ভিডিও

মনে পড়ে ‘মনপুরা’র পরীকে...

প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৪, ০৭:৪৯ বিকাল
আপডেট: জুলাই ১১, ২০২৪, ০৭:৪৯ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

অভি মঈনুদ্দীন : আজ থেকে দেড় দশকেরও বেশি সময় আগে মুক্তি পেয়েছিলো দর্শকের মনে গেঁথে থাকা জনপ্রিয় সিনেমা ‘মনপুরা’। এই সিনেমাতেই পরী চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন নন্দিত অভিনেত্রী ফারহানা মিলি। গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত এই সিনেমায় ফারহানা মিলির বিপরীতে সোনাই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী।

২০০৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিলো। সেই সময় দর্শকের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিলো ‘মনপুরা’। সিনেমাটির গল্প, এতে যারা যারা অভিনয় করেছিলেন যেমন দিলারা জামান, মামুনুর রশীদ, ফজলুর রহমান বাবু, মনির খান শিমুল’সহ প্রত্যেকেই যার যার চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেছিলেন। সিনেমার গান ‘নিথুয়া পাথারে’ ,‘ সোনার ময়ণা পাখি’,‘ যাও পাখি বলো তারে’সহ আরো কয়েকটি গান দর্শকের ভীষণ ভালোলাগায় পরিণত হয়। সিনেমাটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারেও কয়েকটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হয়। আজ থেকে দেড় দশক আগে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘মনুপরা’র গল্প নানানভাবে নানা কারণে উদাহরণ স্বরূপ হিসেবে দর্শকের মধ্যে আলোচনায় আসে। সেটা হোক সিনেমা হিসেবে ‘মনুপরা’র দর্শকপ্রিয়তা হিসেবে কিংবা ব্যবসা সফল সিনেমা হিসেবে। ‘মনুপরা’ মুক্তির পর এই সিনেমার অন্যতম প্রধান অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী আরো বহু সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

তবে পরবর্তীতে পরী চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করা অভিনেত্রী ফারহানা মিলিকে আর নতুন কোনো সিনেমায় অভিনয়ে দেখা যায়নি। তবে তার অভিনয়ে মুগ্ধ হওয়া দর্শক এখনো তাকে খুঁজে বেড়ান নতুন কাজে নতুনভাবে, হোক তা সিনেমা কিংবা নাটক। ‘মনপুরা’র পর মিলি বহু দর্শকপ্রিয় নাটকে অভিনয় করেছেন (খণ্ড নাটক, ধারাবাহিক নাটক)। নাটকে অভিনয় করেও মিলি দর্শককে মুগ্ধ করেছেন। মিলি নিজেও নতুন আরেকটি ভালো গল্পের সিনেমায় অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত তা না হওয়ায় কোনো দু:খবোধ বা কষ্টও নেই। কারণ এক ‘মনপুরা’তে অভিনয় করেই তিনি দর্শকের কাছ থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছেন তাই যেন অনেক বড় প্রাপ্তি। বেশকিছুদিন হলো নতুন কোনো নাটকে অভিনয় করছেন না মিলি। স্বামী শাওন ও একমাত্র সন্তান রুসলানকে নিয়েই তার সুখের সংসার।

ফারহানা মিলি বলেন,‘ মনপুরার জন্য এখনো সাড়া পাই। দর্শক এখনো মনপুরার গল্প করেন, মনপুরার মুক্তিকালীন সময়ের গল্প করেন। তাদের মনের গভীর থেকে আমার প্রতি তাদের এই ভালোলাগা ভালোবাসার প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাই। কারণ দর্শকের কারণেই মনপুরা তুমুল আলোচনায় এসেছিলো শহরে বন্দরে গ্রামে। দর্শকের ভালোবাসা আর দোয়া নিয়েই আগামীতে এগিয়ে যেতে চাই।’ 

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS