ভিডিও

বোরো ফসলে তাপপ্রবাহের (হিটওয়েভ) সতর্কতা

ডি. কৃষিবিদ মো: ফরিদুর রহমান

প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৪, ০৬:০৫ বিকাল
আপডেট: এপ্রিল ২০, ২০২৪, ০৬:০৫ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

অবাধ খাদ্য সরবরাহ এবং সারাবছর খাদ্যের পর্যাপ্ত প্রাপ্যতা ও মানুষের খাদ্য ভোগের অধিকারকে খাদ্য নিরাপত্তা বোঝায়। কোন বাসস্থানকে তখনই "খাদ্য নিরাপদ" বলে মনে করা হয়, যখন এর বাসিন্দারা ক্ষুধার্ত অবস্থায় বসবাস করেন না কিংবা খাদ্যাভাসে উপবাসের কোন আশঙ্কা করেন না। দেশের খাদ্যনিরাপত্তা ও কর্মসংস্থানের জন্য কৃষি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হলেও নীতিনির্ধারকদের কাছে কৃষকদের স্বার্থ তেমন প্রাধান্য পায় না।

কৃষকের সার, বীজ, কীটনাশক, সেচের পানির দাম ও প্রাপ্যতা  কিংবা উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য জাতীয় সমস্যা হিসেবে যতটা মনোযোগের দাবি করে, ততটা গুরুত্ব পেতে দেখা যায় না। দেশে কৃষির সম্ভাবনা অনেক। উৎপাদনও বাড়ছে। বলা হয়, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কিন্তু যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উৎপাদন করছেন, তারাই বেশি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।

সরকারি তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে দেশে কৃষির ওপর নির্ভরশীল ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ পরিবার খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পেশা হিসেবেও সামনে আসছে কৃষি। কৃষির ওপর নির্ভরশীল পরিবারগুলোর এই হতাশার প্রভাব পড়তে পারে পুরো কৃষি খাতে। ফলে বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় পড়তে পারে।

ইতিমধ্যেই বিভিন্ন কারণে গত এক বছরে কৃষি পেশা ছেড়ে দিয়েছে প্রায় ১৬ লাখ মানুষ। এর প্রভাবও পড়েছে দেশের মোট উৎপাদন বা জিডিপিতে। কৃষি অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশের কৃষকরা উচ্চমূল্যের কৃষিপণ্য উৎপাদন করলেও নিজের জন্য কিছুই রাখেন না। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে উৎপাদিত ফসল মাঠেই বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

কৃষক যে খাদ্য ফলান, একটি পর্যায়ে গিয়ে সে খাদ্যই বেশি দামে কিনে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে তাদের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা সবচেয়ে বেশি হবে, এটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খাদ্য নিরাপত্তা পরিসংখ্যান ২০২৩-এ বলা হয়েছে, পেশাগত জায়গায় শুধু কৃষির ওপর নির্ভরশীল পরিবারের মধ্যে গড় খাদ্য নিরাপত্তাহীন ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ।

অর্থাৎ এক-চতুর্থাংশের বেশি পরিবার নিজেদের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে চরম শঙ্কায় রয়েছে। অথচ অন্য পেশায় থাকা মানুষের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা আরও কম, গড়ে ২০ শতাংশ। জলবায়ু পরিবর্তন এবং কৃষি বিশ্বব্যাপী পরস্পর সম্পর্কযুক্ত।

বৈশ্বিক উষ্ণায়ন গড় তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত এবং আবহাওয়ার চরম পরিবর্তন (যেমন- ঝড় এবং তাপপ্রবাহ) ; কীটপতঙ্গ এবং রোগের পরিবর্তন; বায়ুমন্ডলীয় কার্বন ডাই অক্সাইড এবং স্থল-স্তরের ওজোন ঘনত্বের পরিবর্তন; কিছু খাবারের পুষ্টির মানের পরিবর্তন; এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের পরিবর্তনের মাধ্যমে কৃষিকে প্রভাবিত করে।

বৈশ্বিক উষ্ণতা ইতিমধ্যেই কৃষিকে প্রভাবিত করছে, যার প্রভাব বিশ্বজুড়ে অসমভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভবিষ্যৎ জলবায়ু পরিবর্তন সম্ভবত নিম্ন অক্ষাংশে অবস্থিত দেশগুলোতে ফসলের উৎপাদনকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে, যদিও উত্তর অক্ষাংশে প্রভাব ইতিবাচক বা নেতিবাচক হতে পারে।

বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সম্ভবত দরিদ্রদের মতো কিছু দুর্বল গোষ্ঠীর জন্য খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা যদি ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়, তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে।

৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বলা হয়। তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয় যখন তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে। আর অতি তীব্র হয় ৪২ ডিগ্রি বা এর বেশি হলে। সে হিসেবে রাজশাহী সহ উত্তর বঙ্গে আজ মাঝারি তাপপ্রবাহ চলছে।

এর আগের তিন দিনও একই ধরনের তাপপ্রবাহ চলেছে। বর্তমানে মাঠে সেচ নির্ভর ধানের প্রধান মৌসুম বোরো ধান দন্ডায়মান, বেশীরভাগ বোরো ধানের প্রজনন সময় চলমান রয়েছে, এ সময় ধানে সেচের পানির ঘাটতি হলে ধান চিটা হয়ে যাবে, অত্যন্ত সেনসেটিভ  এ সময়ে জমিতে ২-৩ ইঞ্চি পানি থাকা আবশ্যক।

লোড শেডিং/ ভোল্টেজ আপ-ডাউন/ ড্র- ডাউনকৃত শ্যালো মেশিনের পানি কম উঠতে দেখা যাচ্ছে, অনেক এলাকাতে খাল-বিল, ডোবা- নালার পানি ব্যবহার করেও জমিতে সেচ দিতে পারছেন  না।

আধুনিক কৃষি ব্যবস্থাপনা যতই সমৃদ্ধ হোক না কেন প্রকৃতির কাছে এখনও আমরা নিদারুণ অসহায়। অবশ্য প্রকৃতির সাথে সেতুবন্ধনেই আমাদের কৃষক এগিয়ে যাচ্ছে। ধান ফসলও আবহাওয়ার প্রভাবে দারুণ প্রভাবিত। বাংলাদেশে আউশ, আমন ও বোরো এ হলো ধান আবাদের বিন্যাস। শুধু আবহাওয়াজনিত কারণে এ বিন্যাসগুলোর রয়েছে স্বাতন্ত্র্যিক বৈশিষ্ট্য।

বোরো মৌসুম ঠান্ডা হিম শীতলের সমন্বয়ে নভেম্বর (কার্তিক-অগ্রহায়ণ) মাসে শুরু হয়। আর শেষটা হয় চরম গরমের এপ্রিল-মে (বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ) মাসে। বোরো মৌসুমের প্রতিটা দিনেই রয়েছে দারুণ বৈচিত্র্যতা। গবেষণায় দেখা গেছে, ধান গাছ তার জীবনচক্রের মধ্যে কাইচ থোড় থেকে ফুল ফোটা  পর্যন্ত সময়ে অতিরিক্ত ঠান্ডা ও গরম সহ্য করতে পারে না। ওই সময় বাতাসের তাপমাত্রা যদি ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে অথবা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে যায়, তাহলে ধানে ব্যাপকভাবে চিটা দেখা দেয়।

তাছাড়া এ সময়ে খরা, ঝড়, পোকামাকড় বা রোগবালাইয়ের আক্রমণ হলেও চিটা হয়ে থাকে। গবেষণা মোতাবেক ধান গাছের জীবন চক্রের বিভিন্ন পর্যায়ে ক্রিটিক্যাল (নিম্ন) তাপমাত্রার একটি স্কেল নির্ধারণ করা হয়েছে। ধানের জীবন চক্রের অঙ্কুরোদগম অবস্থায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চারা অবস্থায় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কুশি অবস্থায় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, থোড় অবস্থায় ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ফুল ফোটা অবস্থায় ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা চলে গেলে ফলনে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। এতে ফলন অনেক কমে যায়।

স্বাভাবিকভাবে ধানে শতকরা ১৫ থেকে ২০ ভাগ চিটা হয়। চিটার পরিমাণ এর চেয়ে বেশি হলে ধরে নিতে হবে থোড় থেকে ফুল ফোটা এবং ধান পাকার আগ পর্যন্ত ফসল কোনো না কোনো প্রতিকূলতার শিকার হয়েছে, যেমন অসহনীয় ঠান্ডা বা গরম, খরা বা অতিবৃষ্টি, ঝড়-ঝঞ্ঝা, পোকা ও রোগবালাই। ধানের জন্য অসহনীয় তাপমাত্রা হলো ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি। ফুল ফোটার সময় ১-২ ঘণ্টা ওই তাপমাত্রা বিরাজ করলে মাত্রাতিরিক্ত চিটা হয়ে যায়।

প্রচন্ড ঝড়ো বাতাসের কারণে গাছ থেকে পানি প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় বেরিয়ে যায়। এতে ফুলের অঙ্গগুলো গঠন বাধাগ্রস্ত হয়। আবার ঝড়ো বাতাস পরাগায়ন, গর্ভধারণ ও ধানের মধ্যে চালের বৃদ্ধি ব্যাহত করে। এতে ধানের সবুজ খোসা  খয়েরি বা কালো রঙ ধারণ করে। ফলে ধান চিটা হয়ে যেতে পারে। খরার কারণে শিষের শাখা বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং বিকৃত ও বন্ধ্যা ধানের জন্ম দেয়ায় চিটা হয়ে যায়।

ফসল চক্রে নেমে আসা প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিহত করা কঠিন। কিন্তু বোরো ধান অগ্রহায়ণের শুরুতে বীজ বপন করলে ধানের থোড় এবং ফুল ফোটা অসহনীয় নিম্ন বা উচ্চ তাপমাত্রায় পড়ে না, ফলে ঠান্ডা ও গরম এমনকি ঝড়ো বাতাসজনিত ক্ষতি থেকেও রেহাই পাওয়া সম্ভব।

চিটা ব্যবস্থাপনা করার প্রয়োজনীয় পরামর্শ হলো- ব্রি ধান২৮ এর ক্ষেত্রে ১৫-৩০ নভেম্বরের মধ্যে এবং ব্রিধান ২৯ এর ক্ষেত্রে ৫-২৫ নভেম্বরের মধ্যে বীজতলায় বীজ বপন সম্পন্ন করতে হবে। অর্থাৎ দীর্ঘ জীবনকাল সম্পন্ন (১৫০ দিনের ওপর) ধানের জাতগুলো নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে এবং স্বল্প জীবনকালের (১৫০ দিনের নিচে) জাতগুলো ১৫ নভেম্বর থেকে বীজতলায় বপণ করতে হবে।

উচ্চ তাপ প্রবাহের সাথে যদি কালবৈশাখী ঝড় হয় বা জোরে বাতাস হয় সে ক্ষেত্রে ধানের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয় এ সময় ব্যাকটেরিয়া জনিত পাতাপোড়া (বিএলবি) বা ব্যাকটেরিয়া জনিত লালচে রেখা রোগ (বিএলএস) আক্রমণ হতে পারে, যে সমস্ত জমি ফুল আসা পর্যায়ে রয়েছে সে সব জমিতে ৬০ গ্রাম এমওপি, ৬০ গ্রাম থিওভিট ও ২০ গ্রাম দস্তা সার ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতাংশ জমিতে বিকেলে স্প্রে করা যেতে পারে, তবে ধান থোড় অবস্থায় থাকলে বিঘা প্রতি ৫ কেজি পটাশ সার উপরি প্রয়োগ করলে ভাল ফলন পাওয়া যায়।

বোরো ধানে এ পর্যায়ে নেক ব্লাষ্ট বা শীষ ব্লাষ্ট রোগের আক্রমণ হতে পারে , শীষ ব্লাষ্ট রোগ হওয়ার পরে দমন করার সুযোগ থাকে না সে জন্য রোগ প্রবণ জাত/এলাকায় ধানের শীষ বের হওয়ার  সাথে সাথেই একবার এবং ৫-৭ দিন পর আরেকবার প্রতি বিঘা জমির জন্য ৫৪ গ্রাম ট্রুপার/ ৭৫ ডব্লিউপি/ দিফা ৭৫ ডব্লিউপি/ জিল ৭৫ ডব্লিউপি অথবা ৩৩ গ্রাম নাটিভো ৭৫ ডব্লিউপিজি/স্ট্রবিন গ্রুপের অনুমোদিত ছত্রাকনাশক অনুমোদিত মাত্রায় ৬৭ লিটার পানিতে ভালভাবে মিশিয়ে শেষ বিকেলে স্প্রে করা যেতে পারে।

আমরা পানির পাম্প নিয়ে খুব কমন একটি সমস্যা এলাকাভেদে দেখে থাকি, তা হচ্ছে বার বার পানির পাম্প বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং আবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যাওয়া। এ ধরনের সমস্যা মূলত দেখা দেয় ভোল্টেজ আপ ডাউন এর কারণে।

বাসাবাড়িতে সাধারণত আমরা যে ভোল্টেজ ব্যবহার করি সেটি মূলত ২২০ ভোটেজ। পানির পাম্প বা মটর চালানোর অন্য আদর্শ ভোল্টেজ হচ্ছে ১৮০-২২০ ভোল্টেজ। এলাকাভেদে এই ভোল্টেজের পরিমাণে তারতম্য হয়ে থাকে। আমরা জানি যে, পানির পাম্প বা মটরের কয়েলের সাথে থার্মাল প্রটেক্টর নামে একটি অটো সার্কিট থাকে।

যা হাই ও লো ভোল্টেজের মটরের কয়েলকে পুড়ে যাওয়া হতে রক্ষা করে। যখন কোন পাম্প বা মটর ২২০ এর ওপরে হাই ভোল্টেজে চলবে অথবা ১৮০ এর নিচে লো ভোল্টেজে চলবে তখন উভয় ক্ষেত্রেই মটরের তাপমাত্রা গরম হয়ে ১৪০ ডিগ্রি অতিক্রম করলে থার্মাল প্রটেক্ট ও বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে দেয় এবং মটরটি অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যায়।

তাপমাত্রা যখন ১৪০ ডিগ্রির নিচে চলে আসে তখন মটরটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যায়। এ ধরনের সমস্যা প্রতিকারে আমরা যে এলাকায় অবস্থান করি সেই এলাকার ভোল্টেজের আপ ডাউন সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা থাকতে হবে এবং স্বাভাবিক ভোল্টেজে অর্থাৎ ১৮০-২২০ ভোল্টেজ থাকা অবস্থায় পাম্প বা মটর চালাতে হবে।

এছাড়াও ভোল্টেজের পরিমাণ অনুযায়ী পানির পাম্প বা মটরের ক্যাপাসিটর এর পাওয়ার কমিয়ে বা বাড়িয়ে আমরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানির পাম্প বন্ধ এবং চালু হওয়ার সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে পারি। সর্বোপরি বলা যায় দেশের কৃষি উৎপাদন বাড়লেও কৃষকরা খুব কমই উপকৃত হচ্ছেন। বিশেষ করে আলু উৎপাদনের মৌসুমেও প্রয়োজনীয় তদারকির অভাবে দেশে আলু আমদানি করতে হচ্ছে। ডিমের উৎপাদন যথেষ্ট থাকার পরও আমদানি করা হয়েছিল।

এ ছাড়া পেঁয়াজ, চাল, মরিচসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি নির্ভরতার দিকেই ঝুঁকেছে বেশি। দেশের কৃষি উৎপাদন বাড়লেও খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা যে রয়েছে তা সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ‘বাংলাদেশে ফসল সংগ্রহের পর বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় ৩০ শতাংশ ফসল ও খাদ্য নষ্ট এবং অপচয় হয়। খাদ্য নষ্ট ও অপচয় কমাতে পারলে আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS