ভিডিও

সোনা চোরাচালানি বন্ধে কঠোর নজরদারির বিকল্প নেই

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪, ০৮:১৯ রাত
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪, ০৮:১৯ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

ভারতে সোনা পাচারের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বাংলাদেশ। আকাশ পথে আসবে এসব অবৈধ সোনা এবং দেশের বিভিন্ন স্থল সীমান্তে দিয়ে পাচার হচ্ছে প্রতিবেশি দেশে। কখনও বা এগুলো ধরা পড়ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে। পত্র-পত্রিকার খবরে বলা হয় শাহজালাল সহ বাংলাদেশের তিন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে প্রতি মাসেই বিপুল পরিমাণ সোনা ধরা পড়ে।

মনে করা হয় এ সোনার সিংহভাগই ভারতে পাচারের জন্য আনা হয়। বিমান পথে বিদেশ থেকে যে সোনা চোরাচালান হয় তার বড় জোর এক দুই শতাংশ ধরা পড়ে। বিমানবন্দর সহ বিভিন্ন সংস্থায় কর্মরত একশ্রেণির দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে চলছে এ কর্মকান্ড। মাঝে মাঝে কিছু চালান ধরা পড়লেও বেশিরভাগ চালান নিরাপদে পার হয়ে চলে যায় সীমান্তের ওপারে ভারতে।

সোনা বহনকারীদের দু’একজন ধরা পড়লেও আড়ালে থেকে যাচ্ছেন গডফাদাররা। পত্র-পত্রিকার খবরে বলা হয়। ঝিনাইদহের মহেশপুরে ৪০টি স্বর্ণের বার সহ একজনকে আটক করা হয়েছে। গত বুধবার সকালে উপজেলার মাটিলা সীমান্ত থেকে স্বর্ণসহ রিমন নামের ব্যক্তিকে আটক করে বিজিবি। মহেশপুর ৫৮ বিজিবির ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা যায়, মাটিলা ক্যাম্পের বিপরীতে ভারতের বোনখাট মধ্যবর্তী স্থানে মাটিলা গ্রামের হজরত আলীর ছেলে বিমলকে আটক করে তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ও ৪০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।

যার ওজন ৪ কেজি ৬শ ৬৫ গ্রাম। আনুমানিক মূল্য ৪ কোটি ৫ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭১ টাকা। ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক মাসুদ পারভেজ রানা জানান, এ বিষয়ে মহেশপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। এছাড়া গত মাসের শেষার্ধে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধার করেছে বিএসএফ। ভারতের সীমান্ত রক্ষা বাহিনীর (বিএসএফ) জওয়ানরা পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার সীমান্ত চৌকি বিজয়পুরে অভিযান চালিয়ে ১৯টি সোনার বার জব্দ করেছে।

এ সময় পাচারকারী সন্দেহে মিঠুন বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার এবং জব্দ করা হয় ৩.৫৬ কেজি ওজনের সোনা। যার আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ১৯ লাখ ৬১ হাজার রুপি। গ্রেফতার মিঠুনের বাড়ি নদীয়া জেলার বিজয়পুর গ্রামে। বিএসএফ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার মিঠুন জানায় সে কয়েক দিন ধরে সোনা চোরাচালানে জড়িত রয়েছে। বাংলাদেশের নাস্তিপুর গ্রামের শিন্তো মন্ডলের কাছ থেকে তিনি এসব জিনিস নিয়েছিলেন। আর তাকে এ সোনা গ্রামের অজ্ঞাত ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই পথে তাকে সোনাসহ ধরে ফেলে বিএসএফ।

এক প্রতিবেদনে প্রকাশ, হযরত শাহজালাল (রহ) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে সাড়ে চার কোটি টাকার সোনাসহ এক যাত্রীকে আটক করেছে শুল্ক, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। দুবাই থেকে আসা বেসরকারি একটি ফøাইটের এক যাত্রীর কাছ থেকে পাচ কেজি ৬৮৪ গ্রাম ওজনের ৪৯টি সোনার বার জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দারা। সোনার বারগুলোর বর্তমান বাজার মূল্য চার কোটি ৪১ লাখ টাকা।

দেশে প্রতি বছর অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ সোনার চোরাচালান আসছে। দেশের অর্থনীতিতে তা বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলছে। কারণ বিদেশ থেকে আসা সোনার বিপরীতে পাচার হয়ে যাচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা। যে অর্থ ব্যয় হতে পারত উৎপাদনশীল খাতে তা ব্যয় হচ্ছে অনুৎপাদনশীল খাতে।

দেশের তিন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর  ও দেশের বিভিন্ন স্থল সীমান্ত পথে সোনার চোরাচালানের ধরা পড়ার পরও নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় চোরাচালানের প্রবণতায় বাধ সাধা যাচ্ছে না। আমাদের মতে, সোনা চোরাচালান বন্ধে কঠোর নজরদারির বিকল্প নেই।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS