বিনোদন ডেস্ক : দু’বছর আগে ভাইরাল গানটির রেশ এখনও কমেনি। নিজের তৈরি ‘কাঁচা বাদাম’ গানটি ব্যাপকহারে ভাইরাল হলেও বিপাকে পড়তে হয় লোকশিল্পী ভুবন বাদ্যকরের। এবার সেই আইনি জটিলতার সমাধান হয়েছে। অবশেষে আইনি লড়াইয়ে জিতে কাঁচা বাদামের স্বত্ব ফিরে পেলেন বীরভূমের ভুবন বাদ্যকর। গানটি তৈরি করে ২০২১ সালে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিলেন ভুবন বাদ্যকর। বিশ্বজুড়ে কয়েক মিলিয়ন মানুষ এই গান শুনেছিলেন।

২০২১ সালের ২১ নভেম্বর প্রথম ভুবন বাদ্যকরের এই গানের খবরটি সম্প্রচার হয়। নিমেষে তা ভাইরাল হয়ে যায়। মানুষের মুখে মুখে ফিরতে থাকে সেই গান। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় যখন গোপাল ঘোষ নামের একজন ভুবন বাদ্যকরের কাছে তার গানের কপিরাইট লিখিয়ে নেন। ফলে ‘কাঁচা বাদাম’ গান যারাই সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করছেন, তাদের অ্যাকাউন্টে কপিরাইট লাগিয়ে টাকা দাবি করছেন গোপাল ঘোষ। ভুবনের দাবি, সেই টাকার পরিমাণ প্রায় ১৩ কোটি টাকা। এমনকি ভুবন বাদ্যকর নিজেও সেই গান করার পর তাকেও কপিরাইট দিতে হয়েছে! ফলে বিখ্যাত হয়েও বিপাকে ছিলেন ভুবন। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার দুবরাজপুর থানায় ইলামবাজারের গোপাল ঘোষ ও তার সংস্থা ‘গোধূলিবেলা মিউজিক’-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। মূলত ভুবন বাদ্যকর অভিযোগ করেছিলেন, বাঁকুড়ার ‘বেঙ্গল রিমিক্স মিউজিক’-এর সঙ্গে তার প্রথম কপিরাইটের চুক্তি হওয়া সত্ত্বেও তাকে আইপিআরএস অর্থাৎ শিল্পী ভাতার ব্যবস্থা করে দেয়ার নাম করে তার কপিরাইটের স্বত্ব লিখিয়ে নিয়েছিলেন গোপাল ঘোষ।

পরে ভুবন কেন্দ্রীয় সরকারের কপিরাইট বোর্ডের কাছে কপিরাইট ফেরত চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন। তার হয়ে লড়াইয়ে নেমেছিল বাঁকুড়ার মিউজিক সংস্থা। একইসঙ্গে কপিরাইটের নাম করে যে সব টাকা গোপাল ঘোষ তুলে নিয়েছিল সেই টাকা ফেরত পাওয়ার জন্যও অভিযোগ জানানো হয় আদালতে। সেই মামলা এখনও আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। কিন্তু তারই মধ্যে মুম্বাইয়ের কেন্দ্রীয় সরকারের কপিরাইট বোর্ড থেকে ‘কাঁচা বাদাম’ গানের মালিকানার সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে বাঁকুড়ার ওই সংস্থাকে। কপিরাইট ইন্সফিগমেন্টের জন্য আদালত কি রায় দেয়, তার জন্য অপেক্ষা করছে ভুবন। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানি।