ভিডিও

বঙ্গবন্ধু’কে উৎসর্গ করে ফেরদৌস আরা’র ‘সুরসপ্তক’র আয়োজন

প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০২৪, ০৭:০১ বিকাল
আপডেট: মার্চ ১৭, ২০২৪, ১২:০৬ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

অভি মঈনুদ্দীন : আজ বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস। তাই বঙ্গবন্ধু’কে উৎসর্গ করে জাতীয় শিশু দিবসে বাংলাদেশের জীবন্ত কিংবদন্তী নজরুল সঙ্গীতশিল্পী ফেরদৌস আরার সঙ্গীত বিষয়ক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘সুরসপ্তক’ বঙ্গবন্ধু’কে উৎসর্গ করে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘সঙ্গীত মালা’র আয়োজন করেছে। ফেরদৌস আরার সার্বিক তত্ত্বাবধান ও পরিচালনায় আজ বিকেল চারটার পর সরাসরি চ্যানেল আইতে ‘সঙ্গীত মালা’ অনুষ্ঠানটি প্রচার হবে।

ফেরদৌস আরা বলেন,‘ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা। তার জন্মদিনই আমাদের জাতীয় শিশু দিবস। তাই দু’টো কারণে বিশেষ এই দিবসে আমার সঙ্গীত বিষয়ক প্রতিষ্ঠান সুরসপ্তক-এর শিল্পীদের নিয়ে বিশেষ পরিবেশনা সঙ্গীত মালা’র আয়োজন করেছি। যেখানে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে জাতীয়ভাবে পুরস্কৃত শিল্পীরা অংশগ্রহন করবেন। সেইসাথে সুরসপ্তক’র শিক্ষকরাও থাকবেন। বিগত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে সুরসপ্তক শিল্পী সৃষ্টির ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। ইতিমধ্যে অনেকেই পেশাগতভাবে গানকে বেছে নিয়ে নিজের জীবনকে আলোকিত করেছেন। আমরা তাদের নিয়ে গর্বিত। আজ সুরসপ্তক’র শিল্পীরা উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত, ফোক গান, হারানো দিনের গান’সহ অন্যান্য গান পরিবেশন করবে। অবশ্যই বঙ্গবন্ধু’কে নিয়েও গান পরিবেশন করা হবে। সবমিলিযে পুরো অনুষ্ঠানটি প্রায় এক ঘন্টাব্যাপী চ্যানলে আইয়ের পর্দায় দর্শক উপভোগ করবেন। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। পুরো অনুষ্ঠানটি সফল করতে সর্বাত্ত্বকভাবে সহযোগিতা করছেন সুরসপ্তক’র প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপ্না রেজা।’

এদিকে ফেরদৌস আরা গেলো নারী দিবসে ‘স্টারপ্লাস কমিউনিকেসন’ আয়োজিত সম্মাননা অনুষ্ঠানে বিশেষ সম্মানায় ভূষিত হন। উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লা’র হাত থেকে তিনি এই সম্মাননা গ্রহন করেন।  ফেরদৌস আরার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী। তবে তার জন্ম বি বাড়িয়াতে। গানে তার হাতেখড়ি তার বাবার এ এইচ এম আব্দুল হাই-এর কাছেই। তিনি পি ডাব্লিউ ডি-এর চিফ ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। তিনি পড়াশুনা করেছিলেন কলকাতায়। সেখানেই তিনি অনেক বড় সঙ্গীতজ্ঞের সংস্পর্শে আসেন। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের তালিম নেন তিনি। তিনি সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠিাতাদের অন্যতম একজন ছিলেন। বাবার কাছেই ফেরদৌস আরার চার বোনের গানে হাতেখড়ি।

ফেরদৌস আরা বলেন,‘ যতদূরে মনে পড়ে আমাদের বাসাতেই উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের আসর বসাতেন বাবা। একবার পাকিস্তান থেকে ওস্তাদ সালামত আলী ও ওস্তাদ নাজাকাত আলী এসেছিলেন। সারারাত জলসা হয়। মাত্র দশ বছর বয়স ছিলো আমার তখন। সেই বয়সেই সে রাতে আমি সারারাত মুগ্ধ হয়ে গান শুনেছিলাম। তারা আমাকে লক্ষ্য করেছিলেন। আমাকে গাইতে বললেন। আমাকে গান গাইতে বললেন। আমি গাইলাম। তারা বাবাকে বললেন , ওর প্রতি যত্ন নিবেন। বড় হলে অনেক বড় শিল্পী হবে। সত্যিই সেই রাতে আমি উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের প্রেমে পড়ি।’ 

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS