ভিডিও

আবার কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে

প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২৪, ১১:১৭ রাত
আপডেট: মে ১৯, ২০২৪, ১১:১৭ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

মাঝে কিছুটা কমে আবার বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। রাজধানীর বাজারগুলিতে কাঁচা মরিচের দাম ২০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। আর একই চিত্র বাজারগুলিতে। ১৮০-২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। তবে ঢাকার বাইরে জেলাগুলোতে গতকাল ১৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে মরিচ বিক্রি হয়েছে।  বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে বাজারে মরিচের সরবরাহ কমেছে। ক্রেতারা বলছেন, পাশের দেশ থেকে হাজার হাজার মেট্রিক টন মরিচ আমদানি করলেও কোনো লাভ হবেনা।

যদি বাজারের সিন্ডিকেট সরকার দমন করতে না পারে। অন্য দেশ থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করলে দুয়েক দিন দাম কম থাকবে, আবার দাম বাড়বে। বাজারের অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে সরকারকে। এটা সত্য নিত্য পণ্যের বাজার কোনোভাবেই স্বাভাবিক হচ্ছে না। একেক সময় একেক অজুহাতে বিক্রেতারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। একবার চিনি, ভোজ্য তেল, চাল, আবার পেঁয়াজ, আলু ও ডিমের দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়েছে এ দেশের অসৎ অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা। সব আমলেই শুনে আসছি আমরা অদৃশ্য সিন্ডিকেটের নাম।

সবাই বলে দাম বাড়ায় সিন্ডিকেট। তাহলে এই সিন্ডিকেট ভেঙে দেয় না কেন সরকার? আসলে সিন্ডিকেট চালায় রাজনৈতিক পক্ষভুক্ত ব্যবসায়ীরা। তারা প্রভাবশালী-ক্ষমতাশালী। তাদের হাতেই দেশের আমদানি-রপ্তানির দায়িত্ব। বাজারে কি কমবে কি বাড়বে, কোনটা উধাও করতে হবে-সেটা এই সিন্ডিকেটই নির্ধারণ করে থাকে। তাই কোনো কালেই এই সিন্ডিকেট’র ওপর রাষ্ট্রযন্ত্রের হাত পড়ে না। কারণ নেপথ্যের এই সিন্ডিকেট ভুক্তরা বড় বড় রাজনৈতিক পদ-পদবীতে দৃশ্যমান। তাহলে তো দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান চালাতে হয়। তাই অতীত থেকে এখন পর্যন্ত কোনোকালেই ‘সিন্ডিকেটের গায়ে আঁচড় লাগে না। তারাই দেশের নিয়ন্ত্রণ করে। ক্রেতারা অসহায় হয়ে দেখে আর চোখের পানি ফেলে।


গত বছরও কাঁচা মরিচের এমন দুর্দশা আমরা দেখেছি। সে সময় পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে কাঁচা মরিচের দাম কেজি প্রতি ৮০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। দেশের কোনো কোনো জেলায় এক হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। ঈদের পর তা কমে ২০০ টাকায় নেমেছিল। এরপর ওই নিম্নমুখী দাম স্থির ছিল মাত্র অল্প সময়। আবারও দাম বেড়ে ৪০০ টাকায় ওঠে। ব্যবসায়ীরা তখন বলতেন, ভারত থেকে আমদানি কমে যাওয়া ও দেশে সরবরাহ না বাড়ায় নতুন করে দাম বেড়েছে। বৃষ্টির কারণ দেখিয়ে দেশি মরিচের সরবরাহ অনেক কম হওয়াতেই নাকি মূলত এ পণ্যের দাম বেড়েছে। মূলত বাজার নিয়ন্ত্রণহীন। বাজার নিয়ন্ত্রণের কোনো উদ্যোগ নেই। এর আগে পেঁয়াজের যখন উচ্চমূল্য ছিল তখন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেওয়ার ফলে পেঁয়াজের মূল্য কমে গিয়েছিল। একবার কমছে একবার বাড়ছে কেন, এটাই আমাদের প্রশ্ন।

আমরা মনে করি, ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হলে চলবে না। তাদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এরা জনগণের স্বার্থের দিকে কখনোই নজর দেয় না। এরা বাজার সন্ত্রাসী। কীভাবে অসৎ উপায় অবলম্বন করে দ্রুত ধনী হওয়া যায় সেটাই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য। দেশের অসহায় জনগণকে জিম্মি করে তারা পকেট কাটবে এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। বাজারের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভাঙার উদ্যোগ না নিয়ে, উচ্চ মূল্য সামাল দিতে খাদ্য আমদানি কোনো সমাধান নয়। দ্রব্যমূল্য কমাতে গেলে সরকারকে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অনিয়ম লুটপাট বন্ধ করতে হবে। না হলে মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে না। জিনিসপত্রের দাম কমানো সম্ভব হবেনা।

বাজারে উচ্চ মূল্য সামাল দিতে খাদ্য আমদানি কোনো সমাধান নয়। নিত্য পণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ভেতর আনতে হবে এবং এর কোনো বিকল্প নেই। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তদারক দলগুলোকে সব সময় কঠোর নজরদারি চালিয়ে যেতে হবে। আমাদের বিশ্বাস, সরকার যদি আন্তরিক হয়, তাহলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা অসম্ভব নয়।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS