্ত্বা। আমরা কি সেটাই হতে দিতে চাচ্ছি? জবাবটা সরকার প্রধানকেই দিতে হবে।

যে রাজনীতি দানবের পৃষ্ঠপোষক তাকে ধিক্কার জানানোটাই ন্যায়সঙ্গত। এক-দু’জন বা মাত্র গুটিকয়েক এর অপকর্মের দায় কেন দল বা সরকার বহন করবে? সরকার ও দলকে কঠোর হতেই হবে। গাড়ি চালকের লাইসেন্স গ্রহণ করতে হলে ‘ডোপ টেষ্ট’ বা রক্তে মাদকের উপস্থিতি আছে কি না তা পরীক্ষা করে রিপোর্ট দিতে হয়। কারণ একজন ড্রাইভার মাদকাসক্ত হলে গাড়ির সকল যাত্রীর জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়।

একই সূত্র ধরে এটাও তো বলা যায় যে, দলে সদস্যের পদ পেতে হলেও সকলকে ‘ডোপ টেষ্ট’ করে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। প্রতিবছর এই ডোপ টেষ্ট এর রিপোর্ট দেয়া বাধ্যতামূলক করতে হবে। কারণ, একজন রাজনৈতিক কর্মী যদি মাদকাসক্ত হয় তাহলে তার কাছ থেকে জাতি কখনই ভাল কিছু পেতে পারে না।

রাজনীতিতেও নাকি এখন সিন্ডিকেট বাসা বেঁধেছে। সিন্ডিকেট করে পদ-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এখানকার এই সিন্ডিকেট সংস্কৃতিই ছড়িয়ে পড়েছে সবখানে। সত্য-মিথ্যা জানি না। পরিচিত মহলে যখন এমন কথা শুনি, তখন নিজের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কা হয়। প্রতিবাদ করতে চাই।

সকলকে আহ্বান জানাই এগিয়ে আসার। রাজনীতিতে ভাল মানুষের জন্য জায়গা তৈরি করে দিন, দানবদের বিদায় দিন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর মন্ত্রিসভায় এবার যেভাবে একজন স্বাস্থ্যমন্ত্রী খুঁজে নিয়েছেন সেটা আমার কাছে খুবই আশাব্যঞ্জক মনে হয়েছে। ভালদের সহায়তা করুন, উৎসাহ দিন। আমরা আর ‘সিন্ডিকেট’ দানবের বিস্তার চাই না। বাজারে নয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নয়, প্রশাসনে নয়। নয় রাজনীতিতেও!



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS