ভিডিও

আবারও সোনা উদ্ধার

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৪, ০৫:২৯ বিকাল
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৪, ০৫:২৯ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

ভারতে সোনা পাচারের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বাংলাদেশ। প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোনো না কোনো বিমানবন্দর কিংবা স্থলবন্দরে সোনা চোরাচালানের ঘটনা ঘটছে। এতে চোরাচালানিরা ধরা পড়ছে আবার কখনও তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। আবার যারা ধরা পড়ছে তারা কেবল বাহকমাত্র। বিভিন্ন সময় এসব নিয়ে গণমাধ্যমে খবর বের হলেও সোনা চোরাচালান বন্ধ করা যাচ্ছে না।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাই ফেরত এক যাত্রীর কাছ থেকে দেড় কেজি সোনা জব্দ করা হয়েছে। গত বুধবার সকালে আসা ফ্লাইটটির যাত্রী জাহাঙ্গীর আলমের কাছে ওই সোনা পাওয়া যায়। তিনি তালা ও ব্যাটারির ভেতর বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে এ সোনা এনেছিলেন।

তার কাছে ব্যাগে থাকা বড় একটি তালা এবং ইলেকট্রনিক চার্জিং লাইটের ব্যাটারির ভেতর লিথিয়ামের প্রলেপ দিয়ে আনা ১ হাজার ৬১৯ গ্রাম সোনা পাওয়া যায়। এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করা হয়েছে।

এর আগে গত রবিবার ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ সোনা জব্দ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এই জব্দকৃত সোনার ওজন ১০.৭৩ কেজি, আন্তর্জাতিক বাজারে যার মূল্য প্রায় ৬.৭০ কোটি রুপি। বিএসএফ জানিয়েছে সাম্প্রতিককালে একটি মাত্র ঘটনায় এত বিপুল পরিমাণ অর্থমূল্যের সোনা এর আগে জব্দ করা যায়নি।

বিএসএফ সদস্যরা পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার হোরান্দিপুর সীমান্ত চৌকি এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই সোনা উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত মালামালের মধ্যে ১৬টি বড় আকৃতির সোনার বার ও ৪টি ছোট আকৃতির সোনার বার উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা সোনার আনুমানিক মূল্য ৬ কোটি ৬৯ লাখ ৪৬ হাজার ৫০৪ রুপি। পাচারকারী সন্দেহে এক চোরাচারকারীকে আটক করা হয়েছে। চোরাকারবারীরা এসব সোনা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের চেষ্টা করছিল বলে জানা গেছে।

পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী ইতিপূর্বে বেনাপোল সীমান্তে দুই দিনে পাচারের সময় উদ্ধার করা হয়েছে ৭৫ কেজি সোনা। এর মাত্র একদিন আগে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে আটক করা হয়েছে ১২ কেজি সোনাসহ এক ভারতীয় নাগরিককে। শাহজালাল সহ বাংলাদেশের তিন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে প্রতি মাসেই বিপুল পরিমাণ সোনা ধরা পড়ে। মনে করা হয় এ সোনার সিংহভাগই ভারতে পাচারের জন্য আনা হয়।

বিমানপথে যে সোনা চোরাচালান হয়ে আসে তার বড়জোর এক দুই শতাংশ ধরা পড়ে। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন সংস্থায় কর্মরত দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে চলছে এ কর্মকান্ড। মাঝে মাঝে কিছু কিছু চালান ধরা পড়লেও বেশিরভাগ চালান নিরাপদে পার হয়ে চলে যাচ্ছে সীমান্তের ওপাড়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে। সোনা বহনকারীদের দু’একজন ধরা পড়লেও আড়ালে থেকে যাচ্ছেন গডফাদাররা।

২০১৩ সালের এপ্রিলে ভারত সোনা আমদানিতে শুল্ক বাড়িয়ে দেওয়ার পর চোরাপথে সোনা আমদানি বেড়ে যায় হু হু করে। সোনা চোরাকারবারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে ৪ হাজার কিলোমিটারের বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত। সোনা পাচারের সবচেয়ে নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য ট্রানজিট রুট হয়ে ওঠে বাংলাদেশ।

আকাশপথে আসা সোনা বাস ও ট্রেনে সীমান্ত অঞ্চলগুলি দিয়ে পাচার হচ্ছে। কখনো দুই পক্ষের মধ্যে লেনদেনে অসুবিধা হলে কিংবা আইওয়াশের জন্য ধরা পড়ে সোনার চালান। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই বিমানবন্দরে চোরাচালানের যে চক্র গড়ে উঠেছে তা নির্মূলের উদ্যোগ নিতে হবে। চোরাচালান রোধে নিতে হবে কঠোর ব্যবস্থা।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS