ভিডিও

প্রতিকূল আবহাওয়া ও খাদ্য নিরাপত্তা

মোহাম্মদ নজাবত আলী

প্রকাশিত: মে ০৮, ২০২৪, ০৭:৪৫ বিকাল
আপডেট: মে ০৮, ২০২৪, ০৭:৪৫ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

প্রকৃতির রাজ্যে মানুষ বড় অসহায়। এবারে স্মরণকালের ভয়াবহ দাবদাহে পুড়েছে দেশের মানুষ। প্রায় দু’সপ্তাহর বেশি সময় ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপ প্রবাহের কারণে দুর্বিষহ হয় মানুষের জীবন। গত শনিবার প্রায় সারাদেশে স্বস্তির বৃষ্টি মিললেও আবহাওয়াবিদরা তীব্র বজ্রপাত, কালবৈশাখী ও শিলাবৃিষ্ট হওয়ার আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করেছেন।

আগামী ১৫ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ বৃষ্টিবলয়ের মধ্যে থাকবে। তবে সবচেয়ে বেশি সিলেট বিভাগে বৃষ্টিবলয় থাকবে। উপরোন্ত বিভিন্ন কারণে বিশ্বব্যাপি জলবায়ুর পরিবর্তন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিটি রাষ্ট্র জনগণের খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি  গুরুত্ব দিয়েছে।

বাংলাদেশ ও তার ব্যতিক্রম নয়। ‘বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, সাত কোটি সন্তান রে হে বঙ্গ জননী, রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করনি।’ রবি ঠাকুরের এ কথার মধ্যে স্বাধীনতার বাণী ধ্বনিত হয়েছে এবং আমরা বাঙালি স্বাধীনতা অর্জন করেছি। কিন্তু সাত কোটি বঙ্গ জননী আর নেই। কালের পরিক্রমায় জনসংখ্যা আজ প্রায় ১৭ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। এ বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা শুধু বাংলাদেশ নয়, যে কোনো দেশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। আমরা যদি সুদূর অতীতের দিকে তাকায় তাহলে দেখতে পাব ব্রিটিশ তৎপরবর্তী পাকিস্তান আমলে জনসংখ্যা কম থাকায় খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে খোদ সরকারের মাথা ব্যথার কোনো কারণ ছিল না।

তখন জনসংখ্যা ছিল খুবই কম। জনগণের কোনো অভাব অনটন ছিল না, প্রচুর খাদ্য উৎপন্ন হতো। খাদ্যের জন্য কোনো হাহাকার ছিল না। জিনিসপত্রের দামও ছিল জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে। পুকুর ভরা মাছ গোলা ভরা ধান নিয়ে এদেশের কৃষকের আনন্দের কোনো সীমা ছিল না। বলা হতো মাছে-ভাতে বাঙালি। কিন্তু বর্তমানে এ অবস্থায় ষোল আনা আর নেই।

নদী-নালা, খাল-বিল, জলাশয় রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দখলে নিয়ে বহুতল ভবন নির্মানে একদিকে যেমন ভূমিকম্পের ক্ষতির আশংকাকে বাড়িয়ে দিয়েছে তেমনি অন্যদিকে মাছের পরিমাণও হ্রাস পেয়েছে। কারণ এ সমস্ত নদীনালা খাল,বিল, পুকুর, জলাশয়ে প্রকৃতিগতভাবে যে মাছ পাওয়া যেত এখন সে অবস্থা আর নেই।

তবে নিজস্ব পুকুর জলাশয়ে অনেকে ব্যবসা ভিত্তিক মাছ চাষ করে থাকে। যা হোক, জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রতিটি সরকার এ বিষয়ে খুবই সজাগ। বর্তমান সরকার জনগণের টেকসই খাদ্য নিরাপত্তার ব্যাপারে খুবই সচেতন। কারণ আগেই উল্লেখ করা হয়েছে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এ দেশের জনসংখ্যা ছিল সাড়ে সাত কোটির মতো। কিন্তু বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি।

তবে এ সংখ্যা নিয়েও অনেকের দ্বিমত রয়েছে। কারণ বর্তমান বাংলাদেশের সঠিক জনসংখ্যা আমাদের অনেকের কাছে অজানা। যা হোক, আগের মতো প্রকৃতির কোমলীয় রূপ আর নেই। সারা বিশ্বের আবহাওয়া পরিবর্তন হয়েছে। কখনও ঝড়, কখন, বৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়। সুতরাং প্রকৃতির এই বৈরী আবহাওয়ার মাঝে আমাদের অবস্থান।

বাংলাদেশের অবস্থান ভৌগলিক দিক থেকে কখনো নদী ভাঙনের দিকে, কখনো প্রচন্ড বন্যা, কখনো অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি এক কথায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে। ফলে প্রকৃতির এই বৈরীরূপ হিংস্রতা, ফসল হানী, ক্রমাগতভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, উৎপাদন হ্রাস, প্রকৃতির এই দুর্যোগ সহ বিভিন্ন কারণে খাদ্য সংকট দেখা দেয়।

আর বাংলাদেশের জন্য এ পরিস্থিতি মোটেই শুভকর নয়। কারণ আমাদের দেশটি প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ হিসাবে প্রতিবছর ফসল সহ যানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ৭১ থেকে ২০২৪ এ ৫৩ বছরে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটিতে দাড়িয়েছে। তাই, সুদূর অতীত থেকেই বর্তমান। জনসংখ্যা বা জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে খাদ্য নিরাপত্তা জড়িত।

কোনো দেশের জনসংখ্যা যদি দেশের উৎপাদিত খাদ্য শস্যের সাথে সামঞ্জস্য না হওয়ায় বিদেশ থেকে চাল, ডাল আমদানী করার সক্ষমতা না থাকে তাহলে এক বিপজ্জনক অবস্থার মধ্যে পড়বে। সে রকম আমাদের কোনো আশংকা নেই। কারণ খাদ্য শস্য উৎপাদনের পাশাপাশি ব্যবসা, বাণিজ্য এবং প্রয়োজন বোধে বিদেশ থেকে চাল আমদানীতে সক্ষম বাংলাদেশ।

সুদূর অতীতে দেখা গেছে কৃষি অর্থনীতির মূল ভিত্তি হলেও কৃষির পাশাপাশি ব্যবসা বাণিজ্যের মাধ্যমে এদেশের মানুষ জীবন জীবিকা নির্বাহ করেছে। জনসংখ্যা কম থাকায় এবং তখন প্রাকৃতিক রুদ্রতা এতটা ভয়াবহ ছিল না। তবে সে আমলেও সামাজিক শ্রেণি বিন্যাস লক্ষ্য করা যায়। শোষণ নির্যাতন দরিদ্র মানুষের কথা জানা যায়। বাংলা থেকে পুঁজি পাচার শুরু হয় বিশেষ করে সুবেদার শায়েস্তা খানের আমলে।

ইতিহাসের প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, সে আমলে টাকায় ৮মণ চাল পাওয়া যেত। কিন্তু দারিদ্রের বৃত্ত এতটা শিকড় গড়েছিল যে, তাদের ক্রয় ক্ষমতা বলে আসলে কিছু ছিল না। প্রচুর পরিমাণ অর্থ বিদেশ পাচার হয়েছে। সুতরাং সে আমলেও দুর্নীতি ছিল, দরিদ্র মানুষ ছিল।

বর্তমান সময়ের মতো সমাজে ধনী লোকের পাশাপাশি দরিদ্র মানুষ যেমন আছে তেমনি দুর্নীতিও। তবে দুর্নীতি আগের চেয়ে কমেছে। দেশের উন্নয়ন হয়েছে মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। জীবনযাত্রার মান ক্রমান্বয়ে উন্নত হচ্ছে। কিন্তু এসবের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জনসংখ্যা। বিগত ৫৩ বছরে এ দেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটিতে দাঁড়িয়েছে।

অধিক জনসংখ্যা বসত বাড়ি নির্মাণ, ইট ভাটা প্রভৃতি কারণে প্রায় প্রতি বছর আবাদী জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। একদিকে জনসংখ্যা বৃদ্ধি অপরদিকে আবাদী জমির পরিমাণ হ্রাস পাওয়া, এ হ্রাস পাওয়া আবাদী জমি উৎপাদনের দিকে তাকিয়ে আছে এদেশের ১৭ কোটি মানুষ। বর্তমানে যেহারে জনসংখ্যা বাড়ছে তা যদি অব্যাহত তাকে তাহলে আগামীতে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে।

কারণ জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে জমির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে না। তবুও বর্তমান সরকার কৃষিখাতকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে ফলে উৎপাদনের কোনো অসুবিধা নেই। তবুও প্রাকৃতিক দুর্যোগ জলোচ্ছ্বাস বন্যা খরা ইত্যাদি কারণে কৃষিখাত কিছুটা ঝুঁকিতে থাকলেও এদেশের কষ্ট সহিষ্ণু মানুষ  টিকে আছে।  কেননা অদম্য সাহসি এদেশের মানুষ।

এ কথা আমাদের স্বীকার করতে হবে যে, বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। কৃষিপণ্য সামগ্রী আমাদের খাদ্য নিরাত্তার প্রধান দিক। কিন্তু কৃষিখাতের ঝুঁকি হচ্ছে বৈরী আবহাওয়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলোচ্ছাস অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, অধিক জনসংখ্যা, প্রয়োজনীয় মূলধনের অভাব সহ বিভিন্ন কারণে খাদ্য ঘাটাতি দেখা দেয়। বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশে উপরোক্ত কারণে খাদ্য সংকটের সৃষ্টি হয়।

আমাদের সমুদ্র উপকূলবর্তী দেশ হওয়ায় প্রায় প্রতি বছরে ঝড় ও জলোচ্ছাসে আমাদের উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। আবার অতিরিক্ত জনসংখ্যার ফলে আবাদী জমির পরিমাণ কমে যাওয়ায় খাদ্য উৎপাদন মারাত্মকভাবে হ্রাস পায়। আমাদের দেশের মানুষের প্রধান খাদ্য হলো ভাত। কিন্তু যে হারে আমাদের দেশে প্রতি বছর জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে অধিক ফলনশীল ধান চাষ অত্যন্ত জরুরী।

আবহমান কাল থেকে কৃষি প্রধান দেশ হিসাবে বাংলাদেশ পরিচিত হলেও খাদ্য সমস্যা আমাদের প্রধান সমস্যা। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ অধিক জনসংখ্যা সহ নানা প্রতিকূলের মধ্যেও দেশ ইতিমধ্যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।

বাংলাদেশের মতো জনসংখ্যাধিক্য ও ঘনবসতি দেশ হিসাবে খাদ্য শস্য আমদানীর পাশাপাশি অবশ্যই কৃষির ওপর জোর দেয়ার কোনো বিকল্প নেই। কারণ কৃষি আমাদের দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। আর কৃষক সমাজ হচ্ছে আমাদের এ শক্তির মূল নায়ক। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্য যে অধিকাংশ সময়ই কৃষকরা তাদের ফসলের ন্যায্য মূল্য পাননা যা দুঃখজনক।

তবে এ বারে কৃষকরা আলুর কাক্সিক্ষত মূল্য পেয়েছে। সেভাবে যদি চলতি মৌসুমে ধানের কাক্সিক্ষত মূল্য যদি পায় তাহলে কৃষকরা কিছুটা হলেও লাভবান হবে। পৃথিবীর মানচিত্রে ছোট্ট একটি দেশ বাংলাদেশ। বর্তমান বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি।

আমরা  যেমন একসময় ছিলাম মাছে ভাতে বাঙালি তেমনি বাংলার কৃষকনেতা একে ফজলুল হকের বরিশালকে বলা হতো ধান, নদী খাল এ তিন মিলে বরিশাল। খাদ্য উৎপাদনে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের এক সময় খ্যাতি ছিল। কিন্তু কালের পরিক্রমায় সুষ্ঠু পরিকল্পনা, নগরায়ন, জলবায়ুর পরিবর্তন, বিশেষ করে প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে খাদ্য শস্যের উৎপাদানের পরিমান হ্রাস পেয়েছে।

প্রতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঝড়ো হাওয়া জলোচ্ছ্বাসের কারণে উপকুলীয় অঞ্চলে হাজার হাজার হেক্টর আবাদি জমির পরিমাণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই, শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা জলবায়ুর পরিবর্তনই নয় এর সঙ্গে যুক্ত ক্রমবর্ধমান হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে আবাদি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। কেননা জনসংখ্যা যে হারে বেড়ে যাচ্ছে সে হারে জমির পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে। ফলে উৎপাদনও কমে যাচ্ছে। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ রবার্ট ম্যালথাসের জনসংখ্যা তত্ত্ব আমরা স্কুল জীবনে পড়েছি আজ থেকে অনেক বছর আগে।

তিনি তার জনসংখ্যার তত্ত্বে বলেন, যে কোনো দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায় জ্যামিতিক হারে।  অর্থাৎ (১,২,৪,৬,৮) আর খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পায় গাণিতিক হারে। অর্থাৎ (১,২,৩,৪,৫,...) ফলে জনসংখ্যা যে হারে বৃদ্ধি পায় সে হারে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পায়না। তিনি একই সঙ্গে আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, অতিরিক্ত জনসংখ্যার ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রকৃতিই বিরূপ আচরণ করবে।

বর্তমানে বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে বাংলাদেশে তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যায়। প্রতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা মহামারিতে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটে যা ম্যালথাসের জনসংখ্যা তত্ত্বেরই প্রতিফলন। প্রকৃত বাস্তবতা হচ্ছে প্রতিটি রাষ্ট্রের জনসংখা হওয়া উচিত সে রাষ্ট্রের অবস্থান, আর্থ-সামাজিক অবস্থান ও আয়তনের উপর নির্ভর করে। বাংলাদেশ তার ব্যতিক্রম।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষির উপর অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি কৃষি উৎপাদন বিশেষ করে অধিক ধান উৎপাদনের জন্য গবেষকদের উদ্ভাবনী চিন্তা শক্তি বাড়ানোর পরামর্শ দেন। এবারে ইরি মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। যদি প্রকৃতি আমাদের সহায় হন তাহলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা পাব।

পাশাপাশি এদেশের কৃষক সমাজ যেন কৃষিপণ্যের ন্যায্য মূল্য পান সে ব্যাপারে সরকারকে আরো নজরদারি বাড়ানো দরকার। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলায় যে কোনো দেশ অধিক খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি খাদ্য ঘাটতি দেশ গুলোকে খাদ্য সামগ্রী আমদানি করতে হয়। খাদ্য ঘাটতির বিভিন্ন কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিরূপ আবহাওয়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগ তথা জলবায়ুর পরিবর্তন।

অস্বাভাবিক বা প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে আবাদি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। খাদ্যের জন্য বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশে এ ধরনের নির্ভরতা থাকলেও বর্তমান সরকারের সময়োচিত নানা ধরনের পদক্ষেপ কৃষিখাতকে অধিক গুরুত্ব দেয়া, কৃষি উপকরণে সহজলভ্যতা ও পর্যাপ্ত প্রাপ্যতা অধিক খাদ্য উৎপাদনে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।


লেখকঃ সাবেক শিক্ষক-কলামিস্ট

tnalichs@gmail.com

01719-536231



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS