ভিডিও

পোশাক শিল্পে নতুন বাজার খুঁজতে হবে

প্রকাশিত: মার্চ ০১, ২০২৪, ০৮:১৩ রাত
আপডেট: মার্চ ০১, ২০২৪, ০৮:১৩ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

নানামুখী ধাক্কায় চরমভাবে বাধাগ্রস্ত দেশের প্রধান রফতানি আয়ের খাত তৈরি পোশাক শিল্প। 'বৈশ্বিক সংকটে ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো পোশাক ক্রয়ের নতুন আদেশ দেওয়া কমিয়ে দিচ্ছে আশংকাজনকহারে। আমদানি হ্রাস করায় যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে। সবচেয়ে বড় বাজার ইউরোপেও চলছে দু:সময়। এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি কমেছে প্রায় ২১ শতাংশ।

বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০২২ সালে ২ হাজার ১৯১ কোটি ইউরোর পোশাক আমদানি করে। অথচ ২০২৩ সালে সেটি ২০ দশমিক ৬৫ শতাংশ কমে ১ হাজার ৭৩৮ কোটি ইউরোতে নেমে এসেছে। তবে রপ্তানিকারকরা বলছেন, বিশ্বে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের ক্রমবর্ধমান সুদের হারে ভোক্তার চাহিদা কমেছে।

আমরা বলতে চাই, যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি কমেছে, এটি আমলে নেওয়ার পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে দেশের পোশাক রপ্তানি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে যথাযথ উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে। বলা দরকার, যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি কমে যাওয়ার বিষয়টি যেমন সামনে আসছে, তেমনি সম্প্রতি এটাও জানা যায় যে, নিট পোশাক রপ্তানিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নে শীর্ষস্থান এখন বাংলাদেশের।

আমরা মনে করি, সংশ্লিষ্টদের কর্তব্য হওয়া দরকার, সামগ্রিকভাবে পোশাক খাতের পরিস্থিতি আমলে নিয়ে রপ্তানি বৃদ্ধিসহ এই খাতের অগ্রগতি ধরে রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা। ইইউ এবং যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির প্রধান দুই গন্তব্য। মোট রপ্তানি আয়ের ৭২ থেকে ৭৫ শতাংশ এ দুই বাজার থেকে আসে।

গুরুত্বপূর্ণ এ দুই বাজারে এক সঙ্গে রপ্তানি কমে যাওয়ার কারণে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে উদ্যোক্তাদের মধ্যে। তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, রপ্তানিতে পতনের যে শংকা এতদিন তারা করে আসছেন, এখন তা বাস্তবে রূপ নিল। তিনি বলেন, আগামী মাসগুলোতে রপ্তানি আরও কমে যাবে। কারণ এ মুহূর্তে রপ্তানি আদেশ গত বছরের একই সময়ের চেয়ে অন্তত ৩০ শতাংশ কম।

রপ্তানি কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে ফারুক হাসান গণমাধ্যমকে আরও বলেন, ইইউতে রেকর্ড হারে মূল্যস্ফীতি এবং যুক্তরাষ্ট্রে নীতি সুদ হার বাড়ানোর কারণেই স্থানীয়ভাবে চাহিদা সীমিত হয়ে এসেছে। তবে খারাপ খবরের মধ্যেও কিছুটা আশার কথা হচ্ছে, বড় এই দুই বাজারে অন্য দেশের রপ্তানি যে হারে কমেছে, বাংলাদেশের রপ্তানি সে হারে কমেনি। উচ্চ মূল্যের পোশাক রপ্তানি কিছুটা বেড়েছে। আবার প্রায় সব পণ্যের দর কিছুটা বেশি পাওয়া যাচ্ছে, সে সুবাদে পরিমাণে কম রপ্তানির মধ্যেও টিকে আছেন তারা।

বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের পোশাক খাতেও। বিশ্বের অধিকাংশ দেশে পোশাক বিক্রি কমেছে। বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো জানাচ্ছে, পোশাক কেনার খরচ কমিয়ে ফেলছেন ক্রেতারা। পোশাক শিল্প আমাদের বৈশ্বিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম খাত।

দেশের লাখ লাখ পরিবার এ খাতের ওপর নির্ভরশীল। শুরু থেকেই সরকার এ খাতে দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখে আসছে। সংশ্লিষ্টরা নতুন বাজার সন্ধান করে পোশাক শিল্পের উৎপাদনের ধারাবাহিকতা ও রফতানিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS