আব্দুল হাই রঞ্জু
ক’বছর আগে রাজধানীর এফডিসিতে ‘মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা’ শীর্ষক ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে এক ছায়া সংসদ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পর ৫ মাসে প্রায় পৌনে ৪ কোটি পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে।
একই সময়ে ১৭ হাজার মাদক কারবারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে মর্মেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন, মাদকের শেকড়-বাকড় অনেক গভীরে। মাদকের দু’একজন গডফাদার নিয়ে মাতামাতি চললেও মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে এর বাইরেও মাদকের ভিন্ন জগত আবিষ্কৃত হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে কাটঅফ পদ্ধতিতে মাদকের কারবার চলছে।
দেশে প্রতিবছর মাদক ব্যবসায় প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে। আমরা যখন অভিযান শুরু করি তখন কল্পনাও করতে পারিনি মাদকের শিকড় এত গভীরে। স্কুল শিক্ষক, মাদ্রাসার শিক্ষক এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজনের কেউ কেউ সর্বনাশী মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত মর্মেও তিনি মন্তব্য করেন। তার বক্তব্য যথার্থই।
সর্বনাশা মাদকের ছোবল কিশোর, তরুণ, যুব সম্প্রদায়কে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। মাদকের মরণছোবলে সম্ভাবনাময় কতজনই না ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। সন্তানকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা কত মা-বাবার আর্তনাদের করুণ পরিণতির খবর অনেকেরই অজানা।
কিন্তু ভুক্তভোগী মা-বাবার নিরব রক্তাক্ষরণের যন্ত্রণা আদরের ধন সন্তানরা বুঝতেই চায় না। অথচ গর্ভধারিনী মায়ের বুকের ধন সন্তানটি যখন বিপথগামী হয়, তখন ঐ পরিবারের মাথায় আকাশ যেন ভেঙ্গে পড়ে! তিলে তিলে কত পরিবারই না নিঃশেষ হচ্ছে সর্বগ্রাসী মাদকের ছোবলে।
যেখান থেকে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়েরা রেহাই পাচ্ছে না। অথচ এরাই জাতির ভবিষ্যৎ। এই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যদি মাদকের ছোবলে নিঃশেষ হয়ে যায়, তাহলে দেশ মেধা সংকটে পড়বে। মেধা সংকট হলে দেশের সমৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হবে।
বাংলাদেশ মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হলেও মাদকদ্রব্য চোরাকারবারীর আন্তর্জাতিক, রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টেলিজেন্স এজেন্সীর (সিআইএ) প্রকাশনা ‘ওয়ার্ল্ড ফ্যাকট বুক’ ও জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (আইএনসিসি) প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর মাদক পাচারের ট্রানজিট দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
শুধু বিদেশি সংস্থাই নয়, খোদ বাংলাদেশ সরকারের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটেও বাংলাদেশকে হিরোইনের ট্রানজিট দেশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। উক্ত ওয়েবসাইটে মাদক পাচারের জন্য বাংলাদেশকে পশ্চিমাঞ্চল, পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্বাঞ্চল এবং উত্তর ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চল রুটে ভাগ করা হয়েছে। মুলতঃ মাদক পাচারের জন্য এই রুটগুলোই যথেচ্ছাভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
সূত্রমতে, পাকিস্তান, ভারত, ইরান, আফগানিস্তানের মতো দেশ আফিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। শুধুমাত্র আফগানিস্তানেই বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ আফিম ও ৮৫ শতাংশ হোরোইন এবং মরফিন তৈরি হয়। আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারতেও প্রচুর আফিম চাষ হয়। যা গত ২০১০ সালে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিভাগের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
আন্তর্জাতিক মাদক সংস্থার তথ্যমতে, প্রতিবছর পাকিস্তান থেকে প্রায় ২৫ মেট্রিক টন হোরোইন পৃথিবীর নানা দেশে পাচার হয়ে থাকে। পাশাপাশি পাকিস্তান থেকে কুরিয়ারে, ভারত থেকে ট্রেনে ও মটরযানে এবং মিয়ানমার থেকে বঙ্গোপসাগর দিয়ে নানাভাবে হোরোইনের চালান বাংলাদেশে ঢোকে। আবার চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে অধিকাংশ হিরোইন অন্যান্য দেশে পাচার হয়।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও লাওসের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা দিয়ে গঠিত হয়েছে বিশ্বের অন্যতম হেরোইেন উৎপাদন এলাকা ‘গোন্ডেন ট্রায়াঙ্গেল’। উত্তরে ভারত, নেপাল ও ভুটান নিয়ে গঠিত হেরোইন উৎপাদন এলাকা ‘গোল্ডেন ওয়েজ’। আর পশ্চিমে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও ইরান সীমান্তের হেরোইন উৎপাদনকারী অঞ্চল হচ্ছে ‘গোল্ডেন ক্রিসেন্ট’। উৎপাদন, পাচার ও ব্যবহার সবদিক থেকেই মাদক বাংলাদেশের জন্য বড় হুমকি।
এখন আবার হেরোইনের চেয়ে ভয়ংকর ইয়াবার ছোবলে বিপর্যস্ত হচ্ছে যুবসমাজ। সঙ্গ দোষে, কৌতুহলের কারণে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে অনেকেই। জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে সরকার মাদকের কবল থেকে জাতিকে বাঁচাতে জিরো টলারেন্স নীতিতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ইতিমধ্যেই অনেক মাদক ব্যবসায়ী বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে। মাদক সম্রাট হিসেবে খ্যাতরা বিলাসবহুল বাড়ী ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে। প্রতিদিনই ধরা পড়ছে মাদকের চালান কিংবা মাদক ব্যবহারকারীরা।
এরপরও পত্রিকার পাতায় খবর হচ্ছে, মাদককে যেন কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। যাবেই বা কি করে? যখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্তা ব্যক্তিরা মাদকের বাণিজ্যে জড়িত থাকেন, তখন মাদক নিয়ন্ত্রণ করা অনেকাংশেই কঠিন হবে, এটাই স্বাভাবিক। কিছুদিন আগে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ‘বিপুল পরিমাণ মাদকসহ চট্টগ্রামের জেলার আটক’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়েছিল।
খবরটি যে কতটা উদ্বেগের তা বলার অপেক্ষা রাখে না। খবরে জানা যায়, চট্টগ্রাম জেলা কারাগারের জেলার সোহেল রানা বিশ্বাস বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে ১২ বোতল ফেনসিডিল, নগদ ৪৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার তিনটি চেক ও ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার এফডিআরসহ ভৈরব রেলওয়ে থানা পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন।
একজন জেলারের নিকট এত বিপুল পরিমাণ অর্থ আসে কিভাবে? জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেছেন, ঢাকায় উর্র্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাসোয়ারা দিতে উনি এই টাকা সঙ্গে করে এনেছেন। যদিও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ তার এসব কথা অস্বীকার করেছেন। হতেও পারে, কারণ অপরাধিরা এভাবেই নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপাবার চেষ্টা করবেন, এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। আবার এও সত্য, আমাদের দেশে ঘুষ, দুর্নীতির মাত্রাও অনেক বেশি। মাসোয়ারা দেয়ার প্রথা নতুন কিছু নয়। হরহামেশাই যা ঘটে থাকে।
মনে হয়, নীতি নৈতিকতার কোন বালাই নেই। যে যেখানে যেভাবে পারছেন, দুহাতে তা জড়িয়ে নিচ্ছেন। এরপরও সরকার, সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত মামলা রুজু কিংবা গ্রেফতার করতে পারবেন না মর্মে সরকারি আদেশ জারি করা আছে। যখন কেউ কোন অপরাধ করবে তাৎক্ষণিকভাবে তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু কিংবা গ্রেফতার করার নিয়ম চালু ছিল।
যা বর্তমান সরকার রহিত করে। কেন এবং কোন যুক্তিতে এমন আইন করা হয়েছে, যা আমাদের বোধগম্যের বাইরে। শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ কেউ যে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তাই নয় এর বাইরে অনেক ব্যবসায়ী ব্যবসার আড়ালে মাদকের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। গত ৩১/১০/২০১৮ইং তারিখ জাতীয় এক দৈনিকে ‘মাদকের অদৃশ্য হাত’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, দেশের একজন টাইলস ব্যবসায়ী রবি। রাজধানীর বাংলামোটরে তার দোকান রয়েছে।
সেই দোকানের নামে তিনি ফেসবুক পেইজ ও গ্রুপ করেছিলেন। তার স্ত্রী, শ্যালিকা সহ ঘনিষ্টজনরা গ্রুপে ভিষণ সক্রিয় ছিলেন। গ্রুপে তারা চ্যাট করতেন। প্রয়োজনীয় কথা বলতে কল করতেন ভাইবার, ইমো ও হোয়াটস অ্যাপে। মূলত তাদের এই পেজের আড়ালে ছিল মাদক বাণিজ্য। মরণ নেশা ইয়াবার পাইকারি বেচাকেনার পেজ হয়ে উঠে সেটি। বিশ্বস্ত পরিচিত বিক্রেতারা ফেসবুকের গ্রুপে চ্যাট করে অর্ডার দিতেন। ভাষা ছিল সাংকেতিক। যে ভাষা সহসাই কেউ বুঝতেও পারতেন না।
যারা অর্ডার দিত, আর তাৎক্ষণিক তাদের স্থানে তা পৌঁছে যেত। এমনকি টাইলসের শোরুম থেকেও ইয়াবা সংগ্রহ করতেন মাদকাসক্তরা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। বিষয়টি নজরে পড়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের। শেষ পর্যন্ত এলিফ্যান্ট রোডের শেল সিদ্দিক বহুতল ভবনে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় টাইলস ব্যবসায়ী ও তার স্ত্রীকে। পরে ধানমন্ডি থেকে শ্যালিকা, ভায়রাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে পশ্চিম রাজাবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ব্যবসায়ীর শাশুড়িকেও।
সেখান থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারও হয়েছিল। জানা গেছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিপ্তরের জেরার মুখে তারা স্বীকার করেছে, এমন কিছু ব্যবসায়ী রয়েছে যারা অনলাইনে চুটিয়ে মাদকের ব্যবসা করছে। অনলাইনে এখন পোশাক, মোবাইল, ঘড়ি থেকে শুরু করে নিত্যপণ্যসহ সব ধরনের পণ্য ঘরে বসেই সংগ্রহ করা যাচ্ছে। এ জন্য হোম ডেলিভারীরও যথেষ্ট ব্যবস্থা রয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ফেসবুক পেজে সাংকেতিক ভাষায় অর্ডার দেয়া হচ্ছে, আর নিরাপদে পৌঁছে যাচ্ছে মাদক।
প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনের পর এখন অপরাধীরা এ বিষয়ে পারদর্শী হলেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিজ্ঞতা এ ব্যাপারে খুবই সীমিত। ফলে প্রযুক্তির সুবাদে গোপনে গোপনে চলছে মাদক বিক্রি এবং মাদক সেবনের ছড়াছড়ি। বলতে গেলে আগে প্রকাশ্যে মাদকের কেনা বেচা হত, এখন কিন্তু আর সে সুযোগ নেই। ফলে অনলাইনে মাদক কেনার সুযোগ মাদকসেবীদের জন্য আরো সম্প্রসারিত হয়েছে। যা খালি চোখে দেখা মেলে না। খবরে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে অনলাইনে মনিটরিং এবং শনাক্ত করার জন্য। এ প্রসঙ্গে পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের জনৈক কর্মকর্তা বলেন, এ ধরনের ক’টি পেজ শনাক্ত করা হয়েছে।
অনলাইনে পুলিশের নজরদারি টের পেয়ে ইতিমধ্যেই কয়েকটি পেজ তাদের মাদক বিক্রির কনটেন্টগুলো সরিয়ে ফেলেছে। আমরা আশাবাদি, পুলিশ স্বল্প সময়ের মধ্যে ফেসবুক পেজে মাদক বেচা-কেনার যে ছড়াছড়ি চলছে, তা রোধ করতে সক্ষম হবে। তবে, এ বিষয়ে পুলিশকে আন্তরিক হয়েই কাজ করতে হবে। ভয় হয়, কারণ জনশ্রুতি আছে, আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে কেউ কেউ অনৈতিক এ ধরনের কাজে সহযোগিতা করে থাকে।
তা না হলে একজন কারাগারের জেলার এত অর্থের যোগান পায় কিভাবে? অবশ্য ইতিমধ্যেই সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে কারাগারগুলোকে মাদকমুক্ত করতে নজরদারি বাড়ানোর জন্য কড়াকড়ি নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যেখানে কারাগার একটি অতি সংবেদনশীল সংরক্ষিত এলাকা। সে এলাকায় যদি মাদকের কেনা বেচা হয়, তাহলে অপরাধ বন্ধ হবে কি করে? বাস্তবে আগে মানুষের মানসিকতাকে পরিবর্তন করতে হবে। নীতি নৈতিকতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। তা না হলে নির্দেশনা জারী হবে ঠিকই, ২/৪ মাস একটু হয়ত থেমে থাকবে, তারপর যে অবস্থা, আবার সে অবস্থায় সবকিছু ফিরে আসবে। ফলে আমাদের দেশে আইন থাকলেও আইনের শাসনের প্রয়োগ হয় না।
মূলত এখানেই গলদ। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে মাদকের ছড়াছড়ি রোধ করতেই হবে। তা না করে উৎকোচের বিনিময়ে অপরাধিদের সুযোগ দিলে সে অর্থ নিজের সন্তানদের কুপথে যেতে অনর্থ হয়েই কাজ করবে, এতে কোন সন্দেহ নেই। সংগত কারণে সকলকে ভাবতে হবে নিজের সন্তান, নিজের পরিবারকে সুস্থভাবে বেড়ে তুলতে হলে সবাইকে স্ব স্ব স্থানে নৈতিকতার চর্চা করতে হবে।
আর তখনই সম্ভব হবে মাদকের মত সর্বনাশার রাহুগ্রাস থেকে জাতিকে রক্ষা করা। অবশ্য সরকার মাদকরোধে অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে আইনও পাস করেছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ হলে হয়ত মাদকের ছোবল থেকে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।