ভিডিও

নিরপেক্ষতা ও সত্য প্রকাশে এগিয়ে দৈনিক করতোয়া

ওসমান গনি 

প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২৪, ০৬:২০ বিকাল
আপডেট: আগস্ট ১২, ২০২৪, ০৬:২০ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলার সাহস নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এদেশের গণমানুষের মুখপত্র দৈনিক করতোয়া। যা গণমাধ্যম জগতের রোল মডেল হিসাবে এদেশের মানুষের নিকট পরিচিত। যা প্রকাশনার ক্ষেত্রে এদেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের মনের খোরাক মিঠাতে আঞ্চলিকতার সীমা অতিক্রম করে প্রিন্টিং ও অনলাইন ভার্সনে বাংলাদেশ আর শুধু অনলাইন ভার্সনে সারাবিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

যেখানে অন্যায় অত্যাচার, অবিচার, অপরাধ, দুর্নীতি, শোষণ ও নির্যাতন সেখানেই দৈনিক করতোয়া। রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনে অধিকার হতে বঞ্চিত অবহেলিত ও নিপীড়িত গণমানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিবাদী বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর দৈনিক করতোয়া। পত্রিকাটি জন্ম থেকেই সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে আসছে।

যার কারণে হাঁটি হাঁটি পা পা করে আজ ৪৭ বছরে পদার্পণ করছে। পত্রিকাটি প্রথম আঞ্চলিকভাবে প্রকাশিত হলেও বর্তমানে এ পত্রিকার পরিধি সারাদেশে ছড়িয়ে গেছে। তা একমাত্র সম্ভব হয়েছে নিরপেক্ষতার কারণে। এটি কোন চাট্টিখানি কথা নয়। আঞ্চলিকভাবে একটি পত্রিকা প্রকাশ হয়ে সারাদেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া সেটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র নিরপেক্ষ নীতি অবলম্বন করার কারণে।

এ পত্রিকা জন্ম থেকেই কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তাঁবেদারি করে না। কারও রক্তচক্ষুকে ভয় করে না। আমার জানামতে বাংলাদেশের আঞ্চলিক পত্রিকা তো দূরের কথা ঢাকা থেকে জাতীয়ভাবে বহু পত্রিকা প্রকাশিত হয়ে বেশীদিন টিকে থাকতে পারেনি। আর সেখানে একটি আঞ্চলিক পত্রিকা সারাদেশব্যাপী ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবস্থান করা সম্ভব হয়েছে একমাত্র নিরপেক্ষতা বজায় রেখে নীতিগত সিদ্ধান্ত মেনে পত্রিকাটি পরিচালনার কারণে।

পত্রিকার সম্পাদক মোজাম্মেল হক তার জীবন যৌবনের সমস্ত সময় এ পত্রিকার পেছনে ব্যয় করে কঠিন পরিশ্রম করে দৈনিক করতোয়াকে আজকের এ অবস্থানে এনে দাঁড় করিয়েছেন। এ পত্রিকাটি পরিচালনা করার জন্য যারা দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তারা সবাই নিজেদের পত্রিকা মনে করে কাজ করছেন।

পত্রিকাটি সারাদেশের সংবাদ কাভার করার জন্য দেশের অধিকাংশ বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় সুদক্ষ সংবাদকর্মী রয়েছে। দেশের যেকোন জায়গায় যেকোন ঘটনা ঘটার সাথে অনলাইন ভার্সনে নিউজ আপলোড হচ্ছে। সাথে সাথে পত্রিকার সমস্ত পাঠকরা অনলাইন ভার্সনে তাদের নিউজ দেখতে পাচ্ছেন। শুধু অনলাইন ভার্সনেই নিউজ শেষ নয় পরের দিন তার প্রিন্ট পত্রিকায়ও তাদের নিউজ পাচ্ছেন।

যার কারণে দিন দিন এ পত্রিকার পাঠক সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিউজের সাথে সাথে পাঠকরা পাচ্ছে যেখানে যে ঘটনা ঘটছে সে ঘটনার বাস্তব ভিডিও ক্লিপ। এটা পত্রিকার পাঠকের জন্য একটি চমৎকার বিষয়। ঘটনার সরাসরি ভিডিও দেখার জন্য পাঠকদেরকে আর টিভি সেটের সামনে বসে থাকার জন্য অপেক্ষা করতে হয় না।

মুহূর্তের মধ্যেই ঘটে যাওয়া সংবাদ মুহূর্তের মধ্যেই পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে তাও আবার ভিডিও সহ। এ ক্ষেত্রে পাঠকরা যেমন আনন্দ উপভোগ করছেন সংবাদকর্মীরাও নিজেদের ধারন করা ভিডিও পত্রিকায় দেখে আনন্দিত হয়ে তাদের সংবাদ সংগ্রহের পরিধি আরও ব্যাপক মাত্রায় বাড়িয়ে দেন। পত্রিকার সেট আপ গেটআপ একদম ঝাকঝমক।

যেকোন পাঠক একবার দেখলেই মন ভরে যায়। পত্রিকার সেটআপ গেটআপ দেখেই অনেক পাঠক পত্রিকা কিনে নেন। পত্রিকাটিতে রয়েছে সারাদেশ/বিদেশের সকল ধরনের নিউজ। ঢাকা থেকে প্রকাশিত পত্রিকাসমূহে যে ধরনের নিউজ কাভার দিচ্ছে দৈনিক করতোয়াও সেই একই ধরনের নিউজ কাভার দিচ্ছেন। অথচ দাম ঢাকার পত্রিকা থেকে কম, কিন্তু নিউজে সমান সমান।

দামে কম নিউজে সমান হওয়ার কারণেও পত্রিকাও প্রচার সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিউজ কাভারের জন্য পত্রিকার অফিসে কাজ করছেন একঝাঁক দক্ষ কলম সৈনিক। যারা পত্রিকার প্রতিনিধিদের পাঠানো নিউজগুলো দেখেশুনে এডিট করে মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য অনবরত কাজ করছেন। পত্রিকাটিতে সংবাদের পাশাপাশি ছাপা হচ্ছে স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য শিক্ষা বিষয়ক একটি বিভাগ।

যেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিদিন পর্যায়ক্রমে একেকটি শ্রেণীর একেকটি বিষয় দেশের নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দক্ষ শিক্ষকরা উপহার দিচ্ছেন। যা পাঠ করে শিক্ষার্থীরা বিশেষভাবে উপকৃত হচ্ছে। এ ছাড়াও থাকছে খেলাধুলা, আন্তর্জাতিক সংবাদ। পত্রিকার অন্যান্য বিভাগের সাথে রয়েছে সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয় বিভাগও।

যেখানে দেশের দক্ষ লেখকরা দেশের ও বিদেশের চলমান ঘটনাসমূহের ওপর নিয়মিত উপসম্পাদকীয় লিখছেন। যা পাঠকরা অতি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন। আমি এ পত্রিকার একজন নিয়মিত পাঠক ও ক্ষুদ্র একজন লেখক হিসাবে আমি একটি বিষয় সবচেয়ে বেশী উপলব্ধি করছি, তাহলো যেদিন আমার লেখা প্রকাশ হয় সেদিন আমি দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা হতে ২৫-৩০টি ফোন কল পাই।

যারা এ পত্রিকার নিয়মিত পাঠক। তারা ফোন করে আমাকে ধন্যবাদ জানান, আর সাথে সাথে দেশের চলমান কিছু সমস্যা নিয়ে লেখার অনুরোধ করে থাকেন। পাঠকরা যে বিষয়ের ওপর লেখার অনুরোধ করেন তা দেশের ও দেশের মানুষের মঙ্গলের জন্য খুবই অপরিহার্য। আমি তাদের ফোন পেয়ে চিন্তা ভাবনা করে সে বিষয়ের ওপরও অনেক সময় লিখে থাকি।


লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS