ভিডিও

স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যাও! এগিয়ে যাও সাফল্যের শীর্ষে!

মোহাম্মদ নজাবত আলী

প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৪, ১১:১৫ রাত
আপডেট: মে ১২, ২০২৪, ১১:৩৫ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সময়ের ব্যবধান ও যুগের পরিবর্তনে বর্তমানে দেশের আনাচে কানাচে যত্রতত্র অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে। আগের তুলনায় বর্তমান সমাজের সর্বশ্রেণীর মানুষের মধ্যে শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতি বৎসর শিক্ষার হার বাড়ছে মানুষও ক্রমান্বয়ে সচেতন হচ্ছে। তবে শিক্ষার মান নিয়ে এখনও প্রশ্ন রয়েছে।

আধুনিক যুগের ইতিহাস আলোচনা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, যুগে যুগে দেশে দেশে যে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে এর মূলে রয়েছে শিক্ষা। শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি উন্নতি করতে পারে না এটা যেমন সত্য তেমনি শিক্ষা জাতি গঠনেরও মূল স্তম্ভ। জাপানের এক ভদ্রলোককে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, আপনার দেশ যুুদ্ধ বিধ্বস্তের পরও এতো উন্নত কেন? ভদ্রলোকটি তাৎক্ষণিক উত্তর দিয়েছিলেন শিক্ষা।

যুদ্ধের পর শিক্ষাই জাপানকে উন্নতি, সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে গেছে। এ কারণে যুগে যুগে জ্ঞানী গুণী, মনীষীরা শিক্ষার মাহাত্ম্যের কথা বর্ণনা করেছেন প্রবন্ধ আকারে, পুস্তক, পুস্তিকা আকারে। তাই, শিক্ষাকে সভ্য জাতির মূল স্তম্ভ হিসাবে ধরা হয়।

আজ রোববার (১২ মে) এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। পরীক্ষার ফল সন্তোষজনক। এবারে এস.এস.সি ও সমমান পরীক্ষায় ১৬ লক্ষ ৮০ হাজার ৮৮৯ শিক্ষার্থী পাশ করেছে। পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে ২০ লাখ ২৪ হ্জার ১৯২ জন । গড় পাশের হার ৮৩.০৪ শতাংশ । গত বারে পাশের হার ছিল ৮০.৩৯ শতাংশ।

এবারে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন । গত বার জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন  এবারে পাশের হার বাড়লেও জিপিএ-৫ কিছুটা কমেছে। বিভিন্ন বোর্ডের পাশের হার, রাজশাহী বোর্ডে পাশের হার ৮৯.২৬ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৮,০৭৪। ঢাকা বোর্ডে পাশের হার ৮৯.৩২, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৯,১৯০।  কুমিল্লায়- ৭৯.২০, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২,১০০।

বরিশালে- ৮৯.১৩, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬,১৪৫। যশোর বোর্ডে-৯২.৩২, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০,৭৬৮। চট্টগ্রাম বোর্ডে-৮২.৮০, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০,৮২৬।  দিনাজপুর বোর্ডে-৭৮.৪০ জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮,১০৫। সিলেট বোর্ডে পাশের হার ৭৩.৩৫ জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫,৪৭১। ময়মনসিংহ বোর্ডে ৮৪.৯৭ শতাংশ জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩,১৭৬।  এছাড়া মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে ৭৯.৬৬ শতাংশও জিপিএ-৫ ১৪,২০৬ ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ৮১.৩৮ শতাংশ ও জিপিএ-৫ ৪,০৭৮ শিক্ষার্থী।

বরাবরের মত এবারেও পাশ ও জিপিএ-৫ এর দিক থেকে মেয়েরা এগিয়ে। পাস করা শিক্ষার্থী, অভিভাবকরা খুশি। শিক্ষার্থীরা একধরনের আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছে। এরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। জাতির কর্ণধার। 
গ্রিক দার্শনিক রাষ্ট্র বিজ্ঞানের জনক এরিস্টটল বলেছেন, ‘শিক্ষার শিকড় তেতো হলেও এর ফল মিষ্ট’। এ মিষ্ট ফলের আস্বাদন গ্রহণে অর্থাৎ সমাজের মধ্যে শিক্ষার প্রতি মানুষের ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।

আগে দেখা গেছে ধনাঢ্য ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরা শিক্ষা গ্রহণে তৎপর হলেও বর্তমান কালে নিম্নবিত্ত মানুষের ছেলে-মেয়েরাও ঘরে বসে নেই। তারাও শিক্ষার প্রতি জেকে বসেছে। গ্রামগঞ্জে আজ শিক্ষা গ্রহণে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। আমি গ্রামের মানুষ। গ্রামীণ পরিবেশেই বেড়ে উঠেছি। গ্রামে বসবাসের ফলে সাধারণ মানুষের সাথে আমার পরিচয় রয়েছে।

রাস্তা ঘাটে চলতে ফিরতে অনেক লোককে আমি জিজ্ঞেস করে দেখেছি বিশেষ করে যারা দিনমজুর খেটে খাওয়া ভ্যান চালক তাদের সন্তানরা লেখা পড়া নিয়ে ব্যস্ত। খবরটি আমাদের মধ্যে আশা জাগানিয়া সৃষ্টি করে। দেশ শিক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে। আবার যখন দেখি বিদ্যালয়গামী ছেলে মেয়েরা পিঠে কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে ছুটে চলেছে। বিদ্যালয়গুলো তাদের কলকাকলিতে সরগরম হয়ে উঠে। এটা সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দৃশ্য। এ দৃশ্যগুলো দেখে আমাদের মনপ্রাণ ভরে যায়।

ভাবি এরাই একদিন সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠে দেশের নেতৃত্ব দিবে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে সমৃদ্ধির পথে। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষা গ্রহণের ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টির পেছনে কারণ হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। একটি জ্ঞান ও মেধাভিত্তিক সমাজ গঠনে সরকার শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রবর্তন, বিনামূল্যে পাঠ্য বই সরবরাহ, উপবৃত্তি প্রদান, শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।

এর সুফল পাচ্ছেন গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর হতদরিদ্র পরিবারের সন্তানরা। কারণ এক সময় দেখা গেছে গ্রামে দরিদ্র পরিবারের সস্তানরা অর্থের অভাবে বিদ্যালয়ে না গিয়ে তাদের পিতা মাতাকে বিভিন্ন কাজে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছে। এর ফলে গ্রাম বাঙলার অনেক শিশু শিক্ষা লাভ থেকে বঞ্চিত ছিল। আজ সন্তানরা বিনা পয়সায় লেখা পড়ার সুযোগ ও উপবৃত্তি পাচ্ছে। এদিকগুলো শিক্ষা ক্ষেত্রে খুবই ইতিবাচক তা কেউ অস্বীকার করতে পারেবে না। উপরন্তু প্রায় প্রতিটি গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হওয়ায় গ্রামের নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানরা পান্তাভাত খেয়ে শিক্ষা লাভের সুযোগ পাচ্ছে।

আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার কিছু ত্রুটি বিচ্যুতির মাঝেও যথাসময়ে পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ ও শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া বাংলাদেশের শিক্ষার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা। প্রতিবছর ১ জানুয়ারি সারা দেশে পাঠ্যবই উৎসব পালিত হয়ে আসছে।  নতুন বছরে নতুন আশা উদ্দীপনা, স্বপ্ন নিয়ে শিক্ষার্থীরা নানা রঙ বে-রঙের নতুন বই হাতে পেয়ে তাদের মাঝে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়।

ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে প্রতিবছর ১জানুয়ারিতে যে শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেয়া হয় সেটা সরকারের একটি মহতি উদ্যোগ এতে কোনো সন্দেহ নেই। নতুন বছরে নতুন শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নতুন বইয়ের সোঁদোগন্ধে আনন্দে আত্মহারা। তাদের উচ্ছ্বাস ও আনন্দ দেখে মনে হয় এরাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। ভবিষ্যতে তাদের মেধায় দেশ এগিয়ে যাবে ও আলোকিত সমাজ গড়ে উঠবে। মানসম্মত, শিক্ষাই পারে দেশকে সার্বিক দিক থেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।

এ কারণে প্রতিটি দেশ যুগের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করে থাকে। সমাজ ও  যুগের চাহিদা এবং সমকালীন জ্ঞানের যে বিস্তার ঘটেছে তার দিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের দেশেও শিক্ষা নীতি চালু করে। এ শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে যেন সর্বোত্তম ফল লাভ করা যায়। সে জন্য শিক্ষা নিয়ে গবেষণা বা ভাবনার শেষ নেই। যুগে যুগে প্রতিটি দেশে জ্ঞানী গুনী মনীষীদের ভাবনায় শিক্ষাই প্রাধান্য পেয়েছে। তাই একক সময়ে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তন, বিয়োজন ও নিত্যনতুন প্রদ্ধতি প্রয়োগ করে শিক্ষাকে অর্থবহ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে তাদের মেধায় দেশ এগিয়ে যাবে ও আলোকিত সমাজ গড়ে উঠবে।

মানসম্মত, শিক্ষাই পারে দেশকে সার্বিক দিক থেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। এ কারণে প্রতিটি দেশ যুগের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করে থাকে। সমাজ ও যুগের চাহিদা এবং সমকালীন জ্ঞানের যে বিস্তার ঘটেছে তার দিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের দেশেও শিক্ষা নীতি চালু করে। এ শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে যেন সর্বোত্তম ফল লাভ করা যায়। সে জন্য শিক্ষা নিয়ে গবেষণা বা ভাবনার শেষ নেই। যুগে যুগে প্রতিটি দেশে জ্ঞানী গুনী মনীষীদের ভাবনায় শিক্ষাই প্রাধান্য পেয়েছে।

তাই একক সময়ে শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তন, বিয়োজন ও নিত্যনতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করে শিক্ষাকে অর্থবহ করা হয়েছে। একটি দক্ষ জনগোষ্ঠী ও আলোকিত সমাজ গঠনে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। তাই শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি উন্নতি করতে পারে না। বিশ্বে যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত। কেন না একটি জাতির উন্নতির প্রথম সোপানই হচ্ছে শিক্ষা।

এ পেশায় যারা জড়িত তারা অত্যন্ত কষ্ট করে নিজের মেধা, কলা কৌশল প্রয়োগ করেন শ্রেণি কক্ষে। যাতে করে প্রিয় শিক্ষার্থীরা শিক্ষায় আগ্রহী হয়ে উঠে। একজন শিক্ষক তার অন্তরের সব কিছু উজাড় করে দেন শিক্ষার্থীর মাঝে। দেশের শিক্ষক সমাজ এমন একটি পেশা বা প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি দেশ,  সামনের দিকে এগিয়ে যায়।

আর এ প্রক্রিয়ার নাম হচ্ছে শিক্ষা দান প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একজন শিক্ষক শিক্ষার্থীর সুপ্ত প্রতিভার উন্মেষ ও বিকাশ ঘটিয়ে শিক্ষার্থীকে মানবিক করে তোলে। একটি পরিপূর্ণ মানুষরূপে গড়ে তোলে। একজন শিক্ষক শিক্ষার দ্বারা শিক্ষার্থীর সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটিয়ে দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত করে। একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ ও সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তোলায় শিক্ষার উন্নতম লক্ষ্য। যা অর্জনের মধ্য দিয়ে একজন মানুষ প্রকৃত খাঁটি মানুষে পরিনত হয়।

একজন মানুষ মনুষ্যত্বের অধিকারী হয়ে তার মনের কুপ্রবৃত্তিগুলো দূরিভূত করে সত্য ও ন্যায়বোধ জাগ্রত করে। আলো, হাওয়া স্বাদ বঞ্চিত মানুষগুলোকে একজন শিক্ষক মানবিক মূল্যবোধ অর্জনে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে।

কাজেই প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত একজন মানুষ একটি দেশের সম্পদ। তাই শিক্ষিত জনগোষ্ঠী একটি জাতির শক্তি। শিক্ষায় জাতির আশা আকাক্সক্ষার প্রতীক। তাই বলা হয় শিক্ষা একটি জাতিকে শুধু উন্নতির শিখরেই পৌঁছে দেয় না, একই সাথে একটি সুন্দর আলোকিত সমাজ গঠন ও বিপুল জনগোষ্ঠীকে যোগ্য নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলে।

আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মানসিকতা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিকাশ লাভ করে তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় রাখতে হয়। এটা শুধু প্রাথমিক পর্যায়েই নয় শিক্ষার সকল স্তরে হওয়া উচিত। জ্ঞান, মেধা মনন শক্তির উপযোগী এবং এ বিষয়ে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। নইলে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে আমরা পিছিয়ে পড়বো। বর্তমান ও অনাগত শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ।

তাদের সামনে সোনালী দিন হাতছানি দিয়ে ডাকছে। তাদের ভবিষ্যৎকে পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। তাই রাষ্ট্রকেই শিশুর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। কেননা আজকের শিশুরা নানা দিক থেকে লাঞ্ছিত, নিগৃহীত অপমানিত হচ্ছে। শিশুদের বেড়ে উঠার অনুকূল পরিবেশ তাদের এমনভাবে গড়ে উঠবে যাতে করে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে পারে।

সর্বত্র জ্ঞানের বিস্তরণ ঘটাতে হবে। আমাদের লাখো শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যেতে হবে জ্ঞান, মেধা অর্জনে সামনের দিকে। আমাদের দেশে শিক্ষার হার বেড়েছে কিন্তু শিক্ষার গুনগত মান সে অনুযায়ী বাড়েনি । পাশ করলে সার্টিফিকেট পাওয়া যতটা সহজ শিক্ষিত হওয়া ততটা সহজ নয়।

আর শিক্ষা হচ্ছে অর্জনের বিষয় এটা অর্জন করতে হয় নিজস্ব মেধা, স্বকীয়তা দিয়ে। প্রকৃত মানুষ হতে আমাদের ভাষা শিক্ষা সংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরে এগিয়ে যেতে হবে এবং নিজকে বিকশিত প্রতিষ্ঠিত করতে হবে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে। এটাও বিবেচনায় নেওয়া দরকার যে, শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য সার্টিফিকেট লাভ বা চাকরি পাওয়া নয়।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন “মানুষের অভ্যন্তরের মানুষটিকে খাঁটি মানুষ বানানোর প্রচেষ্টায় শিক্ষা”। শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য নৈতিকতা অর্জন। সকল প্রকার কু-দৃষ্টি, কু-প্রবৃত্তি থেকে মুক্ত হয়ে সর্বক্ষেত্রে সততা, মূল্যবোধ অর্জনের মাধ্যমে মানুষ হওয়া।

প্রকৃত মানুষ হওয়া ও মনুষ্যত্ব অর্জনের জন্য শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন থাকতে হয়। এ স্বপ্ন পূরণে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যেতে হয় সামনের দিকে, সাফল্যের শীর্ষে। অভিনন্দন জানাই কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের ও অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের উৎসাহ, অনুপ্রেরণা ও দৃঢ় প্রত্যয়ের আকাক্সক্ষা ব্যক্ত করি।


লেখকঃ শিক্ষক ও কলামিস্ট

01719-536231



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS