ভিডিও

৭ কেজি সোনা উদ্ধার

প্রকাশিত: মার্চ ০৪, ২০২৪, ০৬:১৫ বিকাল
আপডেট: মার্চ ০৪, ২০২৪, ০৬:১৫ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোনো না কোনো বিমান বন্দর কিংবা স্থল বন্দরে সোনা চোরাচালানের ঘটনা ঘটছে। এতে চোরাচালানিরা ধরা পড়ছে আবার কখনও তারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময় এসব নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলেও সোনা চোরাচালান বন্ধ করা যাচ্ছে না। চোরাচালানিরা বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

আমাদের প্রশ্ন, কেন সোনা চোরাচালানি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। কেন পর্দার আড়ালের গডফাদারদের পাকড়াও করে আইনের হাতে সোপর্দ করা যায় না? দুর্বৃত্তদের অপতৎপরতা দ্রুত রোধ করা না গেলে দেশের বন্দরগুলো ঝুঁকিতে পড়বে বলেই আমরা মনে করি।

পত্র-পত্রিকার খবরে প্রকাশ চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে দুই যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশি করে ২ কেজি ২২৮ গ্রাম সোনা উদ্ধার করেছেন শুল্ক গোয়েন্দারা। প্রত্যেক যাত্রীর ব্যাগ থেকে ১ কেজি ১১৪ গ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দুই যাত্রীকেই আটক করা হয়েছে। গত শনিবার সকাল সাড়ে ৬টায় শারজাহ থেকে একটি ফ্লাইটে চট্টগ্রামে আসেন ওই দুই যাত্রী। আটককৃত সোনার বাজার মূল্য আনুমানিক ২ কোটি টাকা। ওই দুই যাত্রীকে আটক করা হয়েছে।

অপরদিকে ঝিনাইদহের মহেশপুরের মাটিলা সীমান্ত এলাকা থেকে পাঁচ কেজি সোনার বার জব্দ করেছে বিজিবি। গত শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মাটিলা গ্রামের মাঠ থেকে এসব সোনা উদ্ধার করা হয়। ঝিনাইদহের মহেশপুর ৫৮ ব্যাটালিয়নের পরিচালক এইচএম সালাহ উদ্দিন চৌধুরী এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, মাটিলা বিওপির একটি বিশেষ টহল দল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এ্যাম্বুশ স্থাপন করে। আনুমানিক সাড়ে ১১টার সময় চোরাকারবারী সীমান্ত সংলগ্ন কৃষি জমিতে কাজ করার বাহানায় সোনার চালানটি নেওয়ার চেষ্টাকালে টহল দল চ্যালেঞ্জ করলে চোরাকারবারীরা প্যাকেট ফেলে দৌড়ে ভারতের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে সেখানে সাদা প্যাকেটে মোড়ানো অবস্থায় পাঁচটি সোনার বার (প্রতিটি ১ কেজি করে মোট পাঁচ কেজি) জব্দ করে বিজিবি। জব্দকৃত সোনার আনুমানিক মূল্য চার কোটি ৩৫ লাখ নয় হাজার ৯৪৫ টাকা।  দেশের বিমান বন্দর যেন সোনার খনি। সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সোনার ছোট বড় চালান আসছে, ফাঁক গলে বের হয়ে যাচ্ছে, মাঝে মাঝে দুই- একটা চালান ধরাও পড়ছে।

শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেছেন, দেশে সোনার চাহিদা বছরে ১৬-২৬ টন। কিন্তু এর চেয়ে কয়েকগুণ বেশি সোনা অবৈধ পথে দেশে আসছে। পাঁচটি সোনার চালান এলে ধরা পড়ে মাত্র একটি। আমাদের স্মরণে রাখা দরকার, এ ক্ষেত্রে কাজ করছে বড় ধরনের দেশি ও বিদেশি সিন্ডিকেট। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক চক্র বাংলাদেশকে সোনা চোরাচালানের বড় ধরনের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করছে।

এর আগে এমন খবরও সামনে এসেছে, যাদের চোরাচালান রোধ করার দায়িত্ব, তাদের মধ্যেও কেউ কেউ অবলীলায় জড়িয়ে পড়ছে সোনা চোরাচালান চক্রের সঙ্গে। চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকটি চক্রের সন্ধান পেয়েছিল গোয়েন্দারা।

যারা সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত, তারা রাতারাতি ধনী হতে চায় এবং তারা দেশ ও জাতির শত্রু, মানুষের শত্রু। কেননা, এর ফলে দেশের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়। যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ অবস্থা চলতে দেয়া যাবে না। কঠোর হাতে সোনা চোরাচালান রোধ করতে হবে। দেশ থেকে চোরাচালান একেবারেই বন্ধ হোক এমনটি কাম্য। এ কাজে আপোস করার কোনো সুযোগ নেই।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS